ভারতবর্ষ সেই সময়েই রামচঞ্জের হস্তে পরশুরামের পরাজয় বিঘোষিত হইয়াছিল। কিন্তু ব্ৰাহ্মণের সর্বপ্রধান সন্মান অক্ষুণ্ণ ছিল। ! এই সময় স্থির হইয়া গিয়াছিল যে, ব্ৰাক্ষণের জ্ঞানচর্চা ও বৈদিক কৰ্ম্মানুষ্ঠানই প্রধান ধৰ্ম্ম, ধৰ্ম্মাচরণ দ্বারা তাহার রাজাধিরাজ অপেক্ষা সম্মানিত। কুরু-পাণ্ডবদিগের সময় ক্ষত্রিয়প্রস্তাবের চরমোংকৰ দৃষ্ট হয়। রামায়ণ হইতে জানা যায় যে, রাজার মৃত্যুর পরই কুল-পুরোহিত রাজ্য অধিকার করিতেন, । তিনিই পরে উপযুক্ত অধিকারীকে রাজ্যশাসন করিতে | দিতেন । কিন্তু মহা ভারতে রাজার মৃত্যু হইলে, কুল-পুরোহিতের সে অধিকার ছিল না। মহাভারতকার “বীৰ্য্যশ্রষ্ঠাশ্চ | রাজানঃ" ( আদিপৰ্ব্ব ১৩-১৯ ) বলিয়া ক্ষত্ৰিয়ের শ্রেষ্ঠত্ব । ঘোষণা করিয়া গিয়াছেন। আবার কুরুক্ষেত্রের কুলক্ষয়কর মহাসমর হইতেই ক্ষত্রিম্ন-প্রভাব খৰ্ব্ব হইতে থাকে এবং সীমাস্ত প্রদেশ হইতে অপর দুগ্ধৰ্ষ জাতিগণ ও ভারত-প্রবেশের সুবিধা ; পায়। সেই ক্ষত্রিয়-প্রভাব-হ্রাসের সঙ্গে, বৈদিক ইজাদি দেৰগণও যেন পুৰ্ব্বসন্মান-লাভে বঞ্চিত হইলেন । এ সময়ে পূৰ্ব্ব ও ५[भ१ eाब्रtङ sाक्र१-७get१ दिछूङ इहेब्राप्छ्, फ५न७ यै সকল এদেশে অনাৰ্য্য-প্রভাব এককালে তিরোহিত হয় নাই । পঞ্চন ও ব্রহ্মধি প্রদেশের প্রশান্ত প্রকৃতি পুৰ্ব্ব ভারতে বিভীষিকাময়ী মূৰ্ত্তি ধারণ করিয়াছে, গঙ্গার তীমপ্রবাহে জন । পদের নিত্য অবস্থাপরিবর্তন, নিত্য ঝটিকার উৎপীড়নাদি । প্রকৃতি-বিপৰ্য্যয়, এবং দেশভেদে মানবের অবস্থা ও আচারপার্থক্য পৰ্য্যালোচনা করিয়া পৌরাণিক ব্রাহ্মণগণ ব্ৰহ্মা,বিষ্ণু ও শিব এই ত্রিমুক্তির কল্পনা ও সেই সঙ্গে দেশ-কাল-পাত্রোপযোগী নান। দেব-দেবী-মুক্তিরও উপযুক্ত পুঞ্জ। প্রচার করিতে লাগিলেন । তৎকালে একদিকে যেমন সরল নিম্নশ্রেণীর উপাসকদিগের নিমিত্ত নানা মুক্তিপূজা প্রচলিত হইতেছিল, অপর পক্ষে পরমজ্ঞানী জাৰ্য্য ব্রাহ্মণদিগের মধ্যে জ্ঞানচেষ্টার সহিত নানা দার্শনিকতত্ত্ব উত্তাবিত হইতেছিল। যে সময়ে যুরোপীয় জগৎ এক প্রকার বস্ত স্বযুধিতে নিস্তন্ধ ছিল, সেই সময় ভারতীয় ব্রাহ্মণদিগের হৃদয়ে উচ্চতর দার্শনিকতত্ত্ববিকাশ কম গৌরবের কথা নছে। এমন কি তাহার বহু শত { বর্ষ পরে খৃষ্টপুৰ্ব্ব ৩য় শতাব্দীতে যবনদূত মেগন্থেনিস ব্রাহ্মণদিগকে নির্জন উপবনে জন্মমৃত্যুর আলোচনায় লিপ্ত থাকিতে । দেখিয়া চমৎকৃত হইয়াছিলেন । বাস্তবিক আত্মসংযম ও মাঘোৎকর্ষ-লাভে অম্বুরাগ ব্ৰাহ্মণ সমাজে যেরূপ প্রবল ছিল, 8গতের ইতিহাসে কোথাও সেরূপ নিদর্শন পাওয়া যায় না । [ जर्जन, ८श्वास्त्र, माच्धा ७यङ्गठि जडेद]] মাম্বলংযম ও আত্মজ্ঞান-প্রভাবে ব্রাহ্মণগণ যে বিজ্ঞান, যে [ ৩৬২ ] ভারতবর্ষ ভাষাতত্ত্ব ও যে চিকিৎসাশাস্ত্রাদি প্রচার করিয়া গিয়াছেন,বর্তমান সভ্যজগৎ বিস্ময়োৎফুল্ল হৃদয়ে তাহান্ন ভূয়সী প্রশংসা করিতেছেন । [ বিজ্ঞান, ভাষা, পাণিনি, আয়ুৰ্ব্বেদ প্রভৃতি শব্দ দ্রষ্টব্য । ] এই ভারতীয় আর্য্য ব্রাহ্মণগণই অঙ্কশাস্ত্র ও আয়ুৰ্ব্বেদাদি নানা শাস্ত্রের উদ্ভাবস্থিত, তাহাদেরই পন্থামুসরণ করিয়া পাশ্চাত্যগণ ঐ সকল শাস্ত্র লাভ করিয়া ধন্য হইয়াছেন । বিবিধ দর্শনের স্বষ্টির সঙ্গে সঙ্গে নানা মত ও নানা সম্প্রদায়ের উৎপত্তি হইতে লাগিল । প্রত্যেক দার্শনিক সম্প্রদায় স্ব স্ব মতের প্রাধান্ত-স্থাপনে অগ্রসর হইলেন । পরম্পর দার্শনিক-প্রতিদ্বম্বিতায় ব্রাহ্মণ-সমাজের একতাওস্থি শিথিল হইয়া পড়িল । এই মতভেদরূপ অন্তবিপ্লবে ব্রাহ্মণশক্তি থক হইতেছিল। পণ্ডিত-সমাজের এইরূপ বিশৃঙ্খলতা দর্শন করিয়া ক্ষত্রিম্বসমাজ প্রাধান্ত্য-লাভে চেষ্টিত হইয়াছিলেন । সেই চেষ্টার ফলে ক-এক শতাব্দ পরে জৈন ও বৌদ্ধধৰ্ম্ম উৎপা হইল । জৈন ও বৌদ্ধপ্রভাব । ৭৭৭ খৃষ্টপুষ্কাস্ত্ৰে জৈনতীর্থঙ্কর পাশ্বনাথ নিৰ্ব্বাণ লাভ করেন। তিনি ধে চাতুর্যাম ধৰ্ম্ম প্রচার করেন, তাহ লইয়। দার্শনিক ব্রাহ্মণ-সমাজে মহা হুলুস্থল পড়িয়া যায়। যদি ও ছান্দোগেjাপনিষদের সময় হইতে ক্ষত্রিয়গণ ব্রহ্মবিদ্যায় শ্রেষ্ঠ অধিকারী ছিলেন, এমন কি বহু বিজ্ঞ ব্রাহ্মণ এই বিদ্যালাভের জন্তু ক্ষত্রিয়ের নিকট উপস্থিত হইয়াছিলেন, উপনিষদাদি হইতে তাহার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। কিন্তু মহাভারতীয় যুগে ক্ষত্রিয়ের পুৰ্ব্ববদ জ্ঞানচর্চা একরূপ উঠিয়া গিয়াছিল । মহাভারত হইতে জানা যায় যে, ক্ষত্রিয়গণ প্রধানতঃ হস্তিস্বত্র, অশ্বস্বত্র, রথহুত্র, ধমুৰ্ব্বেদ, প্রভৃতি শিক্ষা করিতেন । ( মহাভারত ২।৭।১১৯,১২• ) কিন্তু ব্ৰাহ্মণ-সমাজে দার্শনিক সংগ্রাম আরম্ভ হইলে, সেই আন্দোলনের সময় ক্ষত্রিয়েরাও জ্ঞানচর্চায় মনোনিবেশ করেন । প্রথমে হ্রাহ্মণ-সমাজের প্রাধান্ত অবহেলা করিয়া মন্তকোত্তলন করিতে কোন ক্ষত্ৰিয়ই সাহসী হন নাই। পাশ্বনাথই সৰ্ব্বপ্রথম ব্রাহ্মণ-প্রাধান্তু অস্বীকার করেন এবং কশ্ম ও জ্ঞানবলই মানবকে শ্রেষ্ঠ করিতে সমর্থ এঙ্কণ অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। কিন্তু বহুসংখ্যক লোক তাহার মতান্ধুবৰী হইলেও ব্রাহ্মণ-সমাজের তখনও বিশেষ फकडि झङ्ग नाहे । छूहे *ङाच नएग्न मशबौग्न ७ निकीर्थ नाटम कृझे अन अग्निब्रকুমার অপরিসীম বুদ্ধি ও জ্ঞান-প্রভাবে যথাক্রমে জৈন ও বৌদ্ধধর্শ্বের প্রাধান্ত স্থাপনে সফলকাম হুইয়াছিলেন। [ জৈন, মহাৰীয়, যুক্ত,ৰেছ প্রভৃতি দ্রষ্টব্য ]
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৩৬২
অবয়ব