পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় দৃশ্ব ] বিরাজ-বেী >> সে দাদার পায়ের কাছে পৈঠার উপর বসিয়া মহাভারত কোলে লইয়া পাতা উণ্টাইতে লাগিল । নীলাম্বর ভগ্নীর মাথায় হাত বুলাইতে বুলাইতে গভীর স্নেহে মাথাটি বুকের কাছে টানিয়া লইল । আপন মনেই বলিল— নীলাম্বর । না থাক । হরিমতি । কী থাক ? পড়বে না দাদা ? নীলাম্বর । সে কথা নয় । তুই থাক দিদি, তুই থাক । তাহার চোখের পাতা ভারি হইয়া আসিল বিরাজ প্রবেশ করিল। বিরাজের পরিধানে এখন পট্টবস্ত্র, সদ্যস্নাত এলো চুল নীলাম্বর । এ কী ? আবার চান করলে নাকি ? বিরাজ । ( সে কথার জবাব না দিযা ) যাই, বাবা পঞ্চানন্দের পূজোট পাঠিযে দিই এইবার। হ্যা গা, ভালো আছে ত ? ও কী ? চোখ ছল ছল করছে কেন ? আবার কি— বলিতে বলিতে কাছে আসিয়া বাহুর দ্বারা কপালের ও হাতের উণ্ট পিঠ দিয়া বুকের উত্তাপ অনুভব করিল না, গা ত ভালই আছে। কী জানি বাপু, আমি ত ভয়ে গুকিয়ে আছি । জানি নে এ বছর মীর মনে কী আছে। ঘরে ঘরে কী কীও যে শুরু হযেছে। পরশু সকালে শুনলুম আমাদের মতি মোড়লের ছেলের সর্বাঙ্গে মা’র অনুগ্রহ হয়েছে—দেহে তিল রাখবার স্থান নেই । নীলাম্বর । ( ব্যস্ত হইয়া ) মতির ছেলের ? মতির কোন ছেলের বসন্ত দেখা দিয়েছে ? বিরাজ। বড়ছেলের । আহা, ঐ ছেলেই ওর রোজগারী । মা শীতলা, গা ঠাও কর মা । ( উদ্দেশে প্রণাম করিল ) গেল শনিবারে