পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষণ 變 1 والالا ] 研翠4 : বর্তমানে লখিসরাই-জংসন কিউল-জংসন বলিয়া লিখিত হইয়াছে। লক্ষুে, যুক্ত প্রদেশের অন্তর্গত একটা জেলা ও নগর। { লম্বনে দেখ। ] লক্ষন ক্টে) লক্ষতানেন লক্ষ্যতে ইতি বা লক্ষ-মনি। * फ्रेिह । • “সরসিজমনুবিদ্ধং শৈবলেনাপি রম্যং মলিনমপি হিমাংশে লক্ষ্মলক্ষ্মীং তনোতি। ইয়মধিকমনোজ্ঞা বন্ধলেনাপি তী কিমিবহি মধুরাণাং মওনং নাকৃতীনাম ॥” (শকুন্তলা ১অ•) २ ¢थांन । (अमब्र) লক্ষণ ( ক্লী ) ১ চিহ্ন। ( শ্যারত্ব • ) ২ নাম । ( ভরত ) লক্ষ্মীরস্তাস্তেতি লক্ষ্মী পামাদিত্বাৎ ন, লক্ষ্য অচ্চেতি গণস্থত্রেণাত্বং বোধ্যং । ( ত্ৰি ) ৩ ঐবিশিষ্ট । ( পুং ) লক্ষণমস্ত্যস্তেতি অর্শ আদিত্বাদছ। ৪ সারস। ( হেম ) ৫ শ্রীরামভ্ৰাতা, সুমিত্ৰানন্দন। শু কুরুরাজ দুৰ্য্যোধনের পুত্র । লক্ষণ, রামায়ণোক্ত একজন অদ্বিতীয় বীর ও রঘুকুলতিলক ঐরামচন্ত্রের কনিষ্ঠ বৈমাত্রেয় ভ্রাতা । সুমিত্রাগর্ভসস্তৃত বলিয়া তিনি সৌমিত্রি নামেও খ্যাত। লঙ্কাযুদ্ধে তিনি ইঞ্জবিজয়ী মেঘনাদকে নিহত করিয়াছিলেন। অধ্যাত্মরামায়ণে লিখিত আছে যে, অতিশয় সুলক্ষণবিশিষ্ট ছিলেন বলিয়া লক্ষ্মণ এই নাম হইয়াছিল । “ভরশাস্তুরতে নাম লক্ষ্মণং লক্ষ্মণান্বিতম্। শক্ৰয়ং শক্ৰহস্তারমেবং গুরুরভাষত ॥”(অধ্যাত্মরামা” ১।৩।৪৫) রামায়ণের বালকাণ্ডে লক্ষ্মণ রামচন্দ্রের অপর প্রাণের দ্যায় বলিস্ক উক্ত হইয়াছেন। রাম উপবেশন করিলে উপবিষ্ট হইতেন, গমনোন্তত হইলে পশ্চাদগমন করিতেন, শয়ান হইলে পাদদেশে উপবেশন করিতেন, তিনি আজন্ম ছায়ার স্তায় ভ্রাতার অনুগামী ছিলেন । রামের প্রসাদ ভিন্ন কোন উপাদেয় থাস্তে র্তাহার তৃপ্তি হইত না। রাম যখন অশ্বারোহণে মৃগয়ায় যাত্রা করেন, অমনি লক্ষ্মণ ধনুর্হস্তে র্তাহার শরীররক্ষা করিয়া বিশ্বস্ত অনুচররাপে তাহার পশ্চাদ্ধৰ্ত্তী হইতেন। ষে দিন বিশ্বামিত্রের সঙ্গে রাম তাড়কাদি রাক্ষসবধকল্পে নিবিড় বনপথে যাইতেছেন, সে দিনও কাকপক্ষধর লক্ষ্মণ সঙ্গে চলিয়াছেন। শৈশবদূতাবলীর এই সকল চিত্রের মধ্যে আত্মহারা লক্ষ্মণের ভ্রাতৃভক্তির ছবি মৌনভাবে ফুটিয়া উঠিয়াছে। এই সময়ে বনপথে খাদ্যদ্রব্যের অভাবহেতু মহামুনি বিশ্বামিত্র বালকদ্বয়কে অনাহারক্লেশ আপনানার্থ একটা মন্ত্ৰদান করেন। তদনন্তর উভয় ভ্ৰাতায় গোতমাশ্রমে উপনীত হইয়া অহল্য উদ্ধারান্তে রাজর্ষি জনকৃভবনে আসিলেন, হরধনুভঙ্গাস্তে রাম সীতার এবং লক্ষ্মণ উৰ্ম্মিলার পাণিগ্রহণ করিলেন। উৰ্ম্মিলার গর্ভে লক্ষ্মণের অঙ্গদ ও চন্দ্রকেতু নামে দুই পুত্র জন্মে । - রামের অভিষেকসংবাদে সকলেই কত সন্তোষপ্রকাশের জষ্ঠ . ব্যস্ত হইলেন, কিন্তু লক্ষ্মণের মুখে আহলাদশ্বচৰ কথা নাই, নীরবে রামের ছায়ার স্থায় লক্ষ্মণ পশ্চাদ্বন্ত্রী। কিন্তু রাম স্বল্পভাষী ভ্রাতার হৃদয় জানিতেন, অভিষেক সংবাদে সুখী হইয়া সৰ্ব্বপ্রথমে লক্ষ্মণের কণ্ঠলগ্ন হইয়া বলিলেন, “আমি জীবন ও রাজ্য তোমার জন্তই কামনা করি।” এই কথা শ্রবণে স্লামের স্নিগ্ধ আদরের “সুবর্ণচ্ছবি” লক্ষণের গণ্ডস্বয় নীরব প্রফুল্লতায় রক্তিমাভ হইয়া উঠিল । তিনিও স্বল্পভাষী ছিলেন সত্য, তথাপি রামের প্রতি কেহ অন্যায় করিলে তাহা ক্ষমা করিতে জানিতেন না । যে দিন কৈকেয়ী অভিষেকত্ৰতোজ্জল প্রফুল্ল রামচন্দ্রকে মৃত্যুতুল্য বনবাসাল্লা শুনাইলেন, রামের মূৰ্ত্তি সহসা বৈরাগ্যের প্রতে ভূষিত হইয়া উঠিল। লক্ষ্মণ তখন অতিমাত্র ক্রুদ্ধ হইয়া বাষ্পপূর্ণ নয়নে ভ্রাতার পশ্চাৎ পশ্চাৎ যাইতে লাগিলেন। এই অস্তায় আদেশ তিনি সহ করিতে পারেন নাই । রামচন্দ্র র্যাহাদিগকে অকুষ্ঠিতচিত্তে ক্ষমা করিয়াছেন, লক্ষ্মণ র্তাহদিগকে ক্ষমা করিতে পারেন নাই । রামের বনবাস লইয়। তিনি কৌশল্যার সম্মুখে অনেক বান্বিতও করিয়াছিলেন, অবশেষে ক্রুদ্ধ হইয়া তিনি সমস্ত অযোধ্যাপুরী নষ্ট করিতে চাহিয়াছিলেন। তিনি রামের কৰ্ত্তবাবুদ্ধির প্রশংসা করেন নাই, এই গৰ্হিত আদেশ পালন ধৰ্ম্মসঙ্গত নহে, ইহাই বুঝাইতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। লক্ষ্মণ সঙ্গে চলিলেন । এই আত্মত্যাগী দেবতার জন্তু কেহ বিলাপ করিল না। এমন কি, সুমিত্রা ও বিদায়কালে পুত্রের জন্ত ক্ৰন্দন করেন নাই, তিনি দৃঢ় অথচ স্নেহাৰ্দ্ৰকণ্ঠে লক্ষ্মণকে বলিয়াছিলেন, “যাও বৎস, স্বচ্ছন্দমনে বনে যাও, রামকে দশরথের স্তায় দেথিও, সীতাকে আমার স্থায় মনে করিও, এবং বনকে অযোধ্যা বলিয়া গণ্য করিও । সুমিত্রা লক্ষ্মণকে বনগমনে বাধা না দিয়া বরং তঁাহাকে যেন কৰ্ত্তব্যপালনের জন্ত আগ্রহসহকারে ত্বরান্বিত করিয়া দিলেন । f আরণ্যজীবনের যাহা কিছু কঠোরতা, তাহার সমধিক ভাগ লক্ষ্মণের উপর পড়িয়াছিল,—কিংবা তাহা তিনি আহলাদসহকারে মাথায় তুলিয়া লইয়াছিলেন। গিরিসামুদেশের পুম্পিত বহুতরুরাজি হইতে কুমুমচম্বন করিয়া রামচন্দ্র সীতার চুর্ণকুন্তলে পরাইতেন ; গৈরিকরেণু দ্বারা সীতার সুন্দর ললাটে তিলক রচনা করিয়া দিতেন ; পল্প তুলিয়া সীতার সহিত মন্দাকিনীতে অৰগাহন করিতেন, কিংবা গোদাবরীতীরস্থ বেতসকুঞ্জে সীতার উৎসঙ্গে মস্তক রক্ষা করিয়া সুখে নিদ্রা ধাইতেন ; আর এম্বিকে মৌন সন্ন্যাসী খনিত্র দ্বারা মৃত্তিক খনন করিয়া পর্শশালা নিৰ্ম্মাণ