পাতা:বিলাপ - অমৃতলাল বসু.pdf/৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২
বিলাপ!

১ম নাগ। যাক, ও সব তর্ক বিতর্কের দিন আজ নয়, আজ দোষ গুণ বিচারের দিন নয়, কাঁদিবার দিন, এস সকলে মিলিয়া নয়ন জলে তার চিতাভস্ম ধৌত করি, আর তাহার কোন স্মরণার্থ চিহ্ন স্থাপন বিষয়ে স্থির করি।

৫ম নাগ। তাহার স্মরণার্থ চিহ্নতো তিনি আপনিই স্থাপন করিয়া গিয়াছেন; যতদিন বঙ্গ ভাষা জীবিত থাকবে, ততদিন তিনি সকলের স্মৃতিপথে বিরাজ করবেন; যে যে ব্যক্তি বঙ্গভাষা শিক্ষা করিবে, সেই সেই ব্যক্তিই তাহার স্মরণার্থ চিহ্ন; যত জন তাঁহার অর্থে অনুকম্পায় বিদ্যা শিক্ষা করিয়া পদ সম্ভ্রম লাভ করিয়াছে, তারা সকলেই তার স্মরণার্থ চিহ্ন; তাঁহার স্থাপিত বিদ্যামন্দির সকল, র্তাহার প্রণীত গ্রন্থাবলী, তাহার দানভাণ্ডার সকলই তার অক্ষয় স্মরণচিহ্ন; যাহার পবিত্র নামোচারণ করিয়া লোকে প্রাতে শয্যা ত্যাগ করিবে, তাঁহার জন্য আবার অন্য স্মরণচিহ্নের প্রয়োজন কি!

১ম নাগ। না না কি জান, তবু এখনকার একটা প্রথা হয়েছে, একটা পরিদৃশ্যমান স্থায়ী স্মরণচিহ্ন স্থাপন করা আবশ্যক, না হ’লে আমাদের দেশের কলঙ্ক হবে।

৫ম নাগ। কি, পট প্রতিমাদি? যে মহাত্মা যাবজ্জীবন অtড়ম্বরের বিরোধী ছিলেন, তাহার স্বৰ্গ-গত আত্মার মর্ত্ত্যের কার্য্যের প্রতি যদি লক্ষ্য থাকে, তাহা হইলে এরূপ সম্মান প্রদশন কখনই তাহার অনুমোদিত হইবে না। চিত্র তো তাঁর প্রতি হৃদয়ে অঙ্কিত, দেবদেবীর পটের সঙ্গে বিদ্যাসাগরের পট বহু গৃহে বিরাজ করিতেছে, ভবিষ্যতে প্রতি গৃহে প্রতিষ্ঠিত হইবে। সেই আদর্শ মহাপুরুষের প্রদর্শিত সৎ পথের অনুসরণ করিয়া কিঞ্চি