Soy विविश दिक्षम | H mhr: T T ir - ব্যবস্থা । ডে স্কুলের ছাত্ৰগণের জন্য শিক্ষক অপেক্ষপ অভিভাবক অধিকতর দায়ী । অনেকে বলিয়া থাকেন যে বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্মশিক্ষা দেওয়া অসম্ভব । বিশেষ আমাদিগের দেশে । কোন ধৰ্ম্ম শিক্ষা দেওয়া হইবে ? শাক্ত না। বৈষ্ণব, ব্ৰাহ্ম না। খৃষ্টান, বৌদ্ধ না জৈন, সিয়া না। সুন্নি ? বিদ্যালয়ে কোন ধৰ্ম্ম বিশেষ লইয়া তর্ক করিতে হইবে না । যে বালক, যে ধৰ্ম্ম সম্প্রদায় ভুক্ত, তাহাকে সেই ধৰ্ম্মানুযায়ী দৈনিক সন্ধ্যা বন্দনাদি করিতে বাধ্য করিবে মাত্ৰ । কোন বালক তর্ক করিতে আসিলে, তাহাকে কঠোর শাসনে তর্ক হইতে নিবৃত্ত করিবে ; ধৰ্ম্ম বিষয়ে তর্ক বিচারাদির সময় বিদ্যালয় পরিত্যাগের পর । কিছুদিন পূর্বেও দেখিয়াছি যে ঠাকুরমার সঙ্গে নাতি নাতিনীরা অতি প্ৰত্যুষে “ঠাকুর তুমি কালো, আমায় কর ভালো” প্ৰভৃতি সরল কবিতা আবৃত্তি করিয়াছে। ছেলেরা এখন ঘুম থেকে “খাব খাব।” করিয়া উঠে, আর সমস্ত দিনেও সে খাওয়া মেটে না । মিটিবেও না । যা’ক সে কথা-ছোট ছোট ছেলেদিগকে প্ৰাতে ও সন্ধ্যায়, বন্দনাপুর্ণ ছোট ও সরল কবিতা আবৃত্তি করাইবে । নিম্নে এইরূপ একটী কবিতার আদর্শ প্ৰদত্ত হইল :- তুমি ভালবাস লৈলে, কত সুখে থাকি । দুঃখ পেলে এস কাছে, যেই আমি ডাকি । তুমি পিতা, তুমি মাতা, তুমি দয়াময়, না। চাহিতে দয়া করে, " দাওঁ সমুদয়। আশীৰ্বাদ করবেন, জীবন ভরিয়া, তোমায়ে বাসিতে ভাল, মা বাই ভুলিয়া । কুকথা না মুখে আনি, লোতে নাহি পঢ়ি, কায় সনে আড়াআড়ি, কিছু নাহি কমি ।
