বঙ্গদেশ (সৈয়দবংশ ) ছিলেন। সকল শ্রেণীর মুসলমান-সামন্ত এবং হিন্দুরাজগণ উহাকেই রাজসিংহাসনের উপযুক্ত পাত্র বিবেচনা করিয়া রাঞ্জপদে অভিষিক্ত করেন। তিনিও পক্ষাস্তরে তাহাজের মনোরঞ্জনার্থ নির্দিষ্ট সময় মত গৌড়রাজধানী লুণ্ঠনের আদেশ দেন। ঐ সময়ে গৌড়নগরের অনেক ধনশালী হিন্দু-প্রজ সৰ্ব্বস্বাস্ত হইয়াছিলেন। পূৰ্ব্বোক্ত নগর-লুণ্ঠন-ব্যাপার উপযুপিরি কয়দিন অবাধে চলিতে লাগিল। সুলতান ইসলাম-ধৰ্ম্মের পক্ষপাতী হইয়া হিন্দুর এই সৰ্ব্বনাশ দেখিয়াও দেখিলেন না । কিন্তু অচিরেই দীনহীন প্রজার আর্তনাদে তাহার ধৰ্ম্মপ্রাণ বিগলিত হইয়া উঠিল, তিনি হিন্দুর প্রতি চিরস্তন বিদ্বেষ ভুলিয়া লুণ্ঠন বন্ধ করিতে আদেশ দিলেন। লুব্ধ সর্দারবৃন্দ ও সৈনিকসম্প্রদায় এবং অন্তান্ত মুসলমানগণ লোভের বশবৰ্ত্তী হইয়া তখন রাজাদেশ লঙ্ঘন করিল। তাহাদের পরস্বপহরণপ্রবৃত্তির নিবৃত্তি হইল না। রাজ্য ক্রমশঃই অরাজক ও দম্য-প্রধান হইয়া দাড়াইল । তখন উপায়ান্তর না দেখিয়া সুলতান সৈয়দ আলাউদ্দীন হুসেন শাহ অত্যাচারী মুসলমানদিগের শিরচ্ছেদের আদেশ দিলেন। দেখিতে দেখিতে দ্বাদশ সহস্র মুসলমান নিহত হইল এবং রাজাস্নায় তাহদের সংগৃহীত অর্থরাশি রাজকোষে সমাহৃত হইল । অত:পর যখন আলাউদ্দীন দেখিলেন যে, হাবলী সৈন্ত ও দেশীয় পাইকগণই দেশে যাবতীয় রাজকীয় গোলযোগের একমাত্র কারণ ; তখন তিনি তাহার প্রতিবিধানের উদ্যোগী হইলেন ; তযুদ্ধেগু সাধনার্থ তিনি হাবসিদিগকে কৰ্ম্মচ্যুত করিলেন এবং পাইকদিগকে বঙ্গালার পশ্চিম দক্ষিণ সীমায় অল্প নিষ্কর ভূমি দিয়া বিপক্ষের আক্রমণ হইতে দেশরক্ষা কর্যে নিয়োজিত করিলেন ।* আলাউদ্দীন স্বেচ্ছাপ্রণোদিত হইয়াই হাবলী নিৰ্ব্ব সমরূপ এই দেশহিতকর কার্য সম্পাদন করিয়াছিলেন। হাবলী ও খোজাদিগের অত্যাচার হইতে হিন্দু প্রজাদিগকে রক্ষা করায় তিনি সাধারণের পূজনীয় হইয়া পড়েন। অত্যাচারব্লিষ্ট হিন্দুগণের মলিন মুখ সন্দর্শন করিয়া তাহার হৃদয়ে অপূৰ্ব্ব দয়ার উদ্রেক হয়, তদবধি তিনি অপত্যনিৰ্ব্বিশেষে ও বিশেষ ন্যায়পরতার সহিত বঙ্গরাজ্য শাসন করেন। তিনি হিন্দু-মুসলমানে বিশেষ প্রভেদ রাখিতেন না । এই সময়ে তিনি একডাল দুর্গের সংস্কার করিয়া তথায় রাজ
- *ब्रवउँ नभtद्र ३५ब्रांश अवtभ* ब्राछकाएर्षी अशू"tषाभिषा निबैौच६ করিয়া ইছাদের ভূমিসৰ হইতে বঞ্চিত করেন। সেই कांबA. ११०० श्रेष्ठ ১৮. খৃষ্টাদের মধ্যে মেদিনীপুর জেলার প্রান্তৰালী विtङ्गांcरुग्न गूहमा कब्रिग्राझिल । م .. ^ ..
XVII - ללכ [ 88s J বঙ্গদেশ (সৈয়দবংশ ) প্রাসাদ মনোনীত করেন এবং তথ্য হইতে রাজ্যশাসন সম্বন্ধীয় যাবৃতীয় ব্যবস্থা আজ্ঞা করিতেন । উচ্চ বংশীয় ও সন্ত্রাস্ত সৈয়দ, মোগল ও পাঠানদিগকে তিনি রাজকৰ্ম্মে নিযুক্ত করিয়া আপনার রাজ্যভিত্তি মুদৃঢ় করিয়াছিলেন। তিনি সন্ত্রান্ত বংশোদ্ভব হিন্দুদিগকেও যথেষ্ট উৎসাহ দিয়া তাহাদিগকে রাজামুগ্রহ দান করিতেন। মান শাস্ত্রবিশারদ ও বৈষ্ণবচূড়ামণি ঐক্কপ ও সনাতন তাহার মন্ত্রী হইয়াছিলেন । উড়িষ্যার সামন্ত-রাজগণকে বশীভূত করিয়া এবং স্বীয় রাজ্য শাসনের সুবন্দোবস্ত করিয়া সুলতান হুসেন শাহ আসাম আক্রমণ ও লুণ্ঠন করেন, কিন্তু তথায় বিশেষ কিছু করিয়া উঠিতে পারেন নাই। অতঃপর তিনি কামতাপুরে ( কোচবিহারের ) রাজা নীলাম্বরকে পরাজিত ও বন্দী করিয়া তাহার রাজধানী ধ্বংস করেন ( ১৪৯৮ খৃষ্টাব্দে ) । তৎপরে সেই অধিকৃত প্রদেশে হুসেন আপন পুত্রকে রাথিয়া আসিয়াছিলেন, কিন্তু কোচদিগের আক্রমণে বহু বলক্ষয়ের পর তিনি কোচদেশ পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হন । তদবধি এই স্থানে বর্তমান কোচবেহার-রাজবংশের পূৰ্ব্বপুরুষদিগের রাজ্য সংস্থাপিত হয়। কামরূপ-বিজয়ে ব্যর্থমনোরথ হইয়া সুলতান হুসেন শাহ রাজধানীতে প্রত্যাবৃত্ত হন। তথায় অবস্থানকালে তিনি স্বীয় রাজ্যভিত্তি মুদৃঢ়করণমানসে গগুকনদীতীর সীমান্তদেশে একটা সুবিস্তৃত দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করান। অনস্তর রাজ্যের প্রজীবৃদ্ধি কামনায় তিনি প্রত্যেক জেলায় সাধারণের উপাসনার্থ মসজিদ, মুশাফির খান, দাতব্য চিকিৎসালয় প্রভৃতি স্থাপন করেন। তিনি জ্ঞানী ও সাধুপুরুষদিগের ভরণপোষণার্থ মাসিক বৃত্তি নির্দেশ করিয়া যান। আজিও পাণ্ডুয়ার কুতব উল আলমের আস্তানার ব্যয়াদি তাহারই প্রদপ্ত ভূমির আয় হইতে নিৰ্ব্বাহিত হইতেছে। সুলতান হুসেন শাহ বেহারের কিয়দংশ হস্তগত করিয়াছিলেন। দিল্লীশ্বর সেকন্দর লোদি জৌনপুর অধিকার করিলে তিনি রাজ্যচ্যুত মুলতানকে যথেষ্ট সন্মান প্রদর্শন করেন এবং মাসিক বৃত্তি দান করিয়া তাহাকে আশ্রয় দিয়াছিলেন। এ নিমিত্ত সম্রাট, বেহার অধিকার করিয়াই সুলতানকে বাঙ্গালা আক্রমণের ভয় দেখাইলেন। রাঙ্গালার সীমায় আসিতে আদিতেই কাৰ্য্যগতিকে উভয় পক্ষে সন্ধি হইয়া গেল ; এতদ্বারা বিজিত বেহার প্রদেশ দিল্লীশ্বরের থাকিল এবং বাঙ্গাল আক্রমণ মিবারিত হইল। উভয় পক্ষে বন্ধুত্ব স্থাপিত হইবার কিছুদিন পরে, ১৫২০ বা ১৫২১ অব্দে হুসেন শাহ মানবলীলা সংবরণ করেন। তিনি যেমন প্রজাদিগের প্রিয়, তেমনই অপর লোকের শ্রদ্ধাস্পদ ছিলেন। তাহার সময়ে ওমরাহুগণ বঙ্গীয় কবিদিগের বিশেষ সমাদর করিতেন, এমন কি অনেকে কবিদিগের প্রতিপালক