পাতা:বিভূতি রচনাবলী (সপ্তম খণ্ড).djvu/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6इ अंब्रॐj कधं कe 8&S মাটি ও কাকরের উচ্চাবচ টিবির সঙ্গে, এই রেক্রিয়াত দূর দিগন্ডের সঙ্গে, এই লাল খুলে মাখা সাওতাল মেয়েদের সঙ্গে আর কোনো যোগ থাকতো না । সে হয়ে উঠতো একটা টাউনবালিগঞ্জের অক্ষম ও সক্ষম অনুকরণে। যেমন নষ্ট হয়েচে দেওঘর বা মধুপুর বা শিমূলতলায়। এবং নষ্ট হয়েচে খানিকটা ঝাড়গ্রামও । ব্যারাকপুর গিয়েছিলুম ধান চাল গোছাতে। গেলুম সেদিন গুটুকের সঙ্গে রাচী প্যাসেঞ্চারে । যাবার পূৰ্ব্বে দ্বিজুবাবুর বাড়ীতে বেদান্ত ও ব্রহ্মবাদ সম্বন্ধে কত আলোচনা করি —ফিরে এসে আর দেখা হয়নি। কলকাতায় যাবার বুকিং বন্ধ, অতি কষ্টে ব্রেকভ্যানে একটু জায়গা করে নিলুম। সকালে কলকাতায় পৌঁছে—রমেশ ঘোষালের বাড়ী গিয়ে তালনৰমী’ পুস্তকের contract হোল । সেখানে দেখলুম ‘Indian arts and Letters' Wol of owl, যাতে আমার কথা লিখেচে । সেদিনই তিনটার ট্রেনে বনগ্রামে গিয়ে বন্ধুর বাসায় থাকি । টঙ্ক আছে এখানেই। ভীষণ শীত রাত্রে। • লিচুতলায় মনোজবাৰু, যতীনদী, মন্মধার সঙ্গে জমাট আড্ডা। মিতে এসে বল্পে ‘স্বপ্ন বাস্থদেব বড় ভাল লেগেচে । অন্ধকারে মনোজবাবু ও আমি মিতের সঙ্গে এলুম স্বরেনের বাড়ী। সন্তু এল অনেক রাত্রে। কত গল্প—বিশেষত: সারেও বনভ্রমণের। সকালে উঠে নন্‌কুর আনা কেক্‌ ও pastry চা দিয়ে খাই । মিতের বাড়ী ছুপুরে খেয়ে গৌরী ও মিতের সঙ্গে ভাগবদগ্রসঙ্গ আলোচনা করলুম। তারপর ব্যারাকপুরে গেলুম। সজনে ফুলের গন্ধ সর্বত্র। ইন্দু ও খামাচরণদার বাড়ী বসে গল্প করি। পরদিন নদীতে স্নান করে বড় তৃপ্তি হোল । খেয়ে ঘুমিয়ে উঠে হারিকেন হাতে ইন্দু রায়ের সঙ্গে গল্প করতে করতে বাজারে বা নগরে গেলুম—যেমন ছেলেবেলায় দেখতুম অমৃত কাকাকে করতে। যেন আমি এই ব্যারাকপুরের একজন চাৰীবাসী গৃহস্থ, খাজনা আদায় করে বেড়াই। বারিকের বাড়ী ধান ও খাজনা আদায় করতে গিয়ে রস খাই ও বেগুন নিয়ে আসি তপজলের বাড়ী থেকে কাপড়ে করে—ঠিক গ্রাম্য গৃহস্থের জীবন। এখনও ছোট এড়াঞ্চির ফুল গাছে গাছে—একরকম কণ্টকলতার খোলো খোলো ফুলের কি স্ববাস। সজনে স্কুলের গন্ধ পথের বাতাসে । বিকেলে মল্প মাস্টারের বাড়ী গিয়ে বললুম। মেলা স্কুলের ছেলেরা এল, ননী মাস্টার এল, শশধর মূহুরী এল। সারেও ফরেস্টের গল্প করি ওদের কাছে ; চ খেয়ে সন্ধ্যার আগে বাড়ী চলে এলুম। যুগল মরার দোকানে একটা লেডিকেনির দাম চার জানা-তাই খেয়ে একটু জলযোগ করি । এই সেই সময়—যে সময় ১৯৩৭ সালে আমি পাটনা গিয়েছিলুম সভ করতে। শিবপ্রিয় ৰন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ী । মোজার্টের uiuuet in c minor শুনেছিলুম গঙ্গার ধারের বালির চড়ার দিকে চোখ রেখে। উড়ে বেয়ারা তত্ত্ব নিয়ে এলেছিল খুকুদের বাড়ী—সে সব দিন জতীতের গহন কুজৰাটিকায় অস্পষ্ট হতে চলেচে। কোথায় আজ খুকু। পরদিন সকালে কুঠীর মাঠে বেড়াতে গেলুম, গাছে গাছে কুল পেকেচে—মনে আলচে