পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

çãኾቐ÷፻፭T%! NSVN) সরদাস বললেন-প্রদর্শন, তুমি এবার তোমার কাজ আরম্ভ করো, আমার কাজ শেষ হয়েছে । খাব সাবধান, তোমার কৃতিত্বের ওপর এর সাফল্য নিভাির করছে। তাঁর চোখের কেমন একটা ক্ষধিত দটি যেন প্রদাশেনর ভালো লাগলনা। তারপর সে ব’সে একমনে বাঁশীতে মেঘ-মল্লার আলাপ আরম্ভ করলে । তখন আকাশ বাতাস নীরব। অন্ধকারে সামনের মাঠটিায় কিছু দেখবার উপায় নেই ৷ শালবনের ডালপালায় বাতাস লেগে এক রকম অসম্পলেট শব্দ হচ্ছে। বড় মাঠের পারে শালবনের কাছে দিকচক্ৰবালের ধারে নৈশ প্রকৃতি পথিবীর বকের অন্ধকার শল্পশয্যায়। তার অঞ্চল বিছিয়েছে। শােধ বিশ্রাম ছিল না ভদ্রাবতীর, সে কোন অনন্তের সঙ্গে নিজেকে মিশিয়ে দেবার আকুল আগ্রহে একটানা বয়ে চলেছে-মন্দ গঞ্জিনে আনন্দসঙ্গীত গাইতে গাইতে, কালে তাল দিতে দিতে । হঠাৎ সামনের মাঠটা থেকে সমস্ত অন্ধকার কেটে গিয়ে সারা মাঠটা তরল আলোতে প্লাবিত হয়ে গেল ! প্ৰদ্যুম্ন সবিসময়ে দেখলে-মাঠের মাঝখানে শত পণিমার জ্যোৎস্নার মত অপরােপ আলোর মন্ডলে কে এক জ্যোৎস্নাবরণী অনিন্দ্যসািন্দরী মহিমময়ী তরণী ! তাঁর নিবিড়কৃষ্ণ কেশরাজি অযত্নবিন্যস্ত ভাবুে তাঁর অপৰিব গ্রীবাদেশের পাশ দিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে, তাঁর আয়ত নয়নের দীর্ঘ কৃষ্ণপক্ষ কোন সবগীয় শিল্পীর তুলি দিয়ে অাঁকা, তাঁর তুষারধবল বাহ বল্লী দিব্য পশুপাভারণে মন্ডিত, তাঁর ক্ষীণ কটি নীল বসনের মধ্যে অন্ধলঙ্কায়িত মণিমেখলায় দীপ্তিমান, তাঁর রক্তকমলের মত পা দটিকে বািক পেতে নেবার জন্যে মাটিতে বাসন্তী পন্ডেপর দল ফটে উঠেছে’, ‘হ্যাঁ, এই তো দেবী বাণী ! এর বীণার মঙ্গল-ঝঙ্কারে দেশে দেশে শিল্পীদের সৌন্দয্যতৃষ্ণা সন্টিমখী হয়ে উঠছে, এর আশীৰ্ব্ববাদে দিকে দিকে সত্যের প্রাণপ্ৰতিষ্ঠা হচ্ছে, এরই প্রাণের ভাগ“ডারে বিশেবর সৌন্দয্যসম্পভার নিত্য অফােরন্ত রয়েছে ; শাশবত এর মহিমা, অক্ষয় এর দান, চিরনতেন এর বাণী । প্রদর্শন চেয়ে থাকতে থাকতে দেবীর মাত্তি অলেপ অলপ মিলিয়ে গেল । জ্যোৎসনা আবার মালান হয়ে পড়ল, বাতাস আবার নিস্তেজ হয়ে বইতে লাগিল । অনেকক্ষণ প্রদাশেনর কেমন একটা মোহের ভাব দরি হলো না। সে যা দেখলে এ সর্বপ্ন না। সত্য ? অবশেষে সরদাসের কথায় তার চমক ভাঙিল। সারদাস বললেন-আমার এখনও কাজ আছে, তুমি ইচ্ছা করলে যেতে পারকেমন, আমার কথা মিথ্যে নয় দেখলে তো ? সরদাসের কথা কেমন অসংলগ্ন হতে লাগল, তাঁর মাখের দিকে চেয়ে প্রদর্শন দেখলে তাঁর চোখ দটাে যেন অন্ধ-অন্ধকারের মধ্যে জল জল করছে । তাঁর কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সে যখন বিহারের দিকে রওনা হলো, পণিমার চাঁদকে তখন মেঘে প্রায় ঢেকে ফেলেছে। একটি একটি জ্যোৎস্না যা আছে, তা কেমন হলদে র-এর ; গ্রহণের সময় জ্যোৎস্নায় এ রকম রং সে কয়েকবার দেখেছে । विख्ऊ एeष्ठ शब्o-ss