পাতা:বিশ্বকোষ একাদশ খণ্ড.djvu/৮৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পবনবিজয় [ ы6 ) পবনবিজয় গব (পুং ) পবনমিতি পুঞ-শোধনে, ভাবে-অপু, বা পুনাতীতি পু-আচ। ১ নিপাব, ধান্তাদির নিবুর্যীকরণ, শাল্যাদির শোধন ও বহুলীকরণ । ( ভরত) ২ বায়ু (শব্দচ” ) ( ক্লী ) পূয়তেহনেন পুঞগি শোধে-অপূ । ( পা ৩৩৪৩ ) গোময় । ( শব্দচ" ) পবন (পুং ) পুনর্তিীতি পু-বহুলমষ্ঠাপীতি যুচ, । ১ নিম্পাব। ২ বায়ু। পবনঃ পৰ্বতামস্মি রামঃ শস্ত্রভূতামহং।” (গীতা ১০।৩১) ৩ অন্তরীক্ষ সঞ্চারী বায়ু। “অনাস্থাঃ পুতাঃ পবনেন শুদ্ধাঃ” (অথ” ৪৩৪২) “পবনেন পবন সাধনেন পুতাঃ। যদ্ধ পবনেন অন্তরীক্ষসঞ্চারিণী বায়ুনা পবিত্রীকুতাঃ” ( সাক্ষ্মণ ) সিদ্ধান্ত শিরোমণিতে ৮ প্রকার বাহ-পবনের উল্লেখ আছে। “ভূবায়ুরাবহ ইহ প্রবহস্তদুৰ্দ্ধঃ গুণগুপ্তহস্তদমু সংবহসংজ্ঞকশ । অন্তঃ পরোহপি সুবহঃ পরিপূৰ্ব্বকোহম্মীস্বাস্থঃ পরাবহ ইমে পবনাঃ প্রসিদ্ধাঃ ॥" ( সিদ্ধাস্তশিরো” ) আবহ, প্রবহ, উদ্বহ, সংবহ, সুবহ, পরিবহ ও পরাবহ প্রভৃতি প্রসিদ্ধ। [ বিশেষ বিবরণ বায়ু শব্দে দেখ। ] ৩ প্রাণবায়ু । “অনেনৈব বিধানেন প্রবাতি পবনে লয়ং । ততো ন জায়তে মৃত্যুজ্জরারোগাদিকং তথা ॥” (হঠ•দী” ৩৭৫) ৪ উত্তমমমুর পুত্রবিশেষ । ( ভাগ“ ৮১৷২৩ ) ( ক্লী ) • কুম্ভকারদিগের আমঘটাদির পাকস্থান। চলিত পোয়ান । “ধঃ কুস্তকারপবনোপরিপঙ্কলেপস্তাপায় কেবলমসে নতু তাপশাস্ত্যৈ ॥” (উদ্ভট ) “পবনং কুম্ভকারস্ত পাকস্থানে ন পুংসকং। নিম্পাবমরুতোঃ পুংসি ॥" ( মেদিনী) পবন স্থলে পয়নপীঠ দেখিতে পাওয়া যায়, কিন্তু তাহ। প্রামাদিক। ৬ জল । ৭ পবিত্রীকরণ । ৮ (ত্রি ) প্রযত। (শব্দর”) ৯ বিষ্ণু। (ভারত ১৩১৪৯৪৪ ) পবনগড়, চম্পানেরের অন্তর্গত একটা গিরিদুর্গ। ১৮৯৩ খৃষ্টাব্দে কর্ণেল উডিংটন কিল্লাদারকে যুদ্ধে পরাস্ত করিয়৷ এই দুর্গ অধিকার করেন। পবনতনয় (পুং ) পবনস্ত তনয়ঃ । পবনের পুত্র। হনুমান, ভীমসেন প্রভৃতি বায়ুপুত্র। পবনবংশ, দক্ষিণ সিংহভূমিবাসী ভূইয়া জাতীর শাখা। পবনবাহন (পুং) অগ্নি। (হেম ) পবনবিজয় (পুং ) পবনং শ্বাসবায়ুং ৰিজরতেহনেন বি-জিকরণে অপূ। দেহস্থিত শ্বাস ও প্রশ্বাস বায়ুর গতিভেদে শুভাশুভসূচক গ্ৰন্থভেদ । XI ২২ এই গ্রন্থে শ্বাস ও প্রশ্বাস বায়ু দ্বারা শুভ ও অশুভ জানা যাইবে, অর্থাৎ কোন্‌ মাসিকাতে শ্বাস প্রবাহিত হইলে ও কোন নাসিকাতে প্রশ্বাস লইলে কিরূপ ফলাফল হইবে তাহার বিশেষ বিবরণ লিখিত আছে । গরুড়পুরাণে লিখিত আছে ;– মহাদেব হরির নিকট শুনিয়া পাৰ্ব্বতীকে বলিয়াছিলেন, হে দেবি ! দেহমধ্যে নানাজাতীয় ৰহসংখ্যক নাড়ী অাছে, নাভির অধোদেশে ইহাদের স্কন্ধ, এই স্কন্ধ হইতে অঙ্কুর সকল নির্গত হইয়। শরীরে ব্যাপ্ত হইয়াছে। ইছাদের মধ্যে তিনটী শ্রেষ্ঠ, বাম, দক্ষিণা ও মধ্যম। বাম সোমাত্মিক, দক্ষিণ রবিতুল্য ও মধ্যম অগ্নিস্বরূপ। বাম অমুতরূপিণী হইয়। জগৎ আপ্যায়িত করিতেছে, দক্ষিণ রৌদ্রভাগে জগৎ শুষ্ক করিতেছে, ইত্যাদি। ( গরুড় পু ৬৭ অঃ) পূৰ্ব্বে যে বাম, দক্ষিণ ও মধ্যম বলিয়া উল্লেখ করিয়াছি, ইহাদিগকে ঈড়া, পিঙ্গলা ও সুষুম্না বলা যায়। অতি সংক্ষিপ্তভাবে ইহাদের ফলাফল পৰ্য্যালোচিত হইল। তত্ত্বাদির উদয়ামুসারে শ্বাস ও প্রশ্বাস হইয়া থাকে। বাম নাসিকায় শ্বাস উদয়ের নিরূপিত সময়ে যদি দক্ষিণ নীলিকায় শ্বাস উদয় হয়, অথবা দক্ষিণ নাসিকার খাস উয়ের নিরূপিত সময়ে যদি বাম নাসিকায় শ্বাস উদয় হয়, তাহ। হইলে সেই ব্যক্তির সেই দিনে অশুভ-ঘটন ও হানি হয় । যখন বাম নাসিকায় শ্বাস নির্গম হুইবে, সেই সময় শুভকৰ্ম্ম সকল করিলে শুভ হয়। যাত্র, দান, বিবাহ এবং বস্ত্রীলঙ্কারধারণ প্রভৃতি কাৰ্য্য এই সময়ে করিবে । দক্ষিণ-নাসিকায় শ্বাস প্রবেশকালে যত প্রকার ক্ররক আছে, তাহ করিলে কার্যসিদ্ধি হয়। যুদ্ধযাত্র, দ্যুত, মান, ভোজন, মৈথুন, ব্যবহার, ভয় ও ভঙ্গ প্রভৃতি কাৰ্য্য সমুদায় করিবে । যখন স্বযুম্নায় শ্বাসের উদয় হয়, তখন শুভ বা অশুভ কোন কাৰ্য্য করিবে না। কার্য্যের অনুষ্ঠান করিলে নিষ্ফল হইতে হয়। এই সময়ে একমাত্র যোগসাধনাদির অসুষ্ঠান করিবে। যে নাসিকার শ্বাস বহন হইবে, সেইদিকের পদ অগ্ৰে দিয়া কোন কাৰ্য্যে যাত্র করিলে, কাৰ্য্যসিদ্ধি হইয়া থাকে। দক্ষিণ-নাসিকায় শ্বাস প্রবেশ কালে ষটুকৰ্ম্ম অর্থাৎ মারণ, মোহন, স্তস্তন, উচ্চাটন ও বশীকরণ প্রভৃতির অঙ্গুষ্ঠান করিলে সিন্ধিলাভ হয়। সোম, শুক্র, বুধ ও বৃহস্পতিবারে বামনাসিকায় শ্বাস প্রবেশ সময়ে কোন কাৰ্য্য করিলে তাহ সিদ্ধি হইয়া থাকে। শুক্লপক্ষ হইলে বিশেষ ফলপ্রদ হয়। রবি, মঙ্গল ও শনিবারে দক্ষিণ-নাসাপুটে শ্বাস প্রবেশকালে যে কার্যের অনুষ্ঠান করা যায়, তাছাও স্বসিদ্ধ হয় । বিশেষতঃ কৃষ্ণপক্ষে ইহা অধিক ফলপ্রদ। দক্ষিণ-নাসিকাতে বায়ু বহিলে দক্ষিণ