পাতা:বিভূতি বীথিকা - বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভানু ৰললে-কি নাকি চালের দোকান লুণ্ঠ হয়েচে, অনেক লোককে পুলিসে ধরে নিয়ে গিয়েচে-এই সব। অনঙ্গ-বেী আশ্বস্ত হলো, তার স্বামী লুঠের ব্যাপারে কখনো থাকবে না, সুতরাং পুলিসে ধরেও নিয়ে যায় নি, হয়তো ওই সব দেখতে দেরি করে ফেলেচে। তবুও সে হাবুকে ডেকে বললে-ও হেবো, একটু এগিয়ে দেখা নাহাট থেকে লোকজন ফিরে এলো। এত দেরি হচ্চে কেন ? এমন সময়ে শূন্য চালের থলে হাতে গঙ্গাচরণ বাড়ী ঢুকে বললে-ওঃ, কি বিপদেই আজ পড়ে গিয়েছিলাম। আমাকে কিনা ধরেচে। চোর বলে । অনঙ্গ বলে উঠলো।-সে। কি গো ? -হ্যা, ওই বন্যে বেড়ের সাধুচরণ দফাদার আর দু’ব্যাটা চৌকিদার। -ওম, তারপর ? --তারপর বেঁধে আর কি ! শেষে এ গায়ের লোকজন গিয়ে না পডলে বেঁধে নিয়ে যেত । -কি সব্বনাশ গা । মা সাত ভেয়ে কালীর পুজো দেবো স পাচ আনা । মা রক্ষা করেচেন । - যাক, সে তো গেল এক বিপদ, ইদিকে যে তার চেয়েও বিপদ । চাল ८°ब्ांश न श८ ।। --তুমি ভেবো না, আমি রাতটা চালিয়ে দেবো এক রকমে। কাল দুপুরেও চালাবো। সারাদিনে চাল যোগাড কবে আনতে পারবে এখন খুবই। বাইরে এসে তাড়াতাডি ভানুকে বললো-ভানু দিদি, আমায় এক পালি চাল ধার দিতে পারবে আজ রাতের মত ? উনি হাটে গিয়ে হ্যাংনামাতে পডে গিয়েছিলেন, চাল কিনতে পারেন নি । ভানু বললে-“এখুনি পেঠিয়ে দিচ্চি। ঠাকরুণ দিদি । -न। लि केिङ् ब्रांड डांड श्व न । -ওম, সে কি কথা ঠাকরুণ দিদি, নয়তো আমি নিজে নিয়ে আসচি । ভানু চলে গেল বটে। কিন্তু চাল নিয়ে এলো না। এই আসে এই আসে। করে প্রায় ঘণ্টাখানেক কেটে গেল, তখনও ভানুর দেখা নেই। অনঙ্গ-বেী আশ্চর্য হয়ে গেল, ব্যাপারটা কি ? এই গ্রামে এসে পৰ্যন্ত যার কাছে যা মুখ ফুটে চেয়েচে সে তখুনি পরম খুশির সঙ্গে সে জিনিসটা এনে দিয়ে যেন কৃতাৰ্থ 8V)