পাতা:বিরাজবৌ-শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 o বিরাজ-বেী [ দ্বিতীয় অঙ্ক অভ্রাণ মাসে এনে ফেলেছ, এখন আবার চোত মাস দেখাচ্ছে, লজ্জী করে না ? চোখের চামড়া বলে কি কোন পদার্থ নেই ? নীলাম্বরের পিছনে ঘরের ভিতর দ্বারের পাশ দিয়া একখানি শাড়ীর আচল দেথা যাইতেছিল। ক্রমে বিরাজের দেহের এক পাশও দেখা গেল বামুনের ছেলে, কটা টাকার জন্তে ঠকামি ধাপ্পাবাজি করছ, নরকেও যে ঠাই হবে না। অনেক দিন সময় দিয়েছি, অনেক ভালমানষি করেছি কিনা। আচ্ছা, টাকা আদায় হয় কি না দেখছি। ছি ছি, এমন জোচোর—- নীলাম্বর উঠিয়া কী বলিতে উদ্যত হইল, কিন্তু আত্মসংবরণ করিয়া আবার বসিয়া পড়িল । ভোলা মুখুজ্যে দুই প। যাইযা আবার বলিল— যাক, আমি আর তাগাদ করতে আসব না, আজ এই শেষ কথা বলে গেলুম। তারপর যা উচিত ব্যবস্থা হয় করব, ভখন আর আমাকে দোষ দিও না বাপু, বুঝলে ? নীলাম্বর । না, আপনাকে দোষ দেব না, আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন। ভোলানাথ । ভাঙ্গেন তবু মচকান না ! স্যাকামি দেখলে হাড় জ্বলে যায়। মিথ্যেবাদী জোচ্চোর— বলিতে বলিতে প্রস্থান বিরাজ অন্তরাল হইতে উঠানে নামিয়া আসিল ও নীলাম্বরের সামনে দাড়াইল । অসহ্য ক্ষোভ ও অপমানের জ্বালায় বিরাজের চোথ মুখ উত্তেজিত বিরাজ । হয় আমাকে ঋণমুক্ত কর, নইলে আজ তোমার পা ছুক্সে অামি দিব্যি করব— পাদস্পর্শ করিতে উদ্যত হইতেই নীলাম্বর তাহাকে হাত ধরিয়া তুলিয়া স্নিগ্ধকণ্ঠে বলিল— নীলাম্বর। ছিঃ বিরাজ, সামাঙ্গতেই আত্মহারা হ’ল নে ।