পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-द७छ भड़क क७ । य७७ °क কিছুক্ষণ দুজনেই চুপ। পরে লোকটা পুনরায় আকুলভাবে বললে-- তবে কি হবে না ? গঙ্গাচরণ নীরব। দুমিনিট । -পণ্ডিত মশায ? -বাপু হে, অমন বক বক করে না । মাথা ধরিয়ে দিলে যে বকে । iिgi७, उदg७ i७ -- লোকটা ধমক খেয়ে চুপ করে রইল, যদিও সে বুঝতে পারলে না। এতক্ষণ সে এমন কি বকছিল, যাতে পণ্ডিত মহাশয়ের মাথা ধরতে পারে । নিজে থেকে সে কোনো কথা বলতে আর সাহস করলে না । গঙ্গাচৰণ নিজেই খানিকটা চিন্তার পর বললে-কুলকুণ্ডলিনী জাগরণ" করতে হবে, বডড শক্ত কথা । পয়সা খরচ করতে হবে। পারবে ? লোকটা এবার উৎসাহ পেয়ে বললে-আপনি যা বলেন পণ্ডিত মশাই । আমাদের গায়ে আমরা সাট-সত্তর ঘর বাস করি। হিন্দু মেছলমান মিলে চান্দা তুলে খরচ যোগাবে। প্ৰাণ নিয়ে কথা, আশেপাশের গা মরে উজোড় হয়ে যাচ্চে, পয়সা যদি খরচ কল্লি আমাদের প্রাণগুলো বঁাচে -- নদীর জল খাও ? -আজ্ঞে হঁ্যা, আমাদের গায়ের নিচেই বাওড়- বঁওড়ের জল খাই । -গা বন্ধ করলে বাওড়ের জল আর খেতে পাবে না কেউ । পাতকুয়োর” জল খেতে হবে । -সে আপনি যেমন আজ্ঞে করবেন।--কত খরচ হবে বলুন। গঙ্গাচরণ মনে মনে হিসেব করবার ভঙ্গি করে কিছুক্ষণ পরে বললেসর্বসাকুল্যে প্ৰায় ত্রিশ টাকা খরচ হবে-ফর্দ করে দিচ্চি নিয়ে যাও । লোকটা যেন নিঃশ্বাস ফেলে বাচালো। এত গম্ভীর ভূমিকার পরে মাত্র ত্রিশটি টাকা খরচের প্রস্তাব সে আশা করেনি। কিন্তু গঙ্গাচরণের উচ্চাশার সীমা পৌছে গিয়েচে, ভাতছালাতেও যাকে স্ত্রীপুত্রসহ অনেক সময় দিনে রাতে একবার মাত্র অন্নাহার করে সন্তুষ্ট থাকতে হয়েচে, সে এর বেশী, চাইতে পারে কি করে ? গঙ্গাচরণ বাড়ীর মধ্যে ঢুকে স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করলে। সংসারের কি কি দরকার ? অনঙ্গ-বেী বেশী আদায় করতে জানে না । স্বামী স্ত্রীতে পরামর্শ করে একটা ফর্দ খাড়া করলে, তেমন ব্যয়সাধ্য ফর্দ নয় । WS