পাতা:বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় অপ্রকাশিত দিনলিপি.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

থেকেই আমায় পাঠিয়েছেন। বিচিত্রাতে এককালে এর বিভূতিভূষণের ওপর লেখাও বেরীয় | نو এদের সবাইকে আমার প্রণাম জানাই । স্থান ও মানচিত্রের (gopcgraphy এবং map-এর ) দুটি বড় অংশ বিভূতিভূষণের বাসস্থানকুেরে ; বনগা-বারাকপুর এবং ঘাটশিলা-সারাণ্ডা। এছাড়া অবশ্য উড়িষ্যার এবং মাগপুরের কিছু অংশ রয়েছে। বিভূতিভূষণের বাসস্থানকে ঘিরে যে দুটি বড় অর্থাৎ তার পরিধি গোত্রহীন গ্রামে, পর্বতে, পার্বত্যনদীতে এত বিশাল এবং দুনিরীক্ষ্য যে তার অন্বেষণ এবং প্ৰাপ্তি একপ্রকার ভাগ্যান্বেষণ এবং সৌভাগ্য বলে মনে হয়। এই সৌভাগ্যের রূপদানে আমায় সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন পি. ডবলু ডির ইঞ্জিনিয়ার সুনীলকুমার, মুখোপাধ্যায়, সার্ভে অফ ইণ্ডিয়ার ইন্দুভূষণ রায়, ল্যাণ্ড রেকর্ডস এবং সার্ভেসের লালগোপাল মুখোপাধ্যায়, ন্যাশান্যাল অ্যাটলাসের গ্রন্থাগারিক নারায়ণচন্দ্র সাহ এবং জাতীয় গ্রন্থাগারের গ্রন্থাগারিক ড. দিলীপকুমার মিত্র। সুনীলকুমার মুখোপাধ্যায় কী অপরিসীম পরিশ্রম করে যে স্থান ও মানচিত্র তৈরি করেছেন তা আমায় অভিভূত না করে পারেনি। ইন্দুভূষণ রায়, লালগোলাপী মুখোপাধ্যায়, নারায়ণচন্দ্র সাহা এবং ড. দিলীপকুমার মিত্ৰ অকাতরে যুগিয়েছেন পরিশ্রমের রসাদ ; এই শেষোক্ত জনের মত এমন নাছোড়বান্দা সহায়তাপরায়ণ পড়ুয়া-বন্ধু সত্যিই বর্তমানে দুর্লভ। গ্রন্থাগারের পরিসীমাতে তো বটেই, একাধিকবার তিনি অপরিমিত সাহায্য এবং ঔৎসুক্য নিয়ে নিজেই আমার বাড়ি এসেছেন । এদের উপকার শত প্ৰত্যুপকারেও অসম্পূর্ণ, অপৰ্যাপ্ত থেকে যায়। আমার জীবনের এইসব উত্তমর্শকে আমি আমার অন্তরের ঋণানুভব জানাই । এই গ্রন্থে অজিতকুমার দত্ত বিভূতিভূষণের প্রতিকৃতিটি ব্যবহার করতে দিয়ে আমায় চিরখণপাশে বদ্ধ করেছেন । তাকে আমার প্রণাম । নির্ঘণ্ট-অনুলিপিতে আমায় সাহায্য করেছে আমার পরম স্নেহাস্পদ ছাত্ৰছাত্রী তপন গোস্বামী, সুব্রত রায়চৌধুরী, তপশ্ৰী চট্টোপাধ্যায় এবং সাখী রায় । এদের সবাইকে স্থআমার আস্তরিক স্নেহাশিস । ਚ সুনীলকুমার চট্টোপাধ্যায়,