পাতা:বিলাতযাত্রী সন্ন্যাসীর চিঠি - ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬৮
বিলাত-প্রবাসী।

ভারি খুসি। গবর্ণমেণ্টকে খুব চেপে ধরেছে। আর গবর্ণমেণ্টের পক্ষের মেম্বরেরা অনেকেই চেম্বারলেনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে। আর এক বিপদ। যে শিক্ষাবিধি (Education Act) পাস হয়েছে তাতে লোকেরা ভারি চটেছে। ইংলিশ চার্চ্চের (Church of England) বিরুদ্ধ সম্প্রদায়েরা (Nonconformist) মনে করে যে এই বিধি অনুযায়ী চলিলে সব ইস্কুল ইংলিশ চার্চের হাতে আসিবে। তাই তারা সহরে সহরে ধর্ম্মঘট কোরেছে যে শিক্ষার জন্য যে টেক‍্স তা কেউ দেবে না। বড় বড় লোক এই ধর্ম্মঘটে যোগ দিয়েছে। যারা টেক‍্স দিচ্ছে না। তাদের আসবাব পত্র সরকারে নীলাম করে টেক‍্স আদায় কর‍্ছে কিন্তু লোকে তবুও শুনছে না। বিদ্রোহ ক্রমশঃই বাড়ছে। ইংরেজ বিধির বড়ই বশ কিন্তু তারা ধর্ম্মহানির ভয়ে এবার বিধির বিরোধী হোয়েছে। গবর্ণমেণ্টের বড়ই বিপদ।

 ইংরেজ হিন্দু জাতিকে নিয়ে বড়ই মুস্কিলে পড়েছে। জাতি শ্বেতবর্ণ না হোলেই কাফ্রি বা জুলুদের মত অসভ্য—এইরূপ এদের ধারণা ছিল। কিন্তু হিন্দুস্থানে এসে তারা সে ধারণাটা হৃদয়ে পোযণ করিতে বড় সুবিধা পায় না। হিন্দুজাতি যে ইংরেজের অপেক্ষা সভ্য তার আর কোন সন্দেহ নাই। এ বিষয়ে পদে পদে এদের চোক ফুটছে কিন্তু পূর্ব্বসংস্কার ছাড়িতে চায় না। আমরা ইংরেজ বা ইয়ুরোপীয়—আমরাই সভ্য— আর সব অসভ্য—এই বুলি। ডাক্তার ফেয়ারবেয়ারণ (Dr Fairbairn) ও ডাক্তার ল্যাড (Dr Dadd) অমোদের দেশে দর্শন শিখাইতে গিয়েছিলেন। ভাল কথা। কিন্তু গিয়ে দেখিলেন যে হিন্দুর দর্শন তাঁদের দর্শনের অপেক্ষা অনেক অগ্রসর। তাই বড় একটা পসার হলো না। এই রাগ। দাও গালাগালি হিন্দুদিগকে। ডাক্তার ফেয়ারবেয়ারণ উক্ষপারে আছেন। বেদান্তের সম্বন্ধে জানিতে এখানে অনেক অধ্যাপক