বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ဈရီး၊ [ &es বিকীর্ণ হইয়া পড়ে। অতঃপর খৃষ্টীয় ১৭শ শতাবো মহাত্মা শিবাজীর রাজাপ্রতিষ্ঠার সঙ্গেই পুণার গৌরব বৃদ্ধি হয় । খৃষ্টীয় ১৮শ শতাদে uहे, मशब्र बांनांण रुहेष्ठ *क्षांव ७ष९ निल्ली शहेउ भश्ब्रि পর্যন্ত একটী বিস্তৃত সাম্রাজ্যের কেঞ্জ রূপে পরিগণিত হইয়াছিল। খৃষ্টীয় শতাদের প্রথমভাগে মহারাষ্ট্রভূমে শালিবাহন নামে একজন হিন্দুনরপতি রাজত্ব করিতেন। গোদাবরীতীরবর্তী পৈঠান নগরে তাহার রাজধানী ছিল। রাজা জয়সিংহ পল্লবদিগকে বিদূরিত করিয়া চালুক্যবংশের প্রতিষ্ঠা করেন। অতঃপর কর্ণাটক প্রভৃতি দাক্ষিণতাদেশে চালুক্যবংশীয় রাজপুতরাজগণ আপনাপন প্রভাব বিস্তার করিয়াছিলেন। শোলাপুরের নিকটবৰ্ত্তী কল্যাণ-নগরে তাহীদের রাজকেতন উড্ডীয়মান ছিল । খৃষ্টীয় ১২শ শতান্সে চালুক্যবংশের অবসানে দেবগিরির (দৌলতাবাদের) যাদব-বংশীয়ের এই প্রদেশে রাজত্ব করিতেন ইহাঁদের রাজত্বকালে মুসলমানগণ ১২৯৪ খৃঃ অলো প্রথম মহারাষ্ট্র আক্রমণ করেন, কিন্তু ১৬১২ খৃঃ অম্বা পৰ্য্যন্ত যাদববংশীয় নরপতিগণ এখানে রাজত্ব করিয়াছিলেন। ফিরিস্তায় লিখিত আছে, সম্রাট মহম্মদ তোগলক ১৩৪০ খৃঃ অব্দে এই প্রদেশ আক্রমণ করিয়া কোন্ধান দুর্গ ( সিংহগড় ) জয় করেন। ১৩৪৫ খৃঃ অদ পর্যন্ত দাক্ষিণাত্যভূমি দিল্লীশ্বরের অধীন ছিল। পরে মুসলমান আমীরগণ বিদ্রোহী হইয়া মহম্মদ তোগলকের অধীনতাপাশ ছেদন করিলেন । এই সময় হইতেই গুলবর্গার (কুলবর্গ) বাহ্মণীরাজবংশের প্রতিষ্ঠা হয়। অতঃপর ১৪২৬ খৃষ্টাব্দে আহ্মদশাহ বান্ধনী প্রাচীন হিন্দুরাজধানী বিদর নগরে (বিদর্ড ) আপনাদের পুৰ্ব্বতন রাজধানী উঠাইয়া আনেন। খৃষ্টীয় ১৩৯৬ হইতে ১৪•৮ খুঃ অন্ম পৰ্য্যন্ত মহারাষ্ট্রদেশে ভয়ানক ছুর্ভিক্ষ উপস্থিত হয়। উহা সাধারণে ‘ফুর্গাদেবী’ নামে খ্যাত। এই দারুণ দুর্ভিক্ষে দাক্ষিণাত্য জনশূন্য হইয় পড়ে। মহারাষ্ট্রসর্দারগণ স্ববিধ বুঝিয় মুসলমান কবল হইতে পাৰ্ব্বতীয় প্রদেশ ও ফুৰ্ভেদ্য দুর্গাদি অধিকার করিয়া লন। পুনরধিকার চেষ্টায় বাহ্মণীরাজগণ মহারাষ্ট্র বিরুদ্ধে কএকটী অভিযান করেন, কিন্তু সকল যুদ্ধেই অকৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন। অবশেষে ১৪৭২ খৃঃ অব্দে বাহ্মণী বংশের শেষ স্বাধীনরাজের মন্ত্রী মাহ্মদ গবান উহার কতকাংশ উদ্ধার করিতে সমর্থ হন। অতঃপর উক্ত স্লাজমন্ত্রী বাহ্মণীরাজ্যের শাসনকার্য নূতন প্রণালীতে বিধিবদ্ধ করিয়া যান। জুল্লর নগর ইন্দাপুর, মান্দেশ, বাই, বেলগাম ও কোঙ্কণের সদর বলিয়া গণ্য হইল এবং তাঙ্গদনগররাজবংশের প্রতিষ্ঠাত আক্ষদ-শাহই তথাকার শাসনকর্তা নিযুক্ত হইলেন। ভীমানদী-তীরবর্তী জেলাসমূহ বিজাপুরের শাসনকর্তৃত্বে রহিল। জাবিপিনীয়-দেশীয় সেনানী দপ্তর-দিনারের ছন্তে গুলবর্গ নান্ত ΧΙ - ১২৬ } পুণ হইল এবং জৈনুর্থ ও খাজাজহান্‌ পুরষ্কর, শোলাপুর ও অপর ক একটা জেলার শাসনভার গ্রহণ করিলেন। श्रांकनशांश् खूझटद्र शाहेब्राहे मग्नां*ानिtशब्र श्ल शहै८७ শিবনের, চাবলা, লোহগড়, পুরন্ধর, কোন্ধান (সিংহগড় ) এবং কোঙ্কণের অস্তব্বত্তী অনেকগুলি স্থান অধিকার করিয়া বসিলেন । উত্তরোত্তর জয়শ্ৰীলাভে ক্রমেই উছার স্পৰ্দ্ধা বৃড়িয়া উঠে। ক্রমশঃই তাহারা বাহ্মণীরাজের অধীনতাপাশ উন্মোচন করিতে অগ্রসর হইল। প্রথমেই বরণ। নদীর দক্ষিণ-তীরস্থ প্রদেশের শাসনকৰ্ত্ত বাহান্থর গেলানি বিদ্রোহী হইলেন। সঙ্গে সঙ্গে আদিল শাহের সহযোগে চাকনের জায়গীরদার জৈন উদ্দীন তাহার পদামুসরণ করিলেন । কাজেই ১৪৮৯ খৃঃ জৰো আহ্মদশাহ তাহার বন্ধুত্ব পরিত্যাগ করিতে বাধ্য হইলেন। জৈনৃউদ্দীন উত্তেজিত হইয়। তাছাকে যুদ্ধার্থ আহবান করিলেন। উভয় পক্ষে যুদ্ধ বাধিল । জৈনৃউদ্দীন উপায়াস্তুর না দেখিয়া চাকন-দুর্গমধ্যে লুকাইলেন। অাহ্মদের অধীনস্থ সৈন্যগণ ভীমবেগে দুর্গ আক্রমণ করিল। যুদ্ধে জৈনৃউদ্দীন নিহত হইলেন, শত্রুগণ দুর্গ অধিকার করিয়া লইল । ইত্যবসরে বিজাপুরপতি যুসফ আদিল শাহ আপনাকে উীমানদীর উত্তরতীরস্থ প্রদেশসমূহে স্বাধীনরাজা বলিয়া ঘোষণা করিলেন। দাক্ষিণাত্যের নুতন রাজন্তবর্গের মধ্যে ১৪৯১ খৃঃ অস্বে একটী সন্ধি হইল। এই সন্ধির সর্তামুলারে নিজামশাহীরাজগণ নীরা নদীর উত্তরবর্তী এবং কৰ্ম্মাণের পূর্ববর্তী দেশসমূহের অধিকারী হইলেন। নীরা ও ভীমার দক্ষিণাংশবৰ্ত্তী স্থান বিজাপুর-রাজেরই রহিল। অদ্যাগু সর্দারেরা বিদ্রোহে যোগ দিলেও স্বাধীনতালাভ করিতে সমর্থ হন নাই । দন্তর-দিনার যথাক্রমে ১৪৯৫, ১৪৯৮ এবং ১৫০৪ খৃঃ অব্দে বিজাপুরের সহিত যুদ্ধে পরাজিত ও শেষে হত হইলে তদীয় গুলবর্গ রাজ্যের সিংহাসন বিজাপুরের করতলগত হইয়াছিল। ১৫১১ খৃষ্টাব্দে বিজাপুররাজ শোলাপুর দখল করিলেন । অতঃপর আমীর বেরি কর্তৃক গুলবর্গ-অধিকার এবং কমালখার পতনে গুলবর্গার পুনরুদ্ধার সংঘটিত হয় । পুরন্ধর ও তন্নিকটস্থ প্রদেশসমূহ কএকবৎসর কাল খুজিা জহানের অধিকারভুক্ত থাকে। ১৮২৩ খৃষ্টাব্দে অনেক যুদ্ধের পর বিজাপুর ও আহ্মদনগররাজের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হয়। ইন্মাইল আদিলশাহের ভগিনীকে বুর্থান নিজাম শাহ বিবাহ করিলেন। বিবাহে কন্যার যৌতুক-স্বরূপ গোলাপুর দান করিবার কথা ছিল, কিন্তু উক্ত সম্পত্তি না পাওয়ায় নিজামশাহী রাজগণ দাবী করিয়া পাঠাইলেন। এই স্বত্রে উপযুপরি উভয়পক্ষে প্রায় ৪০ বৎসল্পকাল যুদ্ধ বাধে। অবশেষে