পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/২৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

RSRV) বিবিধ বিধান । MANNSNAM ফাক না করি, তবেই মা এর প্রকৃত উচ্চারণ হয় । “আনু” উচ্চারণ করিতে যে অকারশূন্য ম এর উচ্চারণ হয়, তাহাই ম এর প্রকৃত ধ্বনি । ক্ষুদ্র শিশুর অৰ্দ্ধস্ফট উচ্চারণ গুলি যিনি লক্ষ্য করিয়াছেন, তিনিই ব্যঞ্জনের প্ৰকৃত উচ্চারণ বুঝিতে পারিয়াছেন। তবে এ প্রথা বিজ্ঞানসম্মত হইলেও, খুব কঠিন। সকল শিক্ষকের দ্বারা এই প্ৰথানুযায়ী বর্ণ শিক্ষা হওয়া সম্ভবপর নয় । আবার কেহ কেহ বলেন যে, এইরূপে বর্ণের উচ্চারণ শিক্ষা দিলে বালকগণের তোতলামী আভাস হইতে পারে। কিন্তু এ প্রথার সে রূপ কোন দোষ থাকিলেও, বর্ণের প্রকৃত শক্তি শিক্ষা দানের নিমিত্ত ইহার অ্যালোচনা যে বিশেষ অ্যাবশ্যক, তাহাতে আর কোন সন্দেহ নাই । (৩) শব্দের ধারা -এই ধারাকে সাধারণত: “দেখা পড়া” ধারা বলে । এই ধারার। প্ৰবৰ্ত্তকের বলেন যে, যখন আমরা প্ৰথমে শব্দ শিক্ষা করিয়া থাকি অর্থাৎ যখন আমরা অ আ ক খ না পড়িয়াই প্ৰথমে নানা শব্দের সাহায্যে মনের ভাব প্ৰকাশ করিতে শিক্ষা করি, তখন বিশ্লেষণ প্ৰথানুসারে শব্দ ভাঙ্গিয়া বৰ্ণ শিক্ষা করা কীৰ্ত্তব্য, কারণ শব্দই আমাদিগের পরিচিত, আর বর্ণ অপরিচিত । এই প্ৰণালীতে বৰ্ণ শিক্ষা দানের একটি উদাহরণ প্ৰদত্ত হইতেছে । বোর্ডের উপর উত্তম অক্ষরে “বক, বর, বন, বল’ লিখিয়া দিলে । বালকেরা এ সমস্ত কথা জানে । তারপর, দর্শনী কাঠার দ্বারা এক একটা শব্দ দেখাও, আর উচ্চারণ কর ও বালকগণকে বোর্ড লিখিত শব্দের প্রতি দৃষ্টি রাখিয়া, উচ্চারণ করিতে বল। এইরূপে শব্দের আকৃতি বোধ জন্মিলো-অৰ্থাৎ যখন বালকেরা বোর্ড লিখিত শব্দ শিক্ষকের বিন সাহায্যে পড়িতে শিখিবেতখন বক, বর ও বন, বল প্ৰভৃতি শব্দের দ্বিতীয় বর্ণের উচ্চারণ পৃথক করিয়া ( ধ্বনির ধারানুসারে )। শিখাইতে হইবে । বর্ণের আকার ও উচ্চারণ এক সঙ্গেই শিক্ষা হইবে ।