--- পুরাণ তিনি কেন ভবিষ্যৎপুরাণের নাম দিয়া নির্দিষ্ট পুরাণের উল্লেখ করিবেন। এরূপ স্থলে তাহার পূৰ্ব্বে একাধিক পুরাণ বিরচিত হইয়াছিল, তাছাতে সন্দেহ নাই। ইতিপূৰ্ব্বে বিষ্ণুপুরাণ হইতে দেখাইয়াছি যে, ভবিষ্যৎপুরাণ ৯ম অর্থাৎ তৎপূৰ্ব্বে ৮খানি পুরাণ প্রচলিত হইয়াছিল। لنا আপস্তম্বধৰ্ম্মস্থজের সুপ্রসিদ্ধ অনুবাদক ডাক্তার বুহলার ( Dr. Buhler ) সাহেবই বলিয়াছেন, যে আপস্তম্ব-ধৰ্ম্মস্বত্র খৃষ্ট পূৰ্ব্ব ৩য় শতাব্দীর এদিকে রচিত হয় নাই, এমন কি পাণিনির পূৰ্ব্বেও রচিত হইতে পারে। কিন্তু আপস্তম্ব-ধৰ্ম্মস্থত্রে বৌদ্ধ ল। জৈনপ্রভাবের কিছুমাত্র উল্লেখ না থাকায় আমরা অনায়াসেই খৃষ্টপূৰ্ব্ব ৫ম বা ষষ্ঠ শতাব্দীরও পূৰ্ব্বকালে এই ধৰ্ম্মস্বত্র প্রচলিত হইয়াছিল বলিয়৷ গ্ৰহণ করিতে পারি। তাছারও পূৰ্ব্বে বিভিন্ন পুরাণের উৎপত্তি অনায়াসেই কল্পনা করা যাইতে পারে। আপস্তম্ব-ধৰ্ম্মসুত্রের প্রমাণ হইতে বুঝিলাম যে, সর্গ ও প্রতিসর্গ বর্ণনা করা পুরাণের প্রধান উদ্দেশু। আরও বুঝিলাম যে, পূৰ্ব্বকালে ভবিষ্যৎ প্রভৃতি কোন কোন পুরাণ বৈদিক ও লৌকিক ভাষা মিশ্রণে রচিত হইয়াছিল। শঙ্করাচার্ষ্য ছালোগোপনিষদভাষ্যে (৩৯) মে পৌরাণিক বচন উদ্ধৃত कब्रिग्नांtछ्न,-- “যে প্রজামীধিরে ধীরাস্তে শ্মশাননি ভেজিরে । যে প্রজাং নেষিরে ধীরাস্তেহুমুতত্ত্বং হি ভেজিয়ে ” ऎह श्रठ७ रुङकछे दूको शाहेरठtछ् ।। ५हे कांब्रt१ সকল পুরাণেই জার্ষপ্রয়োগের ছড়াছড়ি । কেবল ভবিষ্যৎপুরাণের প্রসঙ্গে হয়ত অনেকে তৃপ্ত ন হইতে পারেন, এজন্ত আর দুই একখানি পুরাণের প্রাচীনতার প্রমাণ দিতেছি। প্রচলিত প্রায় সকল পুরাণমতেই অষ্টাদশ বা শেষ পুরাণের নাম ব্ৰহ্মাও । এই শেষ পুরাণের আলোচনা করিয়াই দেখা যাউক । উপরে ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ হইতে যে সকল শ্লোক উদ্ধত করিয়া ধৰ্ম্মসুত্রোক্ত পুরাণ-বচনের সহিত মিলাইতে চেষ্টা করিয়াছি, ঐ শ্লোক হইতেই ব্রহ্মগুপুরাণের ঐ সকল অংশ যে অতি প্রাচীন তাহাই প্রতিপন্ন হইতেছে। এখন দেখা যাউক, অপরাপর অংশ ক'ত প্রাচীন । খৃষ্টীয় ৫ম শতাব্দীতে অর্থাৎ এখন হইতে চতুর্দশ শত বর্ষ পূৰ্ব্বে ভারতীয় হিন্দুগণ বদ্বীপে পদার্পণ করেন, সেই সময়ে র্তাহার। ব্ৰহ্মাণ্ডপুরাণ, রামায়ণ, মহাভারত প্রভৃতি সংস্কৃত গ্রন্থ সঙ্গে লইয়া যান। যবদ্বীপ হইতে বালিম্বীপে ঐ সকল সংস্কৃত গ্রন্থ পরে তত্রত্য ব্রাহ্মণগণ মধ্যে প্রচলিত হয়। মুখের বিষয়, ঐ ব্রহ্মগুপুরাণ অদ্যপি বালিদ্বীপের শৈবব্রাহ্মণদিগের মধ্যে [ ९७8 ] পুরাণ বেদবৎ পূজিত হইতেছে।১ বহুকাল হইল, এই ব্ৰহ্মাওপুরাণ यददौ८°ग्न कक्छिांसांग्न अछूयांनिङ इहैम्नांरक्ल । ডাক্তার ফ্রেডরিক সাহেব ওলন্দাজ ভাষায় সৰ্ব্বপ্রথম এই কবি ব্রহ্মাওপুরাণের বিস্তৃত বিবরণ প্রকাশ করেন । তিনি কবিব্রহ্মাওপুরাণ হইতে কএকট শ্লোকও উদ্ধৃত করিয়াছেন— “অগ্রে সসঙ্গ ভগবানমানসমান্মনঃ সমামূ।” এই শ্লোকটী বিশ্বকোষ-কাৰ্য্যালয়ে সংগৃহীত ব্ৰহ্মাওপুরাণে ( ४७१ ) लैियरः स्रitछ् । আর একস্থানে কবিব্রহ্মাও হইতে এই শ্লোকটী উচ্চত श्हेंझां८छ्, “ততো দেবাস্করপিতৃ মন্ত্র্যাখ্যোৎস্যজৎ প্ৰভুঃ।” এই শ্লোকটাও এখানকার ব্ৰহ্মাওপুরাণে (৯২}* পাইয়াছি। ফ্রেডরিক সাহেব কবিত্ৰহ্মা গুপুরাণের স্বষ্টিবৰ্ণনাপ্রসঙ্গে জগদ্যুৎপত্তি, ব্ৰহ্মার তপস্ত হইতে সনক সনন্দাদি মানসপ্রজাস্বষ্টি, মাহেশ্বরপ্রান্তর্ভাব, কল্পবর্ণন, দেবাসুরেৎপত্তি, মন্বস্তুর ও যুগাদি নির্ণয়, সপ্তদ্বীপের বিবরণ প্রভৃতি যে সকল কথা লিথিয়াছেন, এই সকল কথাই আমাদের ব্রহ্মগুপুরাণে যথাযথ বর্ণিত হইয়াছে। সুতরাং যবীপের ব্ৰহ্মাও পুরাণ ও ভারতীয় ব্রহ্মা গুপুরাণের অভিন্নতা সম্বন্ধে আর কোন সন্দেহ খাকিতেছে না । { এখন দেখিতেছি –ব্রহ্মগুপুরাণকে অধ্যাপক উইলসম্প্রমুখ পণ্ডিতগণ ষেরূপ আধুনিক গ্রন্থ বলিয়া প্রমাণ করিতে চেষ্টা করিয়াছেন, বাস্তবিক এই গ্রন্থখানি সেরূপ আধুনিক নহে। কিঞ্চিদুন দেড়হাজার বর্ষ হইতে চলিল এই গ্রন্থ যবদ্বীপে গিয়াছে, স্বতরাং তাছায়ও পূৰ্ব্বে যে এই পুরাণ সঙ্কলিত হইয়াছিল, তাহাতে আর সন্দেহ নাই । পণ্ডিতবর উইলসন, বেবার প্রভৃতি পণ্ডিতগণ স্কন্দপুরাণকে মোটেই পুরাণ মধ্যে স্থানদান করিতে প্রস্তুত নহেন। তাহাদের মতে বহুখণ্ডাত্মক এই গ্রন্থ নিতান্ত আধুনিক । কিন্তু আমরা এই গ্রন্থ অপ্রাচীন বলিয়া গ্রহণ করিতে পারি (5) An account of Bali by R. Friederich, in the Essay's Relating Cochin-China (Trubner's Oriental Series), Vol. II. p. 74. (*) Verhandelingen Van het Bataviaasch Genootschap, Vols. XXII—XXIII, {1849-50).
- মুদ্রিত ব্ৰহ্মাওপুরাণে ইহার পাঠান্তর লক্ষিণ্ড হয় যথা—
“ততে দেবাস্করপিতৃক্ষ মানবঞ্চ চতুষ্টয়ম্। লিম্বন্ধুরন্ডাংস্তেতাংশ্চ স্বাক্সন সমযুযুজৎ ॥” (৯.৩ ) অতঃপর অষ্টাদশ পুরাণের সূচী ও আলোচ্য বিষয়ণ মধ্যে ব্ৰহ্মাও পুরাণের বিবরণ দ্রষ্টব্য। -