পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ক্যানভাসার ক্লষ্ণলাল চাকরি গেল । এত করিয়াও কৃষ্ণলাল চাকরি রাখিতে পারিল না । সকাল হইতে রাত দশটা পয্যন্ত (ডাউন খলনা প্যাসেঞ্জার, ১০-৪৫ কলিকাতা টাইম } টিনের সটকেস হাতে শিয়ালদ’ হইতে বারাসত এবং বারাসত হইতে শিয়ালদ’ পয্যন্ত “তাঁদের মাকু'র মত যাতায়াত করিয়া ও ক্ৰমাগত “দত্তপকুরের বাতের তেল, দত্তপকুরের বাতের তেল-বাত, বেদনা, ফলো, কাটা ঘা, পোড়া ঘা, দাঁতি-কনকননি, এক কথায় যত রকব ব্যথা, শলানি, কামড়ানো আছে সব এক নিমেষে চলে যাবে-আজি চব্বিশ বছর এই লাইনে ওষধিটি প্রত্যেক ভদ্রলোক ব্যবহার কারচেন, সকলেই এর গণ জানেন- ” বলিয়া চীৎকাব্য করিয়াও চাকরি রাখা গেল না । সেদিন বস, মহাশয় ( ইন্ডিয়ান ড্রাগ সিডিকেটের মালিক নিত্যলোপাল বস) কৃষ্ণলালকে ডাক দিয়া বলিলেন-পালমশায়, কাল রাত্রের ক্যাশ জমা न्नन् दन्ता ? --আজ্ঞে, আজ্ঞে--অনেক রাত হয়ে গেল-খলনা ট্রেন-প্রায় বিশ মিনিট লোট । -দেখান, আগেও আমি অন্তত সতেরো বার আপনাকে সাবধান করে দিয়েচি ৷ খলনা ট্রেন দশটা একুশে স্টেশনে আসে। আমি সাড়ে এগারোটা পৰ্যন্ত আপিসে বসেছিলাম শধ্যে আপনার জন্যে। নিতাই দ’বার স্টেশন দেখে এল । ট্রেন রাইট টাইমে এসেচে, লেট এক মিনিটও ছিল না --আজ্ঞে বড়বাব, শরীরটা কাল বড়ই -ও আপনার পরনো কথা। ও কথা আব শািনবো না আজ। যাক, ক্যাশ এনেচেন এখন ? কৃষ্ণলাল অপরাধীর মত বড়বাবরে মাখের দিকে চাহিল । বলিল-ক্যাশটা আনিগে যাই-না-একটা মস্কিল হয়েচে, আচ্ছা আসি --যান আসনকৃষ্ণ তবও দাঁড়াইয়া আছে দেখিয়া নত্যগোপালবাব, বলিলেন-কি হলো ? --আজ্ঞে ওবেলা দেবো। ওটা । বাসায় এনে বেখেছিলাম, চাবি দিয়ে বেরিয়ে গিয়েচে, আমি যার সঙ্গে থাকি । -आ2नि एकाथाझ क्रिाgर्शीछाब्जन्म ? - একটি বেড়াতে বার হয়েছিলাম। ওই গোলদীঘির দিকেSumitaBot (আলাপ) * —সব বাজে কথা । আমি বিশ বাস করিনে। কেন করিনে তাও আপনি জানেন । রাত দশটার পরেই ক্যাশ এনে দেওয়াব কথা-আপনি বড়ো হয়ে গেলেন এই ক্যানভাসারের কাজ ক'রে । জানেন না যে ক্যাশ তখনি জমা দেওয়ার নিয়ম আছে ? -य653, उभास्व-এ রকম আরও কতবার হয়েছে বলন দিকি ? আপনার কথার ওপর