পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৫০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- શ્રુતા [ ৫০৩ ] পুণঃ মাণিক নালা, অম্বিল ওড়, খড়ক ও বধিলার খাল নগর মধ্যে প্রবাহিত থাকিয়া পাৰ্ব্বতীয়দের জলেই এই নগরের জলাভাব পূর্ণ করিয়াছে। এইরূপে জলসিক্ত হইলেও নগরের অধিকাংশ স্থান প্রস্তরদল ও অমুরি। পশ্চিম ইষ্টতে পূৰ্ব্বদিকে অপেক্ষাকৃত সমতল ভূমি দেখা যায়, উত্তরে উচ্চভূমি নাই বলিলেও চলে। একমাত্র দক্ষিণদিকেই সিংহগড়-ভূলেশ্বর পর্বতমালা, উত্তরে মুত ও মূগার সঙ্গমস্থান, মধ্যভাগে খড়কবাসল খাল ও দক্ষিণদিকে পাৰ্ব্বতীহদতীরবর্তী পাৰ্ব্বতী পৰ্ব্বতের শিখরোপরি প্রতিষ্ঠিত দেবমন্দিরই নগরের শোভা বৃদ্ধি ও সাধারণের মনোরঞ্জন করিতেছে । নগর মধ্যে জল সরবরাহের জয় আরও কতক গুলি খাল বা জল-প্রণালী কাটা হুইয়াছে। ৩য় পেশব বালাজী বাস্ত্রীরাও কর্তৃক ১৭৫ খৃষ্টাব্দে কাট্রাজ খাল ও পাৰ্ব্বতীত্বদ কাটা হয় এবং অম্বিল ওড়া নামক জলস্রোতের গতি ফিরাইয়া কপাট দিয়া হ্রদের সহিত সংবদ্ধ করা হইয়াছে। ১৭৯০ খৃঃ অধো নানাফড়নবিস যে খাল খনন করেন তাহ ‘নানার খাল’ নামে পরিচিত। এতদ্ভিন্ন রাস্তিয়া খাল, চৌধুরির খাল, মুতা খাল প্রভৃতি কএকটি খাল দেশবালিগণের উৎসাহে কাটা হইয়াছে। এখানকার জলের কল বোম্বাইবাসী সর জমৃশেঠজী জি জি ভাইর একমাত্র উৎসাহে স্থাপিত হইয়া ছিল। এই ব্যক্তি বিশেষ বদান্তত দেখাইয়া ৫ লক্ষ ৭ হাজার টাকা উহার নির্মাণকল্পে দান করিয়াছিলেন । নগরে ২/৩ট মাত্র প্রশস্ত রাস্ত আছে, অপর সকল গুলিই ক্ষুদ্র গলি । পুৰ্ব্বপশ্চিমে বিস্তৃত রাস্তার মধ্যে পেশবাদিগের অধিকার সময়ে এক পাশ্বের একটী গলি হত্যাপরাধীদিগের দণ্ডীর্থ নির্দিষ্ট ছিল । এখানে খুনী আসামীকে আনিয়া হস্তীর পদতলে নিক্ষেপ করা হইত। এথানকার প্রত্যেক গৃহই একতাল, কিন্তু রাস্তার উপরের বাট গুলি সাধারণতঃ উদ্যালযুক্ত । মহারাষ্ট্রগৌরব পূৰ্ব্বতন ধার ও সচিবগণের অট্টালিকাদি অধিকাংশই ভগ্নাবস্থায় পতিত রহিয়াছে ৬শনিবার-নামক পাড়ায় পেশবার রাজপ্রাসাদ ১৮২৭ খৃঃ অবে পুড়িয়া যায়। এখন কেবলমাত্র চতুর্দিকের সুদৃঢ় প্রাকারগুলিই বর্তমান রহিয়াছে। রাজস্বসংগ্রহ, প্রহরীদিগের গান ও বিচারাদি রাজকীয় কার্যের সুবিধার জন্য বহু পূৰ্ব্ব হইতেই পুণনগর কএকট ‘পেট’ বা পাড়ায় বিভক্ত হইয়াছিল। মুসলমান অধিকারে আরও একটা পথ’ মুসলমানী নামে স্থাপিত হয় । অবশেষে পেশষাগণের রাজত্ব সময়ে উহা পুনরায় নুন্তল নামে • পরিবর্তিত হয়। নাগকারি নদীর পূৰ্ব্বদিকে মঙ্গলবার, সোমবার, রাস্তিয়, তাহলে, নানা ও ভবাণী ; পশ্চিমকুলে কসবা, অদিত্যবার, গণেশ, বেতাল, গঞ্জ, মুজঃফর ও ঘোরপাড়ের ‘পথ’ এবং মুতালীর নিকট শনিবার, নারায়ণ, সদাশিব, বুধবার ও শুক্রবার এই কয়ট পেট অবস্থিত। উপরি উক্ত ১৮টা পাড়ায় ও নদীতীরে বহুসংখ্যক প্রাচীন মণির এবং কোন কোনটীতে প্রাসাদ তুলা অট্টালিকাও দেখিতে পাওয়া যায়। সোমবার-পূৰ্ব্বনাম সারস্তাপুর । ( ১৬৬২-৬৪ খৃঃ অকে ) দক্ষিণাত্যের মোগল-শাসনকৰ্ত্ত সায়স্তথান কর্তৃক স্থাপিত । এখানে অনেক ধবংসাবশেষ লক্ষিত হয় । মঙ্গলবার-প্রাচীন নাম শাহাপুর। এখানকার নাগেশ্বরের বিষ্ণুমন্দির দেখিবার জিনিস । রাস্তিয়—পেশবার অশ্বারোহীদলের নেতা আনন্দরাও লক্ষ্মণ রাস্তিয়ার শিবমন্দির-স্থাপনার পর এই স্থান শিবপুরী নামে খ্যাত হয়। এখন কেবল উক্ত বংশের নাম ঘোষণা করিতেছে। এখানকার ‘রাস্তিয়াভবন” নামক প্রাসাদ দর্শকের আগ্রহের সামগ্রী । প্রতিবৎসর শ্রাণ মাসে শিরাল শেঠ লিঙ্গায়ৎ বাণীর উদ্দেশে একটী মহামেলা হয় । DBDSJSKKK BBB BBBS BB BBBBBB BBB স্তীহালের নামানুসারে স্থাপিত । নানা বা হনুমান-১৭৯১ খৃঃ অব্দে নানাফড়নfপস স্থাপিত । পাশিদিগের অগ্নিমন্দির, ঘোড়েপীরের অস্তিান), মিণ্যুঞ্জ বিঠোবার মন্দির প্রভৃতি প্রধান । ভবানী-পেশৰ সবাই মাধবরাওর রাজত্বকালে নানামড়নবিস কর্তৃক স্থাপিত। পূৰ্ব্বনাম বোব বা জেজুব। এখানে ভবানী দেবীর ও তেলক্ষলাদেবীর মন্দিরই প্রধান । কসবা-সৰ্ব্বপ্রাচীন এবং উপবিভাগের সদর । অম্বরখানা, পুরন্ধরের ভবন ( পুরষ্করবাড়া ), শেখসল্লীর দুইটী কবর এবং গণপতির মন্দির প্রধান । আদিত্যবার—পূৰ্ব্ব নাম মালমপুর ; বালজি বাণীরাওর রাজত্ব-সময়ে মহাজন-ব্যবহার জোধী-প্রতিষ্ঠিত । দুর্জনসিংহের পাগ, ফঢ় কের প্রাসাদ, বোহোরাদিগের জযtৎখান, জমা মসজিদ ও সোমেশ্বর-মন্দির প্রধান । গণেশ-পূৰ্ব্বোক্ত জীবাজী পন্থ খাস্গিবালের প্রতিষ্ঠিত। যারতির দোলমন্দির এবং দগড়া নাগোরার নাগপঞ্চী মেলাই শ্রেষ্ঠ। বেঙ্গলি-পুৰ্ব্বনাম গুরুবার। উক্ত জীবাজীপন্থের প্রতিষ্ঠিত। বেতালমন্দির নিৰ্ম্মিত হইবার পর ইহা বর্ধমান নামে পরিবর্ধিত হইয়াছে। ঐপাশ্বনাথ ও বেতাল মন্দির এবং রঞ্জি বাগশেরের তকিয়া দেখিবার জিনিল । মুজফরজজ-সর্দার যুজঃফরজদের প্রতিষ্ঠিত। খোরপড়ে-৭ম পেশবার রাজত্ব সময়ে মালোঙ্গীরাও ভোনসলে সৰ্ব্ব বৃহৎ