পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেঘ-মল্লার NS দপারবেলা থেকে মন্দিরে এসে বসে আছি । একে তো এলেন বেলা ক’রে, vs. 34-2Ts প্ৰদ্যুম্ন এবার হেসে উঠল। বললে—আচ্ছা সনন্দা, যদি তুমি আমায় দেখতেই পেয়েছিলে তো আমায় ডাকলে না কেন ? সানন্দা বললে-আমি কি একা ছিলাম ? দীপার বেলায় আমি একা এসেছিলাম বটে, কিন্তু তখন তো আর তুমি আসিনি ? তার পর আমাদের গাঁয়ের মেয়েরা সব যে এল । কি করে ডাকব ? প্রদাফন বললে-আচ্ছা ধ’রে নিলাম আমার দোষ হয়েছে, তবে তুমি যে বার বার সাপড়ে আর বাজিকরদের কথা বলছ সনন্দা,-সাপড়ে আর বাজিকরদের আমি খজিনি। শানেছিলাম অবন্তী থেকে একজন বড় বীণবাজিয়ে আসবেন ; তুমি তো জানো, আমার অনেক দিন থেকে বীণ শেখবার বড় ইচ্ছা । তাই তাঁর সন্ধানে ঘরেছিলাম, তাঁর দেখাও পেয়েছি । তিনি এখানকার নদীর ধারের দেউলে থাকেন। ভালো কথা—তোমার বাবা কোথায় ? সানন্দা বললে-বাবা তিন-চার দিন হলো কৌশাম্বী গিয়েছেন মহারাজের 西瓦夺 1 প্ৰদ্যমান হঠাৎ খােব উচ্চৈঃস্বরে হেসে উঠল, বললে-ওহো তাই ! নইলে আমি ভাবছি। এত রাত পয্যন্ত সনন্দা কি সানন্দা তাড়াতাড়ি প্রদত্যক্ষেনের মখে নিজের হাত দটি চাপা দিয়ে লজিজত মখে বললে –“চুপ চুপ, তোমানে কি এতটকু কাপডভজ্ঞান নেই ? এখােন যে সব লোক আরতি দেখে ফিরবে ! প্রদর্শন হাসি থামিয়ে বললে—এবার কিন্তু তোমার বাবা এলে ব’লে দেন। নিশ্চয় সানন্দা রাগের সরে বললে-দিও ব’লে। এমনি আমি মন্দিরে আরতি পয্যন্ত থাকি, তিনি জানেন । প্রদর্শন সনন্দার সংগঠিত পৰ্ণপপেলব দক্ষিণ বাহটি নিজের হাতের মধ্যে বেণ্টন করে নিলে, তারপর বললে-আচ্ছা থাক, বলে দেব না। চল সনন্দা, তোমায় বাঁশী শোনাই, আমার সঙ্গেই আছে-সত্যি বলছি তোমায় শোনাবার জন্যেই এনেছিলাম। তবে ওঁকে খািজছিলাম, বীণটা ভালো করে শিখব বলে । নদীর ধারে এসে কিন্তু প্ৰদ্যুম্ন বড় নিরৎসাহ হয়ে পড়ল। সে বাঁশী বাজালে বটে। কিন্তু সে যেন ভাসা-ভাসা । সরের সঙ্গে তাতে তার প্রাণের কোন যোগ রইল না । তারা দজনে নিতজনে আরও কতবার বসেছে, প্ৰদ্যুম্পেনর বাঁশী শািনতে সনন্দা ভালোবাসত বলে প্ৰদ্যুশন যখনই বিহার থেকে বাইরে আসত, বাঁশীটি সঙ্গে আনত। প্ৰদ্যাম্পোিনর বাঁশীর অলস সর্বপ্নময় সরের মধ্য দিয়ে কতদিন উভয়ের অজ্ঞাতে রোদভরা মধ্যাহ্ন গিয়ে সন্ধ্যার অন্ধকার নেমে এসেছে, কিন্তু দজনে এক হ’লে প্রদাশেনর এ রকম নিরৎসাহ ভােব তো সনন্দা আর কখনো লক্ষ্য করেনি । কি জানি কেন প্রদানের বার বার মনে আসছিল। সেই জীণ পরিচ্ছদপরা