পাতা:বিভূতি রচনাবলী (একাদশ খণ্ড).djvu/১৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দম্পতি Sáe আনে। অনঙ্গ এজন্য নিৰ্ম্মলের উপর সস্তুষ্ট নয়। সে পায়রার কিছু বোঝে না, ভাবে, নিৰ্ম্মল ফাকি দিয়া স্বামীর নিকট হইতে টাকা আদায় করে । ছপুরের দিকে অনঙ্গ স্বামীর কাছে বসিয়া বলিল—তুমি আজকাল আমার সঙ্গে কথাও বলো না • • • —কে বলেচে, বলিনে ? —দেখতেই পাচ্চি। কাছে বসলে বিরক্ত হও । — ওটা বাজে কথা। আসল কথাটা বলো, কি ? মতলবট কি ? —আমাকে পঞ্চাশটি টাকা দাও । —অনেকক্ষণ বুঝেছি, এইরকম একটা কিছু হবে। —দেবে ? —কি হবে, শুনি ? —তা বলবো না । গদাধর হাসিয়া স্ত্রীর মুখের কাছে হাত নাড়িয়া বলিলেন – তবে যদি আমিও বলি, দেবো না ? - অনঙ্গ ডান হাতে ঘুষি পাকাইয়া তক্তপোশের উপর কিল মারিয়া বলিল—আলবৎ দিতেই হবে। —কখন দরকার ? —আজই। এক জায়গায় পাঠাবো । গদাধর বিস্ময়ের স্বরে বলিলেন—পাঠাবে ? কোথায় পাঠাবে ? অনঙ্গ কিছুক্ষণ চুপ করিয়া থাকিয়া অপেক্ষাকৃত গম্ভীর ও বিমৰ্ষভাবে বলিল-দাদার কাছে | গদাধর আর কোনো কথা কহিলেন না। শুধু বলিলেন-আচ্ছা, গদিতে গিয়ে পাঠিয়ে দেবেী-এখন । র্তাহার এই বড় শালাটি মানুষ নয়, টাকা ওড়াইতে ওস্তাদ । বাপের অতবড় বিষয়টা নষ্ট করিয়া ফেলিল এই করিয়া । ছোট বোনের কাছে মাঝে মাঝে হয়তে অভাব জানায়— স্নেহময়ী অনঙ্গ মাঝে-মাঝে কিছু দেয় দাদাকে—ইহা লইয়া গদাধর বেশি ঘাটাঘাটি করিতে 5R F1 | কিন্তু একদিন এমন একটি ব্যাপার ঘটিল, যাহা গদাধর কখনো কল্পনা করেন নাই ! বৈকালের দিকে ঘুম হইতে উঠিয়া তিনি গদির দিকে যাইতেছেন, এমন সময়ে একখানি গরুর গাড়ী তাহার বাড়ীর দিকে যাইতে দেখিয়া, পিছনে ফিরিয়া সেখানার দিকে চাহিয়া রছিলেন। গাড়ী তার বাড়ীর সামনে থামিল। দূর হইতে তিনি বেশ দেখিতে পাইলেন— একটি পুরুষ ও একটি স্ত্রীলোক গাড়ী হইতে নামিল—পুরুষটিকে তাহার বড় শাল বলিয়৷ বোধ হইল—কিন্তু স্ত্রীলোকটি কে ? বড় শালা তো বিপত্নীক আজ বছর-দুই-ও-বয়সের