बिब्रांच-6ो ዓ መ নীলাম্বর চলিয়া গেল, সুন্দরীও এইবার একফোটা চোখের জল আঁচলে মুছিল। এই লোকটিকে মনে মনে সবাই ভালবাসিত, সবাই ভক্তি করিত। সেদিন বিজয়ার অপরাঙ্ক, বিরাজ শোবার ঘরে ঢুকিয়া দোর দিল। সন্ধ্যা না হইতেই কেহ খুড়ে বলিয়া বাড়ী ঢুকিল, কেহ নীলুদা বলিয়া বাহির হইতে চীৎকার করিল। নীলাম্বর শুল্কমুখে চণ্ডীমণ্ডপ হইতে বাহির হইয়া সুমুখে আসিয়া দাড়াইল। যথারীতি প্ৰণাম-কোলাকুলির পর তাহারা বৌঠানকে প্ৰণাম করিবার জন্য ভিতরের দিকে চলিল । নীলাম্বরও সঙ্গে সঙ্গে আসিয়া দেখিল, বিরাজ রান্নাঘরেও নাই, শোবার ঘরেও দ্বার রুদ্ধ । সে করাঘাত করিয়া ডাকিল, ছেলেরা তোমাকে প্ৰণাম করতে এসেছে, বিরাজ । বিরাজ ভিতর হইতে বলিল, আমার জ্বর হয়েছে-উঠতে পান্ধব ୩! !। তাহারা চলিয়া যাইবার খানিক পরেই আবার দ্বারে ঘা পড়িল । বিরাজ জবাব দিল না - দ্বারের বাহিরে মৃদুকণ্ঠে ডাক আসিল, দিদি, আমি মোহিনী-একবারটি দোর খোল । তথাপি বিরাজ কথা কহিল না । মোহিনী কহিল, সে হবে না দিদি, সারা রাত এই দোর গোড়ায় দাড়িয়ে থাকতে হয়, সে থাকৃব, কিন্তু আজকের দিনে তোমার আশীৰ্বাদ नों नेिgभ बांद नां । বিরাজ উঠিয়া কপাট খুলিয়া সুমুখে আসিয়া দাড়াইল ; দেখিল, মোহিনীর বা হাতে এক চুপড়ি খাবার, ডান হাতে ঘটিতে সিদ্ধিগোলা। সে পায়ের কাছে নামাইয়া রাখিয়া দুই পায়ের উপর মাখা ঠেকাইয়া প্ৰণাম করিয়া কছিল, শুধু এই আশীৰ্বাদ কর দিদি, যেন তোমার মত
পাতা:বিরাজবৌ - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২
অবয়ব