পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sólk & বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প হতাশা-মেশানো ক্ৰোধে ঘাড় উচু ক’রে সে সদপো লাফিয়ে লাফিয়ে পথ চলতে ठळ । সন্ধ্যার ঈষৎ অন্ধকার কখন মিলিয়ে গিয়েছে, অন্ধকারটাই তরল হতে তরলতর হতে হতে হঠাৎ কখন জ্যোৎস্নায় পরিণত হয়েছে, অন্যমনস্ক প্ৰদ্যুশন তা মোটেই লক্ষ্য করেনি। যখন তার চমক ভাঙল, তখন পণিমার শদ্রোক্তজবল জ্যোৎসনা পথ-ঘাট ধাইয়ে দিচ্ছিল । দীর মাঠের গাছপালা জ্যোৎস্নায় ঝাপসা দেখাচ্ছিল। পড়াশনা তার হয় কি ক’রে ? আচাৰ্য্য পণবন্ধন ত্রিপিটকের পাঠ অনায়ত্ত দেখে তাকে ভৎসনা করলেই বা কি করা যাবে ? এ রকম রাত্রে যে যাগযগের বিরহীদের মনোবেদনা তার প্রাণের মধ্যে জমে ওঠে, তার অবাধ্য মন যে এইসব পরিপণ জ্যোৎস্না-রাত্রে মহাকোটাঠি বিহারের পাষাণ-অলিন্দে মানসসন্দরীদের পিছনে পিছনে ঘরে বেড়ায়, এর জন্য সে-ই দায়ী ! দশ-পারমিতার মন্দিরে সন্ধ্যারতির ঘন্টার ধবনি তখনও মিলিয়ে যায়নি, দরে নদীর বাঁকের ভাঙা মন্দিরে ক্ষীণ আলো জলে উঠল, উৎসব-প্রত্যাগত নর-নারীর দল জ্যোৎস্না-ভরা মাঠের মধ্যে ক্ৰমে বহন্দরে অদশ্য হয়ে গেল । প্রদাশেনর গতি আরো দ্রত হলো । পথের পাশে একটা গাছ । গাছের নিকট যেতে প্ৰদ্যুক্ষেনের মনে হল গাছের আড়ালে কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে-আর-একটা এগিয়ে গাছের পাশে যেতেই তার অত্যন্ত পরিচিত কন্ঠের হালকা মিলিট হাসির ঢেউয়ে সে থমকে দাঁড়িয়ে গেল। —দেখলে গাছতলায় সনন্দা দাঁড়িয়ে আছে, গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে চিকচিকে জ্যোৎস্নার আলো প’ড়ে তার সর্ববঙ্গে আলো-অাঁধাবের জাল বনেছে। প্ৰদ্যমান চাইতেই সনন্দা ঘাড় দলিয়ে ব’লে উঠল--আর একটি হলেই বেশ হতো । গাছের তলা দিয়ে চলে যেতে অথচ আমায় দেখতে CዏIOX5 aff ! সানন্দাকে দেখে প্ৰদ্যুশন মনে মনে ভারি খাঁশি হলো, মাখে বললে--নাঃ, তা আর দেখব কেন ? ভারি ব্যাপারটা হয়েছে গাছতলায় লকিয়ে ! আর না। দেখতে পেলেই বা কি ? আমি তোমার ওপর ভারি রাগ করেছি। সনন্দা, সত্যি वळछ । সন•দা বললে-দোষ করলেন নিজে আবার রাগও করলেন নিজে ! সেদিন কি কথা বলেছিলে মনে আছে ? তা না, যত রাজ্যের সাপড়ে আর বাজিকরামাগো ! ওদের কাছে যাও কি ক’রে ? এমন ময়লা কাপড় পরে ! আমি ওদের ত্ৰিসীমানায় যাইনে । প্ৰদৰ্শন বললে-তুমি বড়মানষের মেয়ে, তোমার কথাই আলাদা। কিন্তু কথাটা কি ছিল বলছিলে ? সানন্দা বললে-যাও । আর মিথ্যে ভানে দরকার নেই। কি কথা মনে ক’রে দেখ। সেই সেদিন বললে না ? প্ৰদ্যুম্ন একটি খানি ভেবে ব’লে উঠল-ববতে পেরেছি--সেই বাঁশী ? সানন্দা অভিমানের সরে বললে-ভেবে দেখ বলেছিলে কি না। আমি