লুতা Tবিৰ আকার বিশিষ্ট পীড়কত বৃহদাকারামণ্ডলসকলক [ ২৯৫ ] লুত লুতাবিষের স্থলে রোগীর আশা পরিত্যাগ করিয়া চিকিৎসা এবং রক্ত বা তামবর্ণের আয়ত ও কোমল শেফ সমস্ত জম্মিয়া ক্রমশঃ প্রসারিত হয় । 献 লতাধিবের চিকিৎস। ত্রিমওলা দংশন করিলে সেই দণ্ঠস্থান হইতে কৃষ্ণবর্ণ শোণিত নিঃস্থত হয় এবং বধিরতা, নেত্রদ্বয়ের দাহ ও দৃষ্টির কলুষতা জন্মে, ইহাতে অৰ্কমূল, হরিদ্র, নাকুলী, পৃশ্লিপর্ণিকা এই সকল দ্রব্য নন্ত, পান ও দণ্ঠস্থানে মর্দন করিলে উপকার হয় । শ্বেতার দংশনে কও,যুক্ত শ্বেতপীড়কা, তজ্জন্ত দাহ, মূছ1, ও জর হয় এবং সেই সকল পীড়ক প্রসারিত ও ক্লেশযুক্ত হয় ও তাহাতে অতিশয় যন্ত্রণা হইতে থাকে। ইহাতে চন্দন, রাহ্মা, এলাইচ, রেণুকা, নল, অশোক, কুষ্ঠ, বেণামূল ২ ভাগ, ও চক্র এই সকল দ্রব্য একত্র বাটিয়া প্রলেপ দিলে আরোগ্য হয় । কপিলার দংশনে দঃস্থান তামবৰ্ণ হয়, অপ্রসারণশীল পীড়কা জন্মে এবং মস্তকের ভার, দাহ, তিমিররোগ ও ভ্রম এই সকল উপদ্রব জন্মে। ইহাতে পাকাষ্ঠ, কুষ্ঠ, এলাচি, করথ, অৰ্জুনক্ষের ত্বক, অপমাৰ্গ, দূৰ্ব্বা, ব্রাহ্মী, ইশের মূল ও শালপর্ণ এই সকল দ্রব্য একত্র পরিমিত মাত্রায় সেবন করিবে । অলিবিষের দংশনে দঃস্থানে রক্তবর্ণের মণ্ডল হয় ও এই মগুলে সর্ষপকার পীড়কা জন্মে, এবং তালুশেষ, ও দাহ এই দুইট উপদ্রব হয়। ইহাতে প্রিয়ঙ্গু, কুষ্ঠ, বেণামূল, অশোক, বাল, গুলা, পিপ্পলী ও বটের অঙ্কুর, এই সকল দ্রব্য একত্র করিয়া প্রয়োগ করিবে । মৃত্ৰবিষের দ্বারা দষ্টস্থান পচিয়া ক্রমশঃ প্রসারিত হয় ও তাহা হইতে কৃষ্ণবর্ণ শোণিত নিঃস্তত হইতে থাকে এবং কাস, শ্বাস, বমি, মূছ1, জর ও দাহ এই সকল উপদ্রব ঘটে । ইহাতে মন:শিলা, এলাচি, যষ্টিমধু, কুষ্ঠ, চন্দন, পদ্মকাষ্ঠ, মধু ও বেণীমূল একত্র সেবন করিবে । রক্তলতার বিষকর্তৃক দণ্ঠস্থানে দাহ ও ক্লেদযুক্ত পা ধুবৰ্ণ পীড়ক জন্মে এবং তাহার অন্তভাগ রক্তযুক্ত হইয়া রক্তবর্ণ হয়, ইহাতে বালা, চন্দন, বেণামূল, পদ্মকাষ্ঠ এবং অর্জুনৰ্বক্ষ, শেলুর, ও আমাতকের ত্বক একত্র করিয়া প্রয়োগ করিবে । কসনার বিষে দণ্ঠস্থান হইতে শীতল ও পিচ্ছিল রুধিরত্রাব হয় এবং কাস, শ্বাস ও উপদ্রব জন্মে, পূৰ্ব্বোক্ত রক্তলুতার বিষের ষ্ঠায় এই বিষের চিকিৎসা করিবে । কৃষ্ণার দংশনে পুরীষের গন্ধবিশিষ্ট অল্প রক্ত নিঃস্থত হয়। জর, মৃচ্ছ1, দাহ, বমি, কাস ও শ্বাস এই সকল উপদ্রব জন্মে। ইহাতে এলাইচ, চক্র, রাম ও চন্দন এই সকল দ্রব্য মহাসুগন্ধি নামক অগদ সহযোগে সেবন করিবে । অসাধ্য করিবে । অগ্নিবর্ণার দংশনে অতিশয় দাহ ও রসরক্তাদির স্রাব হয়, এবং জর, কও, রোমাঞ্চ,দাহ ও শরীরে ফোটকের উৎপত্তি এই সকল উপদ্রব হয়। ইহাতে পূৰ্ব্বোক্ত কৃষ্ণার দংশান, যেরূপ প্রতীকার কথিত হইয়াছে, তদম্বরূপ চিকিৎসা করিবে। খামালতা, বেণামূল, যষ্টিমধু, চন্দন, উৎপল, পদ্মকাষ্ঠ ও শ্লেয়াতকের ত্বক্ এই সকল প্রয়োগ কৰ্ত্তব্য । ক্ষীরপিপ্পলীও সকল প্রকার লুতাবিষে বিশেষ উপকারী। অসাধ্য লুতাবিষের বিষয় এইরূপ বর্ণিত হইয়াছে। সোঁবর্ণিকার দংশনে দণ্ঠস্থান ফুলিয় উঠে, তাহ হইতে ফেনাযুক্ত আমিষগন্ধবিশিষ্ট আশ্রাব নির্গত হয়, এবং অতিশয় শ্বাস, কাস, জর, মুছা ও তৃষ্ণ এই সকল উপদ্রব উপস্থিত হয় । জলিনীর দংশন অতিশয় ভয়ানক, দীপ্তিমান ও বিদীর্ণ হয় এবং স্তম্ভশ্বাস, অতিশয় তমোদৃষ্টি ও তালুশেষ এই সকল উপদ্রব হয় । এণীপদের দংশনের অকৃতি কৃঞ্চঠিলের ন্যায় । ইহাতে তৃষ্ণা, মূৰ্চ্চ, জ্বর, বমি ও কাস প্রভৃতি উপদ্রব জন্মে। কাকাণ্ডার ংশনে দঃস্থান পা ধু ও রক্তবর্ণ হয়, অতিশয় বেদন জন্মে, চারিদিক্ বিদীর্ণ হইয়া যায় এবং দাহ, মুছ। প্রভৃতি উপদ্রব হয় । অসাধ্য লুতাবিষের চিকিৎসা কালে দোষ ও তাহার প্রকোপ বিবেচনা করিয়া চিকিৎসা করিবে, কিন্তু সকল অবস্থায় ছেদন করিবে না। যে সকল লুতার বিষ সাধ্য, তাহাদিগের দংশনম এ বৃদ্ধিপত্র নামক শস্ত্রের দ্বারা দণ্ঠস্থান ছেদন করিয়া তুলিয়া ফেলবে এবং জাম্ববোষ্ঠ শলাকা অগ্নিতে তপ্ত করিয়া সেই স্থান দগ্ধ করিবে । রোগী যতক্ষণ নিষেধ না করে, ততক্ষণ দগ্ধ করিতে থাকিবে, মৰ্ম্মস্থান না হইলে লুতার দংশনে অল্প ফুলিয়৷ উঠিলেই দঃস্থান কৰ্ত্তন করিয়া তুলিয়া লওয়া কৰ্ত্তব্য। কিন্তু রোগীর যদি জর হয়, তাহ হইলে দঃস্থান কৰ্ত্তন করিবে না। কীৰ্ত্ততস্থানে মধু ও সৈন্ধব সহযোগে নিম্নলিখিত অগদ লেপন করবে। অগদ যথা—প্রিয়ঙ্গু, হরিদ্র, কুষ্ঠ, মঞ্জিষ্ঠ ও যষ্টমধু এই সকল দ্রব্য একত্র করিয়া দণ্ঠস্থানে প্রলেপ দিতে হষ্টবে। অথবা খামালতা, যষ্টিমধু, দ্রাক্ষা, ক্ষীরকাকোলী, ইক্ষুমূল, ভূমিকুয়াও, ও গোকুর এই কএকটা দ্রব্য মধুসহযোগে পান করিবে। অর্কপ্রভৃতি ক্ষীরবিশিষ্ট বৃক্ষের ত্বকের শীতল কাথ দ্বারা সেবন করাও কর্তব্য। উপদ্রব সকল দোষ অনুসারে বিষন্ন ঔষধের দ্বারা প্রতিবিধান করা আবশ্বক। নন্ত, অল্পন, অভ্যঞ্জন, পান, ধূম, অবপীড়ন, কবলগ্রহ, বমন ও বিরেচন এই সকলও দোষ অনুসারে ব্যবহার করা উচিত। জলেীকার দ্বারা রক্তমোক্ষণ করাও বিধেয়। (স্বপ্রতকর ৮ অ; )
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/২৯৫
অবয়ব