8 विकृडि-ब्रक्रमांक्नौ
—মাছ দেখতে পাঠাবো রঘুয়াকে ?
—কোনো দরকার নেই! আমাদের ওতেই হয়ে যাবে।
—চলুন ওল্পরের ধরে। রাতে এখানে খাবেন এবং থাকবেন।
—মইলে আর যাচ্ছি কোথায় ?
গ-যেতে চাইলেও যেতে দেওয়া হবে না ।
ওপরের বসবার ঘরটিতে বন্ধুর লাইব্রেরী । দেওয়ালের গায়ে সারি দেওয়া কাচের আল মারি, সাধারণতঃ বিজ্ঞান ও ইতিহাসের বইয়ে ভর্তি। দেওয়ালে বড়-বড় অয়েল-পেটিং— প্রতিকৃতি বই—সবই ল্যাগুলকেপ | ভাল চিত্রকরের হিমালয় অঞ্চলের দৃপ্ত। আমার বন্ধু হিমালয়কে অত্যন্ত ভালবাসেন। হিমালয় অঞ্চলের ভৌগোলিক তত্ত্ব তার নখদর্পণে। অনেকদিন রাত্রে হিমালয় ভ্রমণের নানা মনোরম গল্পে রাজি কথন কেটে গিয়েচে, টেরও পাই 衍1
ওপরের ঘরে যখন গিয়ে বসলুম, তখন টেবিলের ওপর একখানা ছবিওয়ালা বই খোলা পড়ে আছে। বন্ধু হাতে নিয়ে বললেন—এখানা দেখেচেন ? হিমালয়ান জর্নাল। সোয়েন হেদিনের ভ্রমণ-বৃত্তাস্ত বেরিয়েচে ।
—কোথাকার ?
—কাশ্মীর ।
—এমন শোঁখীন স্থানে সোয়েন হেদিন বেড়াতেন বলে তো জানতাম না। কোথায় তাকূল৷ মাকান, কোথায় কারাকোরম—এ সব দূর দুর্গম স্থান ছাড়া তিনি—
—না। চমৎকার দৃপ্তের বর্ণনা করেচেন এ লেখাটায়, দেখবেন।
—দেখবার চোখ ছিল ভদ্রলোকের—যা সকলের থাকে না ।
—একশো বার সত্যি ।
তারপর আমাদের গল্প আরম্ভ হোল প্রধানত: কাশ্মীর নিয়েই। কাশ্মীর আমার বন্ধুটির জীবনের একটি তীর্থক্ষেত্ৰ—অনেকবার তিনি ক্লান্ত নাগরিকের মন ও চক্ষুকে বিশ্রাম দেওয়ার জন্যে দেশ-বিদেশে ভ্রমণে বেরুতেন আমি জানি। কাশ্মীরেও গিয়েচেন অনেকবার। কাশ্মীরের কথায় সাধারণতঃ তিনি পঞ্চমুখ হয়ে পড়েন। এবার কিন্তু একটা নতুন বিষয় নিয়ে তিনি কথা পাড়লেন। সেটা হোল তার একটি অতি প্রাকৃত অভিজ্ঞতা, যেটা কাশ্মীরের পথেই
ঘটেছিল । ም
বন্ধু বললেন : 愛 সেবার পূজোর পরে আমার বাল্য স্বহৃদ রতিকান্ত মৈত্রের সঙ্গে পরামর্শ করে তারই মোটরে দু-জনে কাশ্মীর যাত্রা করা গেল । রতিকান্ত প্রতিবৎসর নিজের মোটর নিয়ে গ্রাও ট্রাঙ্ক রোড ধরে কোথাও না কোথাও যাবে। এবার আমারই কথায় সে কাশ্মীর রওনা হোল। পখের আনন্দ ও কষ্ট ভোগ করতে করতে আমরা দিল্লী গিয়ে পৌঁছলাম। সেখানে
পাতা:বিভূতি রচনাবলী (অষ্টম খণ্ড).djvu/৪২২
পরিভ্রমণে ঝাঁপ দিন
অনুসন্ধানে ঝাঁপ দিন
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।
