পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eधंथभ घृश्च ] বিরাজ-বে। বিদেয় করে আয় । এসে ঐ পোড়া কলকে ফলকে কোথায় কী আছে মুকোনো, সব টান মেরে ফেলে দিযে আয় নদীতে । যদু বাহিরে গেল বিরাজ রান্নাঘরে প্রবেশ করিতে উদ্যত, এমন সময় নীলাম্বর ও হরিমতিকে দুইপা যাইতে দেখিয়া সে ফিরিয়া বলিল— বিরাজ । কোথায যাওযা হচ্ছে ? হরিমতি । কোথাও না বৌদি, এই একটু— বিরাজ । একটুও নয, বেশিও নয, কোথাও যেতে হবে না । (স্বামীর প্রতি) রোদ চড়ে গেছে, রোগ শরীরে হট হটু করে বনে বাদাড়ে ঘোরা চলবে না তোমার । এইখানে বসে তামাক খাও, ভাইবোনে নালিশ ফরেদ কর । বাইরে বেরোলেই যত রাজ্যের অকাজ নিয়ে মাতবে তুমি । নীলাম্বর । আমি বুঝি খালি অকাজ করেই বেড়াই বিরাজ ? বিরাজ । হঁ্যা গো ঠাকুর, তোমার কাছে পরম স্বকীজ, কিন্তু আমি ভয়ে কাটা হয়ে খাকি । গায়ে রোগেরও সীমা নেই, আর তোমারও কাজের কামাই নেই। কার সেবা হচ্ছে না, কে ওষুধ পেলে না, কণর গতি হল না—ন বাবু, এই শরীরে তুমি যদি বাইরে বেরোও ত অনখ করব আমি, তা বলে দিচ্ছি । পুনরায় রান্নাঘরে ঢুকিল নীলাম্বর । কাজ নেই গিয়ে, এস দিদি এইখানেই বসি । নীলাম্বর ও হরিমতি রকে বসিল । একটু চুপ করিয়া থাকিয়া হরিমতি দাদার ক্রোড়ের কাছে আরও একটু সরিয়া আসিয়া বলিল— হরিমতি। আচ্ছা দাদা, বৌদি কেন তোমাকে বেষ্টিম ঠাকুর বলে ? নীলাম্বর । (গলার তুলসীর মালা দেখাইয়া) আমি বোইম বলেই বলে ।