পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*जांबजौ \06**No দিও এবং বালক-বালিকাদেরও জানিও । তুমি আমার স্বেহাশীৰ্ব্বাদ গ্রহণ কোরো। শ্ৰীবিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ৪১, মির্জাপুর স্ট্রট ৩রা আশ্বিন ’৪৭ সাল, বৃহস্পতিবার কল্যাণীয়াস্ক, আজই ওবেলা তোমার পত্র পেলুম এবং তোমার শরীর ভাল আছে জেনে আনন্দ হোল। তোমার রাগের আমি মূল্য দিইনে, কল্যাণী ? তোমার রাগের ভয়ে কতবার যা তুমি বলেচ তাই শুনেচি। তবে সেদিন ওই ব্যাপারটা ছিল তাই তোমার সাগ্রহ আহবানের সন্মান রাখতে পারি নি, সেজন্য কিছু মনে করতে পারবে না কিন্তু। কিছু মনে আসে যদিও, স্নেহভরে উপেক্ষা করে। সুেদিন ওর মানপত্রের সঙ্গে এই যে চিঠির কাগজে তোমায় লিখচি, এরকম তিনশে। কাগজের প্যাড বাধিয়ে দিয়েচে—নাম ছাপানো স্বদ্ধ। আর দিয়েছে - একটা পার্কার vacumatic পেন, একটা রুপোর সিগারেট কেস। এ ছাড়া অনেক ফুল, মালা, ফুলের তোড়া ইত্যাদি। অনেক লোক এসেছিল। তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায় সভাপতিত্ব করেছিল। গান, আবৃত্তি, প্রবন্ধ-পাঠ, কবিতা-পাঠ হয়েছিল। যখন জিনিসগুলো নিয়ে, বিশেষতঃ ফুলগুলো নিয়ে মেসে ফিরলুম, তখন তোমার কথা এত মনে হচ্ছিল ! তুমি থাকলে ফুলগুলো দিয়ে দিতুম, জিনিসগুলো দেখাতুম, মায়াকে সভায় আনবো ভেবেছিলুম–কিন্তু তারাশঙ্কর আর একটা কোথাকার সভা সেরে কখন আসবে তার স্থিরতা ছিল না বলে মায়াকে আন৷ হয় নি—বিশেষ করে বেলা ২৭ টার সময় বৌবাজারে আমায় 'কৃষ্টিকল সাহিত্য সমিতি'তে সভাপতিত্ব করতে হয়েছিল। মায়াকে আনার সময়ই পাওয়া গেল না। ধূমকেতু দেখার স্বযোগ ঘটে নি। ছেলেবেলায় হ্যালির ধূমকেতু উঠেছিল শুনেচি মাত্র, কিন্তু তখন খুব ছেলেমানুষ, পাড়াগায়ে থাকি—কেউ দেখায় নি। সে আজ ত্রিশ বছর আগের কথা। তোমার ভাল লাগবে বলে তোমার ফরমাশ মত তো ধূমকেতু উঠতে পারে না। এখনও ৪৫ বছর দেরি আছে আবার সেটা ফিরে আসতে। ততদিন অপেক্ষা কর। এখন তোমার বয়েস ১৫ তো ? ১৫+৪e = ৬০ বছর যখন তোমার বয়েস হবে, তখন যদি ধূমকেতু দেখতে পাও—আমার কথা তোমার মনে হবে কি তখন ? আমি তখন মরে ভূত হয়ে যাবো। তুমি তখন বৃদ্ধ, নাতিপুতি-বেষ্টিতা হয়ে গল্প করবে বসে সন্ধ্যাবেলায়। নাতনীকে আজুল দেখিয়ে বলবে—ওই স্বাখ রেখা, হালির ধূমকেতু উঠেচে–বিভূতিবাৰু বলে একজন লোক আমার ছেলেবেলায় আমায় বলেছিল, এ ধূমকেতু আমি দেখবো। আজ বিভূতিবাবুর কথা তাই মনে পড়চে । রেখা বলক্সে-কে বিভূতিবাৰু ঠাকুরমা ?