পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ গল্প.pdf/৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नानाभाभा ७ अभि ܠܗܶ বেলা গেল। ডালডুল করতে । গা-হাত-পা ব্যথা । वठ्ठाभ-छ्भ छान उटाङळ ? श्र्नाऊ ? -হ্যা রে । নইলে কে করবে ? আবার কাল একগাদা ময়লা কাপড় সোডাসাবান দিয়ে সেদ্ধ করতে হবে । দঃখিত সরে বললাম-ওসব মেয়েলি কাজ। তুমি ওসব কর কেন ? আমায় DBBBBD DDD BBD D BDBDD BDB BDD DDBBDD নস বলে-আহা ! আমি না-পারি কি ? তোকে আবার ডাকতে যাব কেন ? --লেখাপড়া করবে না নসমোমা ? এসব কাজ কি তোমার সাজে ? পরিষমান যে, লেখাপড়া কর । --আমায় কে পড়াবো ? দাদারা এক পয়সা দেবে না । তা ছাড়া মার শরীর খারাপ, আমি বাড়ী থেকে গেলে রান্নাবাল্লা কে করে বল, । পড়বার খরচ জটিলেও আমার পড়া হোত না । আমি বসে বসে ওর কুটনো কুটে দিলাম। আমার বিয়ের কথা বললাম । নসমোমা বিশেষ কোনো আগ্রহ প্রকাশ করলে না । ও যদি একটও আগ্ৰহ প্রকাশ করতো, শনতো কোথায় আমার বিয়ে হচ্চে ইত্যাদি, তাহলে আমার ভালো লাগতো। কিন্তু নাঃ, সে সখি আমার আদলেট নেই। নসমোমা একটা কথাও জিজ্ঞেস করলে না। সে সম্পবন্ধে । আমার বিয়ের রাত্রে নস্যু নেমন্তয় খেয়ে এল পেট পরে, কিন্তু না এল একবার বিয়ে দেখতে, না একবার বাসরঘরে উইকি মেরে দেখতে । আমার মনটা যেন কেমন ফাঁকা-ফাঁকা, ও যদি আসতো। তবে খর্ব ভালো লাগতো । মনের মধ্যে ডুব দেবার বয়স আমার নয়। তখন, তবও কি যেন একটা হয়ে গেল, এত বাজনা, এত খাবার-দাবার, এত লোকজনের যাতায়াত, আমার নতুন কাপড় গয়নাকিছুই ভালো লাগলো না। মনে উৎসাহ নেই। আগেই বলেচি, আমার বিয়ে হয়েছিল আড়ংঘাটার কাছে শিকারপরে । স্বামীর বয়সও সতেরো-আঠারোর বেশি নয়, রোগা চেহারা, মাথার চুল ওঠা । বিয়ের পরে জানা গেল স্বামী ম্যালেরিয়ার পরনো রোগী । মাসে দাবার ম্যালেরিয়া জীবর বাঁধা আছেই। আড়ংঘাটার যািগলকিশোর ঠাকুরের মেলার সময় ময়রার দোকান খোলেন আমার খাড়শ বশর, সবামী তাড় দিয়ে সন্দেশ-মািড়কি ভিয়েন করেন ।

  • বশরেবাড়ীতে যাবার সময় মনে খানিকটা কৌতুহল নিয়ে যে না গিয়েছিলাম এমন নয় । না জানি কেমন বাড়ী-ঘর, কেমন খাওয়া-দাওয়া । গিয়ে দেখি, পরনো আমলের ইট-বের-করা কোঠাবাড়ী, দটি মাত্র ঘর, ছোট একটা বারান্দা, তবে সব ঘরগলির সামনে সান-বাঁধানো টানা রোয়াক এবং রান্নাঘরটিও কোঠা । খাব বড় একটা আম গাছ সমস্ত বাড়ীর উঠোন জড়ে ঘপসি করে রেখেচে ।

আমার শাশড়ী গন্ধেবর সরে বল্লেন-আমের সময় তো আসচে, দেখো