যুদ্ধদেব কল্পের অতীতকাল মধ্যে ক্রকুচ্ছন্দ, কনকমুনি, কাণ্ডপ ও শাক্যসিংহ অবতীর্ণ হইয়াছিলেন। ক্রকুচ্ছন্দ খৃঃ পূঃ ৩১-১ অৰে, কনকমুনি খৃঃ পূঃ ২০৯- অলে, কাশুপ খৃঃ পূঃ ১•১৪ অঙ্গে এবং শাক্যসিংহ খৃঃ পূঃ ৬৩৩ অব্দে জন্মগ্রহণ করেন। ইহাদের পূৰ্ব্বে আর একশত বিশজন তথাগত প্রাকৃভূত হন। তাছাদের পূৰ্ব্বে অশীতি কোট বুদ্ধ জন্সিয়াছিলেন। বস্তুতঃ এই অনাদি সংসায়ে সৰ্ব্বশুদ্ধ কয়জন বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করিয়াছেন, তাহার ইয়ত্ত করা মনুষ্যের সাধ্যাতীত, বৌদ্ধগণের এইরূপ বিশ্বাস । এস্থলে অন্যান্ত বুদ্ধগণের চরিত ছাড়িয়া কেবল গৌতমবুদ্ধের বা শাক্যসিংহের পূৰ্ব্বজন্মের বিষয় কিঞ্চিৎ বর্ণিত হইতেছে। শকাবুদ্ধের পুস্থভষ্ম । একদা ব্ৰহ্মা দেখিতে পাইলেন, ব্রহ্মলোকের অধিবাসীর সংখ্যা অতি অল্প । ইহার কারণ অনুসন্ধান করিয়া জানিতে পারিলেন, পৃথিবীতে অসংখ্য কর মধ্যে কোন বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন নাই ও সেখানে সকলই অজ্ঞানদ্বারা আচ্ছন্ন । বহু সংবৎসর মধ্যে পৃথিবীতে পুণ্যবান লোক সকল জন্মিতে না পারায় সেখান হইতে কেইষ্ট মরণাস্তর ব্ৰহ্মলোকে গমন করিতে পারেন নাই। এই জন্য ব্রহ্মলোক প্রায় জনশূন্ত হইয়া পড়িয়াছে। তখন ব্ৰহ্মা চতুর্দিক বিলোকন করিয়া ভাবিতে লাগিলেন, পৃথিবীতে এমন কি কেহ আছেন, যিনি কালক্রমে বুদ্ধত্ব লাভ করিতে পারিবেন । তদনন্তর তিনি ধ্যানযোগে দেখিতে «rt{. লেন, পদ্ম যেমন বিকাশলাভ করিবার আশয়ে সূর্য্যের উদয় প্রতীক্ষা করিয়া থাকে, সেইরূপ ঘোর তমসাচ্ছন্ন পৃথিবীতেও কএকজন জ্ঞানবান লোক বুদ্ধত্বলাভের প্রত্যাশায় কালযাপন করিতেছেন । তিনি *ក្ខ១ দেখিতে পাইলেন, বুদ্ধত্বলাভের জন্য যে সকল প্রার্থ পৃথিবীতে বিদ্যমান আছেন, তন্মধ্যে একজন সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ। তখন ব্ৰহ্ম৷ তাহাকেই মনোনীত করিলেন । তিনিই পরিশেষে গৌতমবুদ্ধ বা শাক্যসিংহ এই নাম ধারণ করিয়াছিলেন । ব্ৰহ্মা যখন তাহাকে মনোনীত করেন, সেই সময়ে তিনি ! পৃথিবীতে নিতান্ত দরিদ্রাবস্থায় কাল অতিবাহিত করিতেছিলেন। তাহার একমাত্র বৃক্ষ ও বিধবা মাতা ছিলেন। গৌতম বাণিজ্য ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া অতিকষ্ট্রে নিজের ও বিধবা মাতার জাহার সংস্থান করিতেন। এক সময়ে তিনি সৌভাগ্যবৃদ্ধির আশয়ে সুবর্ণভূমি নামক দেশে গমন করিবার জন্য সমুদ্রতীরে আসিলেন। তিনি নাৰিকম্বিগকে কল্পট ব্লুজতখণ্ড পুরস্কার প্রদান করিয়া বলিলেন, “হে নাবিকগণ, তোমরা জামাকে ও আমার বৃদ্ধ মাতাকে জলযানে স্থা স্ববর্ণভূমিতে লইয়া যাও । তোমাদের [ to J t বুদ্ধদেব _ 臣 অভূকম্প ব্যঞ্জীত আমরা পুরোৰী সমুদ্র উত্তীর্ণ হইতে পায়িব না ।” নাবিকগণ তাছার বাক্যান্থসারে তাহাদিগকে অর্ণবধানে আরোপিত করিল ; কিন্তু কিয়ংঘূর যাইতে মা ৰাইতেই দ্বোর क्षशांशांtऊ शांम छाशभध्र शरेण । फेड़ांग डग्रtज cशोङम निङ জীবনের মায়া ত্যাগ করিয়া তাহার মাতার জীবন কিসে রক্ষা পায়, তাছাই চিন্তা করিতে লাগিলেন। ছিংস্ৰ জলজন্তুসমূহের প্রতি ভ্ৰক্ষেপ না করিয়া তিনি স্বীয় মাতাকে পৃষ্ঠে লইয়া মহাসমুদ্র সস্তরণ করিবার প্রয়াস করিলেন । গৌতমের এইরূপ দৃঢ়প্রতিজ্ঞ প্রত্যক্ষ করিয়া ব্ৰহ্মা ভাবিলেন, গৌতমই বুদ্ধত্ব লাভের যথার্থ অধিকারী। গৌতমও ব্ৰক্ষার সহায়তার স্বীয় মাতার সহ সমুদ্রের পরপারে উত্তীর্ণ হইলেন। ব্ৰহ্মা দেখিলেন, বুদ্ধত্ব লাভ করিতে হইলে যে সকল গুণের আবগুক, গৌতমে তাহার সমস্তই বিদ্যমান আছে। গৌতমের মনও তখন বুদ্ধত্বলাভের জন্ত কৃতনিশ্চয় হইল। কিয়ংকাল পরে গৌতমের মৃত্যু হয় ও তিনি ব্রহ্মলোকে পুনর্জন্ম গ্রহণ করেন। বুদ্ধত্ব প্রাপ্তির নিমিত্ত গৌতমের যে দিন মনঃপ্রণিধান জন্মিয়াছিল, সেই দিন হইতে অসংখ্য বৎসর অতীত হইয়াছিল ও সংসারে একলক্ষ পচিশ হাজার বুদ্ধ উৰ্ত্তীর্ণ হুইয়াছিলেন ; কিন্তু গৌতম তখনও সংবোধি লাভ করিতে পারেন নাই । সৰ্ব্বভদ্রকল্পে গৌতম ধন্তদেশীয় সমাটের পুত্ররূপে আবিভূত হন এবং এই করেই তাহার বাকপ্রণিধান জন্মে। এই কল্পে তিনি বলিয়াছিলেন “আমি বুদ্ধ হইয, বুদ্ধত্ব লাভ করা আমার অভাসিত ।” 嶺蘇 সারমন্দকল্পে গৌতম পুষ্পবতী নগরীতে রাজা সুনন্দের পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করেন । এই করে তিনি তৃষ্ণাঙ্কর বুদ্ধের নিকট হইতে অনিয়ত বিবরণ ( অনিশ্চিত আশ্বাস ) ও দ্বীপস্কর বুদ্ধের সমীপে নিয়ত বিবরণ ( নিশ্চিত আশ্বাস ) লাভ করেন । তৃষ্ণাঙ্কর বুদ্ধ বলিয়াছিলেন, গৌতম কালক্রমে বুদ্ধত্ব লাভ করিতে পারেন এবং দীপঙ্কর বলিয়াছিলেন, গৌতম অবশুই ৰুদ্ধত্ব লাভ করিবেন। গৌতম সারমন্ধকল্পে স্বরুচি ব্রাহ্মণ, অতুল নাগরাজ, অতিদেব ব্রাহ্মণ ও সুজাত ব্ৰাহ্মণ নামে যথাক্রমে পরিচিত ছিলেন। বরকল্পে তিনি যক্ষসিংহ ও সন্ন্যাসিরুপে যথাক্রমে প্রাচুভূত হন। মলাকায় রাজচক্রবর্বিত্ব প্রাপ্ত ছন । তদনন্তর অসংখ্য কল্প অতীত হয় ও সংসার ঘোর অজ্ঞানান্ধকারে निमध्र झग्न । এই সময়ে গৌতম দেব, মনুষ্য, পশু প্রভৃতি নানা যোনি পরিভ্রমণ করিয়া বেড়াইতেছিলেন। “পঞ্চশত পঞ্চাস জাতক” নামক পালিগ্রন্থে গৌতমের ৫৫০ জন্মের বিবরণ লিপিবদ্ধ আছে।
পাতা:বিশ্বকোষ ত্রয়োদশ খণ্ড.djvu/৬১
অবয়ব