পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৪৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

89२ बेिङ्कडि-ब्रध्नांवजौ হরদয়াল সিং বললেন—একবার লোহারভগা না নেতারহাট এমনি কোনো একটা জায়গার কাছাকাছি বনে তিনি একটা ঝর্ণায় স্নান করেছিলেন বনের মধ্যে। তারপর সব শরীরে চাকা চাকা কি বেরিয়ে ফুলে গেল। তা ছাড়া ম্যালেরিয়া জর হোতে পারে। অতএব ঝর্ণায় স্নানের আশা ছেড়ে আমরা বাথরুমের টবের জলেই স্নানপৰ্ব্ব সমাধা করলাম। অল্প কিছুক্ষণ বিশ্রাম করার পর দেখা গেল বনের মধ্যে ছায়া পড়ে আসচে। চারি দিকেই বড় বড় শৈলচুড়া, জায়গাটাতে তাড়াতাড়ি ছায়া নেমে আসে। বনের মধ্যে সেই ঝর্ণার কাছে গিয়ে আমরা সবাই বসলুম সেই অপরাত্ত্বে। এর নাম দিয়েচে এর মাছের বাধ। বন-বিভাগ থেকে একটা বাধ মত গেথে দিয়েচে বেগবতী পাৰ্ব্বত্য স্রোতস্বিনীর বুকে । তাতে তার গতিরোধ হয় নি, আরও দ্বিগুণ উচ্ছ্বাসে আবেগে কংক্রুিটের বাধ ডিঙিয়ে এপারে বাঁপিয়ে পড়চে । এই স্থানটি এত সুন্দর, একবার বসলে উঠে আসতে ইচ্ছেই করবে না। - এর সামনের দিকে স্বউচ্চ পাহাড়, তার ঢালুতে বড় বড় শালগাছের বন, এখানে বসে শুধুই দেখা যায় শালগাছের গুড়িগুলো নীচে থেকে ভিড় করে ওপরে দিকে উঠে কোথায় যেন মিলিয়ে গিয়েছে। আমাদের ডানদিকে চওড়া মোটর-রোভ বনবিভাগের নিৰ্ম্মিত, কিন্তু এ পথে মোটর অপেক্ষা বাঘ-ভালুকের বাতায়াত বেশি। যখন কনট্রাক্টরের দল বনের মধ্যে থেকে কাঠ কাটিয়ে নিয়ে যায়, তখন বছরের মধ্যে দিন-কয়েক ওদের মোটর লরি বা মোটর যাতায়াত করে—কচিং বন-বিভাগের উচ্চ কৰ্ম্মচারী মোটরে সফর করতে আসেন-মিটে গেল। মোটরগাড়ী তো দূরের কথা, সারা বছরে এ পথে আর লোকজন বড় বেশি যাতায়াত করে না । অতিরিক্ত নির্জন স্থান। চেয়ে চেয়ে দেখলুম, একটা লোক কোনো দিকে চোখে পড়ে না—শুধু যা আমরাই আছি। ঋষিদের তপোবন এমনি নির্জন জায়গাতেই ছিল। ভারতের সভ্যতার জন্মস্থান এই বনানী, এখানেই বেদ, উপনিষদ, বেঙ্গাস্তের জন্ম হয়েছিল—হৈ-হট্টগোলযুক্ত শুহরের বুকে নয়। পাশের পথ বেয়ে দুজন লোক পুটলি কাধে কোথায় চলেছে। তাদের ডাকা হোল হেী-ভাষায়, অবিপ্তি আমি ডাকি নি। আমি মিঃ সিংহকে বললুম-জিজ্ঞেস করুন ওরা কোথায় যাচ্চে । * —সৌলবোরা যাব। —এখান থেকে কতদূর ? —সতের মাইল । -८गंथt८म ८कन ? —সেখান থেকে টাকা জানবো-মাড়োয়ারীর গণী থেকে। আমরা কুলি। জঙ্গলে কাঠ কেটেছিলাম, তার মজুরি। —সন্দেবেলা যাচ্ছিল, ভয় করবে না ?