পাতা:বিভূতি রচনাবলী (পঞ্চম খণ্ড).djvu/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

aro-ottos 8&& সবাই বললে-কি ? —এখুনি চলুন সবাই বেরুনো যাক একসঙ্গেষ্টিকাল সকালে হিডনি ফণি নিৰূপিক্‌ कद्भt बांग्लद्-- সবাই মিলে হৈ হৈ করে উঠলো। বেশ ভালো প্রস্তাব। পরেশবাবু বললেন—আমারও অনেকদিন ওটা শ্বের ইচ্ছে ছিল—তাই চলুন। বােধ মোটর বা করতে চলে ¢श्रज । আমরা মিঃ সিন্‌হার বাড়ী গিয়ে খাবার জিনিসপত্র গুছিয়ে বেঁধে ছেদে নিলাম। আধ ঘন্টার মধ্যে প্রায় চল্লিশ মাইল দূরবর্তী ঘন অরণ্য মধ্যে অবস্থিত হিডনি জলপ্রপাতের কাছে বনভোজন করবার সব মুয়ন ঠিক করে মোটর ছেড়ে দিলাম। আমাদের সঙ্গে একজন বন্ধু ছিলেন.তিনি কেবল বললেন –আমার আজ যাওয়া হবে না। ঘাটশিলায় ফিরতে হবে, আমাকে দয়া করে চক্ৰধরপুরে বন্ধে-মেল ধরিয়ে দেবেন্ধু— এখন স্থাত চারটে । চক্ৰধরপুব মাইল ষোলো আঠারো রাস্তা। আমরা জেঃগুলোকিত ് দিয়ে রোরা নদীর পুল পাব হয়ে সবেগে মোটর ছুটিয়ে দিয়েটি টু’ ছোট বড় পাহাড়, বর্ষায় বনানী সবুজ হয়ে উঠেচে, জ্যোংরা পড়েচে পাহাড় দীর জলে ক্লাব মাঝে দু-একটা হো-অধিবাসীদের বন্তগ্রাম। পরেশবাবু প্রকৃতিবসিক ব্যক্তি। বুল্ললেন – এদিকে কখনো আসি নি—ভারি চমৎকার তো ? কি মুন্দর জ্যোৎস্ব উঠেচে । স্ববোধ বললে—আরও আগে চলুন, আরও ভাল দেখবেন— • একটু পরে সঞ্জয়-নদীর পুল পার হয়ে আমরা দূরে চক্ৰধরপুরের সাদা সাদ বাড়ী দেখতে 'পেলাম। ঘাটশিলার বন্ধুটি তাড়াতাডি কবতে লাগলেন, পাচটা বাজার দেরি নেই, বম্বে মেল পাওয়া যাবে তো ? চক্ৰধরপুর স্টেশনের বাট-র আমরা মোটর থামালুম, বন্ধুটি নেমে গেলেন। মিঃ সিনহা বললেন—একটু দুধের ধোগাভ করলে হোত । সকাল হোলেই তো চ চাই দুধ নেই সঙ্গে । স্বৰোধ বললে—শেষ রাত্রে এখানে দুধ পাওয়া যাবে বলে মনে তো হয় না। চেষ্ট করতে পারেন । কিন্তু স্থবোধের কথাই ঠিক হোলো। কোথাও দুধ মিললো না চক্ৰধরপুর স্টেশনে। আমরা মোটর ছাড়লাম। আরও স্বাধঘণ্টা পরে আমরা কিছু দূরে টেবো পাহাড়শ্রেণী দেখতে পেলাম। কেউ কেউ এটাকে সেরাইকেল পাহাড়শ্রেণীও বলে। পাহাড়ের ওপর ঘুরে ঘুরে রাচি-রোড উঠেচে ওপরে। পাহাড়ে উঠবার কিছু জাগে রাস্তার ধারে ইংরিজিতে লেখা আছে "এখান থেকে ঘাট আরম্ভ'-পাহাড়ী রাস্তাকে এদেশের ভাষায় “ৰাট” বলে। অনেকদিন আগের কথা, তখন আমি এসব দিকে আলি নি। আমাদের এক গ্রামের বুদ্ধ ভালোক চক্ৰধরপুরে কি কাজ করতেন। তার মুখে শুনেছিলাম চক্ষরপূরে রাচি রোডে৷