পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/১৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

प-ट्र NGAN সঙ্গে তার মনে এল-বারাণসীতে তাদের গহে সন্ধ্যার আকাশে বদ্ধ আখি বাতায়ন-পথবিত্তিানী তার মা । কুমারশ্রেণীর বিহারে আচাৰ্য্য শীলৱতের কাছে একটি মেয়ে অলপ বয়সে দীক্ষা গ্রহণ করে। তার নাম সনন্দা, সে হিরণ্যনগরের ধনবান, শ্রেষ্ঠী স্যমন্তদাসের মেয়ে। পিতামাতার অনেক অনরোধ সত্ত্বেও মেয়েটি নাকি বিবাহ করতে সম্মত হয়নি। অত্যন্ত তরুণ বয়সে প্ৰৱজ্যা গ্রহণ করায় সে বিহারের সকলের শ্রদ্ধার পাত্রী হয়ে উঠেছিল। সেখানে কিন্তু কারো সঙ্গে সে তেমন মিশত না, সৰবদাই নিজের কাজে সময় কাটাত, আর সববদাই কেমন অন্যমানসিক থাকত । জ্যোৎসনারাত্রে বিহারের নিজজন পাষাণ অলিন্দে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সে আপন মনে প্রায়ই কি ভাবত, মাঠের জ্যোৎস্নাজাল কাটিয়ে অনেক রাতে কাউকে বিহারের দিকে আসতে দেখলে সে একদলেট সেদিকে চেয়ে থাকত, যেন কতদিন আগে তার প্রিয় আবার আসবে বলে চ’লে গিয়েছিল, তারই আসবার দিন গানে গানে এ শ্ৰান্ত শান্ত ধীর পথ-চাওয়া । প্রতি সকালে সে কার প্রতীক্ষায় উন্মখ হয়ে রইত, সকাল কেটে গেলে ভাবত বিকালে আসবে, বিকাল কেটে গেলে ভাবত সন্ধ্যায় আসবে।--দিনের পর দিন, মাসের পর মাস এরকম কত সকালসন্ধ্যা কেটে গেলা-কেউ এল না-তিব মেয়েটি ভাবত, আসবে * * আসবে, কাল আসবে-পাতার শব্দে চমকে উঠে চেয়ে দেখত-এতদিনে বঝি ५aब्ज ! এক এক রাত্রে সে বড় অদ্ভুত সর্বপ্ন দেখত। কোথাকার যেন কোন এক পাহাড়ের ঘন বেতের জঙ্গল আর বাঁশের বনের মধ্যে ল্যুকানো এক অন্ধভশন পাষাণমাত্তি । নিঝম রাতে সে-পাহাড়ের বেতগাছ হাওয়ায় দলছে, বাঁশবনে শিরশিরা শব্দ হচ্ছে, দীঘ দীঘ বেতডাঁটার ছায়ায় পাষাণমিত্তিটার মািখ ঢাকা পড়ে গেছে। সে অন্ধকার অন্ধ রাত্রে জনহীন পাহাড়টার বাঁশগালোর মধ্যে ঝোড়ো হাওয়া ঢকে কেবলই বাজছে মেঘ-মল্লার ! * ভোরে উঠে। রাতের সর্বপ্ন দেখে আশচয্য হয়ে যেত।-কোথায় পাহাড়, কোথায় বেতবন, কার ভাঙা মাত্তি, কিসের এসব অর্থহীন দঃস্বপ্ন ! **