বেদ্ধধৰ্ম্ম৷ পাই। এই ছয় জন বুদ্ধের নাম বিপদূলি’, ‘কগুপ, কোণগমন ‘ককুসন্ধ' বেল্লভূ এবং শাক্যমুনি। শাক্যমুনির বোধিক্রম এবং ड़ाशद्र তলে বোধিখও (যে আসনে তিনি সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন, ) অনেক স্থলে চিত্রিত দেখা যায়। এই বৃক্ষের উপর দুইটি ছত্র এবং ইহার শাখা প্রশাখায় পতাকা চিত্রিত দেখা যায়। উপরি ভাগে দুই কোণে দুইটি অপসরা পুষ্পমালা হন্তে দগুtয়মান । তন্নিয়ে দুইটি পুরুষমূৰ্ত্তি সবিস্ময়ে দাড়াইয়া আছেন। কিন্তু ইহাদের পাদ ভূমি স্পর্শ করে নাই। বৃক্ষের স্কন্ধ দেশ বহু স্তস্তে পরিবেষ্টিত ; পাদদেশে একখানি মাসন, আসনের সম্মুথে নতজামু দুষ্টটি মনুষ্যমূৰ্ত্তি কৃতাঞ্জলিপুটে অবস্থিত। ইহাদের একঞ্জনের পশ্চাতে একটি রমণীমূৰ্ত্তি এবং অন্যের পশ্চাতে নাগরাজ দণ্ডায়মান। বোধিমণ্ড বা আসন সমচতুষ্কোণ প্রস্তরবেদিক । একখানি চিত্রে চারিজন গতবুদ্ধের চারি খামি আসন চিত্রিত রহিয়াছে । গয়াধামের বোধিবৃক্ষতলে যে আসনে উপবেশন করিয়া শাক্যমুনি সিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন, যে আসনে সমুদায় বিগত বুদ্ধ, বুদ্ধত্ব লাভ করিয়াছেন এবং ভবিষ্যতের বুদ্ধগণও যেখানে যুদ্ধত্ব লাভ করিবেন,—হিউএনসিয়াংএর মতে তাহাই বস্ত্রাসন । তাহার সময়ে এই আসন চতুৰ্দ্দিকে ইষ্টকপ্রাচীর দ্বারা পবিরক্ষিত ছিল । অধুনা যে বোধিবৃক্ষ দেখা যায়, তাহার পাদদেশ মৃত্তিক। হইতে প্রায় ৩০ফুট উচ্চে এবং চতুৰ্দ্দিকৃ বেষ্টন করিয়া সোপানাবলী রহিয়াছে । বৌদ্ধগণের বিশ্বাস এই, বোধিমণ্ড বা নরসিংহসন পৃথিবীর ঠিক মধ্যস্থলে অবস্থিত। এইরূপ প্রবাদ আছে ৰে, অশোকের কন্যা এই বোধিবৃক্ষের দক্ষিণদিকের শাখা সিংহলে লইয়া গিয়াছিলেন এবং মহামেঘবাহন ইহা রোপণ করিয়াছিলেন । ইহা হইতে অতি আশ্চৰ্য্যরূপে আটটি শাখা . বহির্গত এবং তাহ সিংহলের বিভিন্নস্থানে রোপিত হয়। এই অঃশাখা হইতে পুনৰ্ব্বার বত্ৰিশটা প্রশাখা উৎপন্ন হইয়াছিল। “মহাবোধিবংশ" নামক গ্রন্থে এই বোধিবৃক্ষের ইতিহাস 3. সবিস্তায় বর্ণিত আছে । মহাবোধিবৃক্ষের মৃতপ্রকার চিত্র দেখা যায়, পদচিহ্নের সেরূপ দেখা যায় না । সাধারণ বিশ্বাস এই যে, তথাগত যে সকল পদচিহ্ন রাখিয়া গিয়াছেন, তন্মধ্যে সুমন পৰ্ব্বতের উপরিস্থিত "শ্ৰীপাদ”ই সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রসিদ্ধ। প্রবাদ আছে যে, দিন ৰখন সিংহলে আসিয়াছিলেন, তখন তিনি অমুরাধপুরের দক্ষিণে এক পদ এবং ১৫ ৰোঞ্জন ব্যবধানে এক পৰ্ব্বতের উপরে অন্ত পদ স্থাপন করিয়াছিলেন। এই “ঐপাদ”কে নানা ধৰ্ম্মাবলম্বী লোক নানারূপ মনে করিয়া বুদ্ধের পদচিহ্ন XIX እwፀ [ १७७' ] বৌদ্ধধৰ্ম্ম থাকে। শৈবগণের বিশ্বাস ইছ মহাদেৰের পদচিহ্ন, মুসলমানগণের বিশ্বাস ইহা আদমের পদচিহ্ন এবং বৌদ্ধগণ বলেন, ইহা বুদ্ধের পদচিহ্ন। ইহার দৈর্ঘ্য পাচফুটের উপরে এবং প্রশস্ত २६ भूप्ले । বিগত বুদ্ধ চতুষ্টরের যে পদচিহ্ন মৃগদাব বা সারনাথে দেখান হইত, তাহা ইহা অপেক্ষাও অতি বৃহত্তর। হিউয়েনসিয়াং বলেন,-ইহা দৈর্ঘ্যে পাঁচশত ফুট এবং গভীরতায় ৭ ফুট ছিল। উক্ত চীনপরিব্রাজক পাটলিপুত্রে বুদ্ধদেবের যে পদচিহ্ন দেখিয়াছিলেন, তাহা তুলনায় অতি ক্ষুদ্র। ইহা দৈর্ঘ্যে এক ফুট আট ইঞ্চি এবং ছয়ইঞ্চি মাত্র প্রশস্ত । অন্তান্ত বহু স্থানেও পদচিহ্ন প্রদর্শনের কথা প্রচলিত আছে । উস্তানে স্বয়াত নদীর উত্তরতীরে একখানি বৃহৎ প্রস্তর খণ্ডের উপর এক পাদচিহ্ন ছিল, তাহ দশকের মনোভাব অমু, সারে বৃহৎ বা ক্ষুদ্র দেখা ধাইত । নেপালী বৌদ্ধগণ পাদচিহ্নকে ‘পাণ্ডুকা বলিয়া থাকেন । তাছার বু৯ের পদচিহ্ন বৃক্ষের ষ্ঠায় এবং মঞ্জুশ্রীর পদচিহ্ন চশে ব , মুীয় আকৃতিত্বারা চিত্রিত করিয়া থাকেন। পাদচিহ্নপূজার প্রথা কোথা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে, ইহাৰ প্রকৃত কথা এপর্যন্ত নিরূপিত হয় নাই। হিন্দুগণের অমুঠিা বিষ্ণুর পাদচিহ্নপূক্ত হইতেই এই প্রথার উৎপত্তি হইবাব সম্পূণ সম্ভাবনা বলিয়া বোধ হয় । গয়াধামে যেরূপ পবিত্রস্থানের বাহুল্য আছে, বারাণসীও তৎপক্ষে নিতান্ত কম নহে। শাক্যমুনি বুদ্ধত্বলাভের পূৰ্ব্বে বোধিসত্ত্ব অবস্থায় বারাণসীর যে স্থানে তবিবাবুদ্ধত্ব লাভের ভবিষ্যদবাণী শ্রবণ করিয়াছিলেন, সেস্থান লোকেরা দেখাইয়া দিত। ভবিষ্যৎ কালের বুদ্ধ এবং যিনি এখন বোধিসত্ত্ব অবস্থায় বর্তমান আছেন, সেট মৈত্ৰেয়ও এই বারাণসী ক্ষেত্রে শাক্যমুনির নিকট র্তাহার (মৈত্ৰেয়ের ) ভবিষ্যদবুদ্ধত্ব প্রাপ্তির কথা শুনিয়াছেন। বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রন্থে উল্লিখিত প্রসিদ্ধ চারিটি তীর্থক্ষেত্র ব্যতীও আরও অনেকানেক তীর্থের উল্লেখ আছে। সিংহলম্বীপে এক স্থান দেখান হয়, যেখানে এক বৃক্ষতলে বুদ্ধদেব বসিয়াছিলেন । এই রূপ নানাস্থানে নানা তীর্থের প্রবাদ আছে। ধৰ্ম্মগ্রন্থে যে উর্ধের উল্লেখ নাই , প্রবাদ বাক্য তাছাকে তীর্থে পরিণত করিয়াছে । ধৰ্ম্মচক্রের উৎপত্তি কোথা হইতে হইল, তাহার নির্ণর কথা সহজ নহে। বিষ্ণুচক্র হতে এই ধৰ্ম্মচক্র আসিয়াছে কি না তাহাই বা কে বলিবে ? ধৰ্ম্মচক্রের প্রতিমূৰ্ত্তি নিম্নলিখিতরূপে প্রদর্শিত হইয়াছে। একম ¢रीकडीौर्ष
পাতা:বিশ্বকোষ ঊনবিংশ খণ্ড.djvu/৭৩১
অবয়ব