পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারানাথ তান্ত্রিকের গল্প ՏԾS দঃসাহস এমন তান্ত্রিকেরা হাঁকিনী মন্ত্রে সিদ্ধ হবার সাধনা করে। হলে খােবই ভালো, কিন্তু বিপদের ভয়ও পদে পদে ৷ তাদের নিয়ে যখন-তখন খেলা করতে নেই, তাই তোকে বারণ করি। তুই বঝিস নে তাই রাগ করিস। কৌতুহল আর সংবরণ করতে না পেরে জিজ্ঞেস করলাম-তুমি তাহলে হাঁকিনীমন্ত্রে সিদ্ধ, না ? ঠিক বল ! পাগলী চুপ করে রইল । আমি তাকে আর প্রশ্ন করলাম না। বাবলাম পাগলী এ কথা কিছতেই বলবে না । কিন্তু এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ রইল না। পরদিন গ্রামের লোক আমাকে পাগলীর সম্পবন্ধে অনেক কথা বললে । বললে SuDDBD DBDBB DBDB D DD DD S BBBBS DBDBDBDB DBBS DB BBB DDD শান্তি আছে, আপনার একেবারে সন্থাবনাশ করে দিতে পারে। ওকে বেশী ঘটাবেন না মশায় । গাঁয়ের কোন লোক ওর কাছে ঘোষে না । বিদেশী লোক, মারা পড়বেন শেষে । মনে ভাবলাম--কি আর আমার করবে, যা করবার তা করেছে। তার কাছে না গিয়ে থাকবার শক্তি আমার নেই। তার পরে একদিন যা হলো তা বিশবাস করবে না। একদিন সন্ধ্যার পরে পাগলীর কাছে গিয়েছি। কিন্তু এমন ভাবে গিয়েছি পাগলী না টের পায় । পাগলীর সেই বটতলায় গিয়ে হঠাৎ অবাক হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম । বটতলায্য পাগলী বসে নেই, তার বদলে একটি ষোড়শী বালিকা গাছের গড়িতে ঠেস দিয়ে সামনের দিকে চেয়ে রয়েছে । চোখের ভুল নয়। মশায় । আমার তখন কাঁচা বয়েস, চোখে ঝাপসা দেখবার কথা নয় । সপ্যািট দেখলাম । ভাবলাম-তাই তো ! এ আবার কে এলো ? যাই কি না-যাই ? এক পা এগিয়ে সঙ্কোচের সঙ্গে জিজ্ঞেস করলাম--মা, তিনি কোথায় গেলেন ? মেয়েটি হেসে বললে-কে ? --সেই তিনি, এখানে থাকতেন ? মেয়েটি খিল খিল করে হেসে বললো-অা মরণ, কে তার নামটাই বল না। --নাম বলতে লতাজা হচ্ছে নাকি ? আমি চমকে উঠলাম । সেই পাগলীই তো ! সেই হাসি, সেই কথা বলবার ভঙ্গী। এই ষোড়শী বালিকার মধ্যে পাগলী রয়েছে লকিয়ে ! সে এক অদ্ভুত আকৃতি । ভেতরে সেই পরিচিতা পাগলী, বাহিরে এক অপরিচিত রােপসী ষোড়শী বালিকা। মেয়েটি হেসে ঢ’লে পড়ে। আর কি । বললে--এসো না, ব’স না এসে পাশে —লতাজা কি ? আহা আর অত লতাজার দরকার নেই, এসো হঠাৎ আমার বড় ভয় হলো । মেয়েটির রকম-সকম আমার ভালো ব’লে মনে হলো না, তাছাড়া আমার দািঢ় বিশ্ববাস হলো এ পাগলী আমায় কোন বিপদে ফেলবার চেণ্টায় আছে। ফিরে চলে যাচ্ছি, এমন সময় পরিচিত কণ্ঠের