चिठौम्न छूथ বাহিরের চণ্ডীমণ্ডপ । প্রশস্ত উচ্চ দাওয়া, সিড়ি নামিয়াছে, পাশ দিয়া গাছপালা ঘেরা পল্লীপথ, দূরে গ্রামের দৃপ্ত, চণ্ডীমণ্ডপের সামনে খড়ের পালুই যদু একটা কলিকাতে ফু দিতেছিল। আগুন ধরিয়া উঠিল, সে হাতের মুঠার উপর কলিকা বসাইরা গোটা-দুই টান দিযাছে, এমন সময পিছন হইতে পথের উপর আসিয়া দাড়াইল নীলাম্বরের প্রজা নবীন দাস। নবীনের কাধে নুতন গামছা, হাতে লাঠি নবীন। কী হচ্ছে গো খুড়োমশাই ? বড়বার আছেন নাকি ? যদু । লবীন চন্দর যে । কী খবর ? হ্যা, বড়বাবু আছেন বই কি । যদু পুনরায় হাতের মুঠায় মুখ লাগাইল। ভিতর দিক হইতে নীলাম্বরের খড়মের শব্দ আসিল । সঙ্গে সঙ্গে সে কলিকায় ফু দিতে প্রবৃত্ত হইল যদু। এই যে বড়বাবু আসতেছেন। নীলাম্বরের প্রবেশ নবীন আগাইয়া আসিয়া প্রণাম করিল। নীলাম্বর পৈতা স্পর্শ করিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিল। যন্ধু ইতিমধ্যে চণ্ডীমণ্ডপের ভিতর হইতে একটা মোড়া আনিয়া দাওয়ায় রাখিয়া কলিকায় ফু দিতে দিতে বাড়ির ভিতর চলিয়া গেল নীলাম্বর । কী খবর নবীন, কোথাও যাচ্ছিস নাকি ? গাওনা আছে বুঝি ? নবীন। আজ্ঞে না দেবতা, গাওনা টাওনা এখন বন্ধ আছে । নীলাম্বর। কী রকম পালা গাইছিস, একদিন শোনালি না ? নবীন। আজ্ঞে, হুকুম করলেই হয়। গঙ্গাজলে গঙ্গাপূজো করে যাব। তা গিয়েছিছু একবার মগরায়, মাহাজনের ঘরে চোত কিস্তির উমুল দিয়ে এই । ঘরে ফিরছি, মনে করা একবার দেবতার চরণ— নীলাম্বর সিড়ির উপর বসিল
পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩২
অবয়ব