পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/২৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

는 g বিভূতি-রচনাবলী আমার নাম যেন করিস নে— তার বল্লে—সে আমি পারবে না। অম্বখ গায়ে মুড়কি খাবে কি ? তারপর শেষকালে ঠাকৃম। টের পেলে আমায় বকে ভূত ঝাড়াবে । চল্লাম আমি—ও বৌদিদি, শুনে যাও জেঠিম ভাকচে— পুত্রবধু বিরক্ত মুখে এসে দূরে উঠোনে দাড়িয়ে বল্পে—বলি ডাকের ওপর ডাক কেন অত ? আমার সংসারে কাজকৰ্ম্ম নেই, না তোমার কাছে বসে থাকলে চলবে ? কি বলচে। বলো— নিস্তারিণী কাতরস্বরে বল্লে—তা রাগ করিস নে আমার ওপর বৌমা । আমায় দুটো ভাত দে– 戰 —দিই। জরে বেহু শ হয়ে পড়ে আছ, ভাত না খেলে কি চলে ! —তবে আমি কি খাবো, খিদে পায় না ? —আমি জানিনে। আদিখ্যেতার কথা শোনো"। খিদে পায় তা আমি কি করবো ? ঠাকৃমা এলে বলে। ঠাকৃমা না বল্পি আমি ভাত দিতি পারবো না। —পিনটু কোথায় ? একটু ডেকে দে আমার কাছে—বডড ইচ্ছে করে দেখতি— পুত্রবধূ ঝঙ্কার দিয়ে বলে উঠলো—অত সোহাগে আর কাজ নেই। ছেলের মাথা খেয়ে বসে আছে, এখন নাতিটি বাকি ? নিস্তারিণী মিনতির স্বরে বল্পে—অমন ক’রে বলতি নেই, বৌমা । তা দে ডেকে, কিছু হবে না, দে একবার ডেকে— পুত্রবধূ হাত প। নেড়ে বল্লে—না—না—হবে না। তোমার পাণ্ডুর রোগ হয়েচে, বিত্র ছোয়াচে রোগ। আমি ছেলে পাঠাতি পারবো ন তোমার কাছে । গেলি আমারি যাবে – তোমার কি ? কথা শেষ ক’রেই মুখ ঘুরিয়ে পুত্রবধু চলে গেল। নিস্তারিণীর দুই চোখ দিয়ে ঝর ঝর ক’রে জল গড়িয়ে পড়ে ছেড়া, ময়লা, তেলচিটে বালিশট ভিজিয়ে দিলে। এমন কথাও লোককে লোকে বলে—তাও নিজের পুত্রবধূ। সাধনের নাম রেখেচে ওই ধুলোগুড়োটুকু— ওই অবোধ শিশু। মা সাতভেয়ে কালী, তার মঙ্গল করুন, মঙ্গল করুন —সে না তার ঠাকুর-মা ? বৌমা বলে কিনা, গেলে তারই যাবে। সন্ধ্যার কিছু পূর্বে নিৰ্ম্মলা বামুনবাড়ীর কাজকৰ্ম্ম সেরে ফিরে এল। বড় জায়ের কাছে গিয়ে বল্লে—কেমন আছ দিদি ? দেখি, গা দেখি— , নিস্তারিণী না ঘুম না জরে আচ্ছন্নমত হয়ে পড়ে ছিল, কপালে ঠাণ্ড হাতের স্পর্শ পেয়ে জেগে উঠে বলে—কে ? ছোট বৌ ? তুই আবার আমায় ছলি কেন, তোর পাছে পাণ্ডুর রোগ হয়—আজ আমায় বৌমা বলেছে—ই্য, ছোট বৌ সাধনের ছেলে আমার কেউ নয় ? বুলো তুমি— নিস্তারিণী নিঃশব্দে কঁদিতে লাগলে। নিৰ্ম্মলা বলে—চুপ করে চুপ করে দিদি, সবই 曼了。 $