পাতা:বিভূতি রচনাবলী (দশম খণ্ড).djvu/৩৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ტჯye বিভূতি-রচনাবলী তুমি বলবে—৪ই আমাদের সেকেলে একজন লেখক ছিল, বেশ বইটই লিখতেী— রেখা ভবিষ্কং যুগের মেয়ে তো–তাই ছোট বোন শিখার দিকে চেয়ে মুচকি হেসে বলবে —ঠাকুরমার যেমন কথা তাই ! কোথাকার কে বিভূতিবাবু, সে নাকি আবার বই লিখতো ! আমাদের নবজীবনবাবু কি প্রদীপবাবুর মত লেখক কোন কালে বাংলা দেশ, দেখেচে ? ঠাকুরমার সব সেকেলে ঢং—তারপরে দুইবোনে খিলখিল করে হেসে উঠবে। মৃত্যুলোকের পার থেকে হয় তো সস্নেহ দৃষ্টিতে ভবিষ্কং যুগের নবীন বালিকা দুটির দিকে চেয়ে ভাববো–একদিন ওদের ঠাকুরমা ওইরকম বালিকা ছিল, ওদের মতই। তার নাম কল্যাণী—কিন্তু নাতনীরা হয়তো সে নাম জানে না। বুড়ী ঠাকুমার নাম জানবার জন্যে তাদের তত আগ্রহ নেই, নিজেদের প্রসাধন নিয়েই ব্যস্ত। তরুণ মাত্রেই স্বার্থপর কিনা— নিজেদের কথা ছাড অপরের কথা ভাববার অবকাশ বা স্পৃহা ওদের বড় একটা থাকে না। জ্যোৎস্নার কথা তুমি লিখেচ, আমার ভাই লিখেকে ঘাটশিলার মাঠ বন জ্যোৎস্নালোকে অদ্ভূত হয়েছে দেখতে, সেবা লিখেচে শিলং-এ এবারে নাকি অদ্ভুত জ্যোৎস্না। গত শুক্লপক্ষের জ্যোৎস্না নিশ্চয় খুব অদ্ভূত না হলে তিন জায়গা থেকে তিনজনে লেখে নি–কিন্তু হয়ে আমি জ্যোৎস্নার এতটুকু দেখি নি। আকাশের চাদ দেখেচি হয় তো, ভেবেচি—আজি দেখচি চাদ বেশ বড়, বোধ হয় একাদশী কি চতুর্দশী তিথি হবে-এই পৰ্য্যস্ত। সে চাদের জ্যোৎস্না মাটির পৃথিবীতে পড়তে দেখি নি—বেচারী চাদের সাধ্য কি বিংশ শতাব্দীর আধুনিকতম স্বসভ্য শহর কলিকাতার বৈদ্যুতিক আলোর ব্যুহ ভেদ করে তার আলো পাঠাতে , সাহস করে সেখানে ? আমি তোমার জন্মভূমিকে ভালবাসি কিনা জিগ্যেস করেছ—নিশ্চয়ই বাসবো । তোমার যখন জন্মভূমি তখন সে আমার শ্রদ্ধার পাত্রী নিশ্চয়ই। তবে চোখে না দেখলে তো ভালবাসা যায় না, একদিন স্বতরাং দেখার আগ্রহ রইলো। ফটো নিশ্চয়ই পাবে। আমার মনে আছে —তবে এই সময়টা বড় ব্যস্ত আছি বলে পরিমলকে দিয়ে ফটাে তুলধার অবসর পাচ্ছিনে। পূজার সময় ঠিক পাবে। আচ্ছা, আমার ভ্রমণ তালিকা বনগায়ে গিয়ে তোমাদের সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করা যাবে। তোমাদের মানে তুমি আর বেলু, আর অবিপ্তি মায়। যদি ওখানে সে সময় থাকে। তবে চাটগা যেতেই হবে যদি গোয়ালিয়র যাওয়া না ঘটে—রেণু আবার একখানা চিঠি দিয়েচে, চাটগায়ে যেতেই হবে নইলে সে নাকি রাগ করবে। এ মাসের প্রবাসীতে আমার ‘স্বলোচনার কাহিনী’ গল্পটা বেরিয়েচে । ওখানে 'প্রবাসী’ পাও তো পড়ে দেখে—নয় তে। আমি নিয়ে ৰাবো এখন। সেদিনকার সেই প্লটটা নিয়ে ‘বাক্সবদল’ নাম দিয়ে গল্পটা লিখেচি-কাত্তিক মাসের শারদীয়া সংখ্যা “বঙ্গশ্রী'তে বেরুবে। মায়ার সেই বাক্সবদলের কথা—মনে আছে তো ? আশা করি কুশলে আছে। তুমি আমার স্নেহাশীৰ্ব্বাদ নিও—বেলু ও অন্যান্ত বালকবালিকাদের স্নেহাশীৰ্ব্বাদ জানিও। बैविङ्कठिफूष1 बागानांशाब्र