লঙ্কা 婚 লঙ্কা এই পুরী ছাড়িয়া দিবার জন্য কুবেরের নিকট এক দূত প্রেরণ করেন। কুবের রাবণের ভয়ে ঐ পুরী ত্যাগ করিয়া যাইলে রাবণ লঙ্কার অধীশ্বর হন । ( রামায়ণ উত্তরকাe ) [ রাবণ দেখ। ] “উপনিবেশ’ শব্দে লঙ্কার বর্তমান অবস্থিতি নিরূপণ করিবার জন্ত যৎকিঞ্চিং প্রমাণগ্রয়োগ উদ্ধৃত করা হইয়াছে। রামচন্দ্র কপিসৈন্ত সঙ্গে লইয়া সীতা উদ্ধারের জন্ত লঙ্কায় গমন করিয়া | ছিলেন। সেই লঙ্কা কোথায় ? তাহার বর্তমান নাম কি ? সেই লঙ্কাপুরীর উৎপত্তি এবং তাহার প্রাচীন ও আধুনিক ইতিহাস সম্বন্ধে নিয়ে যথাসম্ভব প্রমাণ উক্ত হইল ;– বর্তমান দেশীয় ও বিদেশীয় ভৌগোলিকগণ একবাক্যে বলেন, এখন যাঁহাকে আমর সিংহল বা সিলোন বলি, তাহারই প্রাচীন নাম লঙ্কা। কিন্তু এই সিদ্ধান্ত সঙ্গত বলিয়া বোধ হয় না। অতি পূৰ্ব্বকাল হইতেই আমাদের পুরাণাদি-শাস্ত্রকারগণ লঙ্কা ও সিংহলকে দুই স্বতন্ত্র দ্বীপ বলিয়াই জানিতেন। মহাভারত ও পুরাণাদিতে তাহা বিশেষভাবে বর্ণিত আছে । “সিংহলান বর্বরান্ মেচ্ছান যে চ লঙ্কানিবাসিনঃ ” মহাভারত বন ৫১ অঃ, ২২ শ্লো” । “লঙ্কা কালাজিনাশ্চৈব শৈলিক নিকটাস্তথা ॥ ২০ ঋষভা: সিংহলাশ্চৈব তথা কাঞ্চীনিবাসিনঃ ॥” ২৭ মার্কণ্ডেয়পুরাণ ৫৮ অধ্যায়। এতদ্ভিন্ন ভাগবত ৫ । ১৯ । ৩০, বৃহৎসংহিতা, ১৪ । ১৫, । প্রভৃতি প্রাচীন গ্রন্থে লঙ্কা ও সিংহল দুইট স্বতন্ত্র দ্বীপ বলিয়াই উল্লিথিত হইয়াছে। রামায়ণে দক্ষিণদেশীয় স্থানাদির উল্লেথকালে লিখিত আছে— মলয় পৰ্ব্বতের পরে তাম্রপণী নদী, এই নদী সাগরে মিলিত হইয়াছে। এই নদী উত্তীর্ণ হইয়৷ পাণ্ড্যনগর, এই নগরের পুরদ্বার সুবর্ণনিৰ্ম্মিত। পরে সাগরের নিকটে উপস্থিত হইবে, সমুদ্র পার হইয়া সাগরের মধ্যে অগস্ত্যনিবেশিত মহেন্দ্ৰ পৰ্ব্বত | দেখিতে পাইবে । অপর পারে শতযোজন-বিস্তৃত অতিশয় প্রভাযুক্ত একটি দ্বীপ আছে, এইখানে রাবণ বাস করে। س-- }}}ة মলয়ন্ত মহৌজস: | দ্রক্ষ্যথাদিত্যসঙ্কাশমগস্ত্যমৃধিসত্তমম্। ভূতস্তেনাভ্যনুজ্ঞাতা: প্রসমেন মহাত্মনা ৷ ম্ভার্মপর্ণং গ্রাহজুষ্টাং তরিষাথ মহানদীম্। স চন্দনবনৈশ্চিত্ৰৈঃ প্রচ্ছন্নদ্বীপধারিণী ॥ কাস্তেব যুবতী কান্তং সমুদ্রমবগাহতে । ততো হেমময়ং দিব্যং মুক্তামণিবিভূষিতম্ ॥ 豪 * [ »8७ ] যুক্তং কপাটং পাও্যানাং গত দ্রক্ষাৰ্থ বানরাঃ । ততঃ সমুদ্রমাসাপ্ত সম্প্রধাৰ্য্যার্থনিশ্চয়ম্ ॥ অগস্ত্যেনান্তরে তত্ৰ সাগরে বিনিবেশিতঃ । চিত্রসামুনগঃ শ্ৰীমা মহেন্দ্ৰঃ পৰ্ব্বতোত্তমঃ ॥ জাতরূপময়ঃ শ্ৰীমান অবগাঢ়ো মহার্ণবম্। দ্বীপস্তস্তাপরে পারে শতযোজনবিষ্কৃত: | তত্ৰ সৰ্ব্বাত্মনা সীতা মার্গিতব্য বিশেষত: | তে হি দেশাস্তু বধ্যস্ত রাবণস্ত চুরাত্মন: ।” কিষ্কিন্ধ্যাকাও ৪১ স: | ১৫—২৫ শ্লো: | মলয় পৰ্ব্বতের বর্তমান নাম পশ্চিমঘাট, এই পৰ্ব্বতের ৰে স্থান হইতে তাম্রপণী উৎপন্ন হুইয়াছে, সেই স্থানকে এখনও অগস্ত্যাট্রি বলে । Intro.p.48 ) তাম্রপণা নদী তিনবেল্লী প্রদেশের মধ্য দিয়া সাগরে মিলিত হইয়াছে। এই নদীর তীরে সমুদ্রের নিকটে ষে পাণ্ড্যনগর স্থাপিত ছিল, তাহাকে প্রাচীন আরব্য ও গ্রীক ভৌগোলিকগণ ‘কোলকে’ ও ‘কোএল এবং নিকটস্থ সাগরকে কোলকিকস্ + বলিতেন। সমুদ্র পার হইয়া মহেন্দ্ৰ পৰ্ব্বত । ইহাই সিংহল দ্বীপের বর্তমান মহিন্তল পৰ্ব্বত বলিয়া বোধ হয় । যে সময়ের কথা লেখা হইতেছে, বোধ হয় তৎকালে তাম্রপণী নদীপ্রবাহিত ভূমিখণ্ড দক্ষিণাংশে আরও অনেকটা বিস্তৃত ছিল । এই নদী অতিক্রম করিয়াই সিংহলদ্বীপে যাইতে হইত, এজন্ত সিংহলদ্বীপকে পৌরাণিককালে তাম্রপর্ণ বলিত। গ্রীসের প্রাচীন পুরাবিদগণ বলেন, পাগুনগর মুক্ত আহরণ জন্ত প্রসিদ্ধ ছিল। কিন্তু মহাভারতের মতে, সিংহলদ্বীপে লোকে মুক্ত আহরণ করিত। রাজস্থয়-যজ্ঞকালে সিংহলদ্বীপের লোকেরাই রাজা যুধিষ্ঠিরকে মুক্ত উপহার পাঠাইয়াছিলেন । “সমুদ্রসারং বৈদূৰ্য্যং মুক্তসঙ্ঘাস্তথৈব চ। শতশশ্চ কুথাংস্তত্র সিংহলাঃ সমুপাহরন ৷” সভাপর্ব ৫১। ৩৬। . রামায়ণেই আবার অপর স্থানে’লিখিত আছে, হনুমানাদি বানরগণ সীতান্বেষণ করিতে করিতে দক্ষিণদেশ অতিক্রম করিয়া এক অজ্ঞাতপূৰ্ব্ব পৰ্ব্বতগহ্বরে উপস্থিত হয়। এই স্থানের নাম ঋক্ষবিল। ইহার চারিদিকেই দুর্গম পৰ্ব্বতশ্রেণী। বানরগণ এইস্থানে আসিয়া ক্লান্ত ও পথভ্রান্ত হইল । ( তাহারা পূৰ্ব্বে সুগ্ৰীবের নিকট শুনিয়াছিল, মহেন্দ্ৰ পৰ্ব্বতের পরে, সমুদ্রের পরপারে রাবণনিবাস লঙ্কাদ্বীপ ; কিন্তু এই স্থানের বিষয় তাহারা পূৰ্ব্বে কখন অবগত হয় নাই।) অনেক অনুসন্ধান করিতে ਵਾਨ਼ (Caldwell’s Dravidian Grammar,
- ৰোলক্ষিক সাগরের বর্তমান নাম মান্নার উপসাগর। ( Lassen.)