পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

NSN y বিভতিভষণের শ্রেষ্ঠ গল্প DBB uDSBuD DDBYHBBD BB BDDDDB DDB BOD S সেই দিন থেকে প্রতিরাত্রে সে দেবীর অলক্ষিতে পাহাড়ের নীচে বসে কুটীরের দিকে চেয়ে পাহারা রাখত। তার তরণ বীরহাদয় এক ভীর নারীকে একা বনের মধ্যে ফেলে রাখার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ তুলেছিল। দশ-পনের দিন কেটে গেল । এক একদিন প্ৰদ্যুম্বন শনত, দেবী অনেক রাতে একা গান করছেন-সে গান পথিবীর মানষের গান নয়, সে গান প্রাণ-ধারায় আদিম ঝরণার গান, সন্টিমখী নীহারিকাদের গান, অনন্ত আকাশে দিকহারা কোন পথিক তারার 5TF || একদিন দােপর বেলা কে তাকে বললে—তুমি যে গো-বৈদ্যের কথা বলছিলে, তাকে এইমাত্র দেখে এলাম, পথের ধারে পাকুরে সে স্নান করছে। শনে ছটিতে ছািটতে গিয়ে সে পকূরের ধারে উপস্থিত হলো। দেখলে সত্যই গণাঢ্য পাকুরের ধারে বসন্তাদির পটালি নামিয়ে রেখে পাকুরে স্নান করতে নেমেছেন । সে অপেক্ষা করতে লাগিল । একটি পরে গণাঢ্য বস্ত্র পরিবত্তন করে উপরে উঠে প্ৰদৰ্শনকে দেখে কেমন যেন হয়ে গেলেন। বললেন-তুমি এখানে ? প্ৰদ্যুম্ন বললে-আমি এখানে কেন তা বঝতে পারেন নি ? গণাঢ্য বললেন-তুমি এখন বলেছ বলে নয় প্রদর্শন, আমি এ কাজ করবার পরে যথেস্ট অনন্তপ্ত আছি । প্রতি রাত্রে ভয়ানক সর্বপ্ন দেখি-কারা যেন বলছে, তুই যে-কাজ করেছিস এর শাস্তি অনন্ত নরক । আমি এইজন্যেই আজ এক পক্ষের ওপর আমার গাের সেই আজীবক সন্ন্যাসীর কাছে গিয়েছিলাম। তাঁরই কাছে। এ বশীকরণ মন্ত্র আমি শিক্ষা করি । এর এমনি শক্তি যে ইচ্ছা করলে আমি যাকে ইচ্ছা বাঁধতে পারি, কিন্তু আনতে পারিনে। মন্ত্রের বন্ধনের শক্তি থাকলেও আকষণী শক্তি নেই। এইজন্যে আমি তোমাকে সঙ্গে নিয়েছিলাম, আমি নিজে সঙ্গীতের কিছুই জানিনে যে তা নয়, কিন্তু আমি জানতাম যে তুমি মেঘমল্লারে সিদ্ধ, তোমার গানে দেবী ওখানে আসবেনই, এলে তারপর মন্ত্রে বাঁধব । এর আগে আমার বিশবাসই ছিল না যে, এমন একটা ব্যাপার হওয়া সম্পভব। অনেকটা মন্ত্রের গণ পরীক্ষা করবার কৌতুহলেই আমি এ কাজ করি। প্ৰদ্যমান বললে-এখান ? গণাঢ্য বললেন- এখন আমার গােরর কাছ থেকেই আসছি । তিনি সব শনে একটা মন্ত্র শিক্ষা দিয়েছেন, এটা পক্ষািব মন্ত্রের বিরোধীশক্তি-সম্পন্ন। সেই মন্ত্রপাত জল দেবীর গায়ে ছড়িয়ে দিলে তিনি আবার মন্ত হবেন বটে, কিন্তু তার কোন উপায় নেই। প্রদর্শন জিজ্ঞাসা করলে-উপায় নেই কেন ? --যে ছিটিয়ে দেবে, সে চিরকালের জন্য পাষাণ হয়ে যাবে। আমার পক্ষে দদিকই যখন সমান, তখন তাঁকে বন্দিনী রাখাই আমার ভালো। রাগ কোরো