পাতা:বিবিধ বিধান - অঘোরনাথ অধিকারী.pdf/৪৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীতিধৰ্ম্ম বিষয়ক । 8 ՓԳ ২ । ধৰ্ম্ম । অবশ্যকতা -বাল্যকালে মন সরস ও নমনীয় থাকে । এই সময়ে ধৰ্ম্মের বীজ রোপণ করিতে পারিলে যে সুফল ফলিবে সে বিষয়ে আর মতদ্বৈধা নাই । যদি চরিত্রের ভিত্তিতে ধৰ্ম্মভাব না থাকে, তবে কেবল শুষ্ক নীতির সাহায্যে চরিত্র নিষ্কলঙ্ক রাখা সুকঠিন । এইজন্য বিদ্যালয়ে ধৰ্ম্মানুশীলন নিতান্ত আবশ্যক । শিক্ষার প্রণালী -- বিদ্যালয়ে কি প্ৰণালীতে ধৰ্ম্মানুশীলনের শিক্ষা প্ৰদান করিলে সুফল লাভ করিতে পারা যাইবে তাহা এ পৰ্য্যন্ত নিৰ্দ্ধারিত হয় নাই । খৃষ্টানদিগের বিদ্যালয়ে প্রার্থনা হয়, বাইবেল • পড়া, হয় ও তাহার ব্যাখ্যা করা হয় । কাশীর হিন্দু কলেজের ( শ্ৰীমতী আনী বেসান্তের ) জন্য কতকগুলি শ্লোক সংগ্ৰহ করিয়া একখানি পুস্তক প্ৰণয়ন করা হইয়াছে । সেখানে ঐ পুস্তকের পাঠ ও ব্যাখ্যা হয় । আর প্রত্যেক ছাত্রকে রীতিমত সন্ধ্যাবন্দনাদি করিতে হয় । শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বোলপুর বিদ্যালয়েও রীতিমত উপাসনা বন্দনার ব্যবস্থা আছে । আর রবীন্দ্র বাবু নিজে প্ৰত্যহ ধৰ্ম্মোপদেশ প্ৰদান করেন । আলিগড় কলেজের মুসলমান ছাত্রগণকে রীতিমত নামাজ করিতে হয় । আর সেখানেও মধ্যে মধ্যে কোরাণসরিফ কি অন্য ধৰ্ম্ম গ্ৰন্থাদির পাঠ ও ব্যাখ্যা হয় । গুরু-কুল বিদ্যালয়ের ছাত্রগণকে রীতিমত ব্ৰহ্মচর্য্যের পালন করিতে হয় । যাহা হউক এই সমস্ত দৃষ্টে আমরা ইহা বুঝিতে পারিতেছুি যে, বালকগণ যাহাতে রীতিমত স্বধৰ্ম্মানুযায়ী দৈনিক উপাসনা বন্দনা প্ৰভৃতি কাৰ্য সম্পাদন করে সে বিষয়ে শিক্ষকগণকে যত্নশীল হইতে হইবে। কিন্তু শিক্ষক নিজে ধৰ্ম্মশীল না হইলে বালকগণকে কেবল উপদেশের দ্বারা কাৰ্য্যে প্ৰবৃত্ত করাইতে পারিবেন না । এ সমস্ত ৰােৰ্ডিং স্কুলের ।