পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরদিনও আলু সিদ্ধ চললো। এ কি তাচ্ছিল্যের দ্রব্য ? কত বিপদের সম্মুখীন হয়ে তবে ওইটুকু আলু সংগ্ৰহ করে আনতে হয়েচে-ছেলের মুখে ভালো লাগে না তো সে কি করবে ? বাত্ৰিতে অনঙ্গ-বেী বললে-হাগা, চাল না পাও, কিছু কলাই আজি আনে । আলু ফুরিয়েচে । --তাই বা কোথা থেকে আনি ? -- পরমাণিকদের দোকানে নেই ? --সব সাবাড়ি । গুদোম সাফ । --কি উপায় ? --কিছু নেই ঘরে ? আলুটা ? -সে আর কতটুকু। কাল ফুরিয়েচে । তবুও তো এবাব ভট্টচায। ঠাকুর নেই।--মতি নেই-নিজেরাই খেয়েচি । --কাল থেকে কি হবে তাই ভাবচি - চাল কোথাও নেই ? -আছে। পয়ষট্টি টাকা মণ, নেবে ? : পারবে নিতে ? অনঙ্গ-বেী হেসে বললে-আমার হাতের একগাছা ৰুলি আছে, তাই বেচে চাল নিয়ে এসে । তিনদিন কেটে গেল । চাল তো দূরের কথা কোন খাবারই মেলে না। কলাইয়ের মণ ষোল টাকা, ड's li७भ्रां फूक्षद्म । কােপালী-বেী না খেয়ে রোগ হয়ে গিয়েচে, তাব চেহাবায় আগের জলুস আর নেই। সন্ধ্যাবেল পা টিপে টিপে অনঙ্গ-বৌয়ের কাছে এসে বললে-কি কারচো বামুন-দিদি ? --বসে আছি ভাই, রান্না-বান্না তো নেই। -6न 6ऊा कióद्रा ८नश्ले । --কি খেয়েছিস ? সত্যি বলবি ? কােপালী-বেী চুপ করে রইল। অনঙ্গ-বেী ঘরের মধ্যে গিয়ে এদিক-ওদিক খুজলো। কিছুই পেলে না। 9ܛܽܠ ܝ