সৃসিংহ ধ্যান-“মাণিক্যাদিসমপ্রস্তং নিজকচা সংক্রান্তরক্ষোগণং জাম্বন্যস্ত করায়ুজং ত্রিনয়নং রাষ্ট্রাল্পসৎভূষণম্। বাহুভাং ধৃতশঙ্খচক্রমনিশং দংষ্ট্রোগ্রস্বত্তোল্পসৎ জাল জিহ্বমুদায়কেশরচয়ং বলে নৃসিংহং বিভূম ।” ‘নুসিংহদেবের দেহকাস্তি মাণিক্যাদির স্তায় উজ্জ্বল, শরীয় প্রভায় রাক্ষসগণ সৰ্ব্বদা ভীত, হস্তদ্বয় জামুদ্বয়ের উপর বিন্যস্ত, ইনি ত্রিনয়ন এবং রত্নভূষণে ভূষিত । ইহার হস্তদ্বয়ে শঙ্খ ও চক্র । দেহ অৰ্দ্ধমনুষ্যাকার ও অৰ্দ্ধ সিংহসদৃশ। বিকট বদন হইতে অগ্নিশিখার দ্যায় জিহব নির্গত হইতেছে।” এইরূপে ধ্যান করিয়া মানসোপচারে পুঞ্জ ও শখ স্থাপনপূর্বক বিষ্ণুপূজাপদ্ধতি ক্রমে পীঠপূজা ও পুনৰ্ব্বার ধ্যান আবাহনাদি দ্বারা পূজা করিয়া আবরণপূজা করিবে। এইরূপে নৃসিংহদেবের পূজা করিতে হয়। এই মঞ্জের পুরশ্চরণ ৩২ লক্ষ জপ । যথাবিধি পুরশ্চরণ করিয়া তযুক্ত পায়স দ্বারা ৩২ সহস্ৰ হোম করিতে হইবে। * নৃসিংহদেবের মন্ত্রান্তর— “পাশঃ শক্তিনরহরিরঙ্কুশে বৰ্ম্ম ফটু মতুঃ। ষড়ক্ষরে নরহরেঃ কথিতঃ সৰ্ব্বকামদঃ ॥” অংি হ্ৰীং ক্ষে" ক্রে হু ফটু, নৃসিংহদেবের এই ষড়ক্ষর মন্ত্র, এই মন্ত্ৰ সৰ্ব্বকামপ্রদ। যথাবিধানে এই মন্ত্রে নৃসিংহদেবের পুজা করিতে হইবে। এই মন্ত্রের পুরশ্চরণও লক্ষ জপ । পরে ঘৃত দ্বারা ছয় সহস্ৰ হোম করিতে হয় । নৃসিংহদেবের একাক্ষর মন্ত্র— "ক্ষকারো ৰহ্নিমারূঢ়ে যমুবিন্দুসমম্বিতঃ। একাক্ষরো মমুঃ প্রোক্ত: সৰ্ব্বকালফলপ্রদঃ ॥” ক্ষে ইহাই নৃসিংহদেবের একাক্ষর মন্ত্র, এই মন্ত্র সমকামফলপ্রদ। এই মন্ত্রে যথাবিধানে নৃসিংহদেবের পূজা করিতে হয়। এই মন্থের পুরশ্চরণ ৮ লক্ষ জপ । জপের দশাংশ হোস । নৃসিংহদেবের অষ্টাক্ষর মন্ত্ৰ— “জয়দ্বয়ঃ সমুচ্চার্য শ্রীপুর্কে নৃসিংহ ইতাপি । অষ্টাক্ষরে) মচুঃ প্রোক্তে ভজতাং কামদে মণিঃ " ‘জয় জয় প্রবৃসিংহ এই অষ্টাক্ষর মন্ত্ৰ সাধকদিগের কামপ্রদ মণি। যথাবিধানে এই মন্ত্রে পূজা করিতে হইবে। এই মন্ত্রের পুরশ্চরণ ৮ লক্ষ জপ । জপের দশাংশ হোম । নৃসিংহদেবের বড়ক্ষর মন্ত্রের ধ্যান— “কোপাদালোলজিহ্বং বিবৃতনিজমুখং সোমস্বৰ্য্যাগ্নিনেত্রং• পাদানভিরক্তপ্রভমুপরিমিতং ভিন্নদৈত্যেন্ত্রগাত্ৰম্। শঙ্খং চক্ৰং সপাখাপ্পুশকুলিশগদাদারুণামৃদ্ধহস্তং ভীষং তীস্কোগ্ৰদংষ্ট্রং মণিময়ৰিৰিধাকন্নৰীড়ে নৃসিংহম্।।” Х [ eరి ] தி নৃসিংহ अहेब्रश्न शाम कब्रिग्ना श्रृंख रुद्विर७ इहेrद । (उड़नाग्र) নৃসিংহদেবের যন্ত্র বিষয়ে তন্ত্রসারে এইরূপ লিখিত আছে । নৃসিংহযন্ত্ৰ— * 隱 "ীজং সাধ্যসমন্বিতং প্রবিলিখেয়ধ্যে২ঠপত্রেম্বথে৷ মন্ত্রার্শান শ্রুতিশো বিভজ্য বিলিথেৎ লিপ্য বহির্বেইয়েং। বান্থে কোণগবীজয়ন্ধবমুধাগেন্থদ্বয়েনাবৃতং যন্ত্ৰং ক্ষুদ্রবিষগ্রন্থাময়রিপুপ্রধ্বংসনং শ্ৰীপ্রদম্” মধ্য স্থলে বীজ ও সাধ্যমামাদি লিখিয়া, অষ্টদলে উগ্ৰং বীরং মহাবিষ্ণুং জলন্তং সর্বতো মূখং, নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যুমৃত্যুং নমাম্যহং’ এই মন্ত্রের চারি চারিটী মন্ত্র বিজ্ঞাস করিতে হইবে। তাহার চতুর্দিকে মাতৃক বর্ণ অর্থাৎ আকারাদি বর্ণ দ্বারা পরিবৃত করিতে হইবে । তাছার বহির্ভাগে ছুইট ভূপুর লিখিয়া উহার প্রত্যেক কোণে ক্ষেী এই মন্ত্র লিখিতে হইবে। এই যন্ত্র যথাবিধি পূজা করিয়া ধারণ করিলে ক্ষুদ্র বিষ গ্ৰহদোষ, ব্যাধিনাশ, শক্ৰধ্বংস ও লক্ষ্মীলাভ হয়। ভূৰ্জপত্র লিখিত যন্ত্র ১২ বৎসর পর্যন্ত ধারণ করা যাইতে পারে। ( তন্ত্রসায় ) [ নৃসিংহ অবতারাদির বিষয় নরসিংহ দেখ। ] ২ ষোড়শ রতিবন্ধাস্তগত নবম বন্ধ। লক্ষণ— “পাদে সংপীড যোনে চ হটাল্লিঙ্গপ্রবেশনম্। হস্তয়োর্বে টুয়োগাত্রং বন্ধে সৃসিংহসংজ্ঞকঃ ॥” (রতিমঞ্জরী ) না সিংহ ইব উপমিত কৰ্ম্মধারয়ঃ । ৩ নরশ্ৰেষ্ঠ । "ইঃ, মহার্হৈঃ ক্রতুভিনৃসিংহাঃ সস্ত্যজ্য দেহান স্বৰ্গতিং প্রপয়াঃ ।” ( ভারত ৯।৫৩২৪) ৪ স্বনামখ্যাত নৃপবিশেষ । ( সহাদ্রিখঃ ৩১৪• ) নৃসিংহ, পঞ্জাবের অন্তর্গত কাণ্ডুড়া জেলায় বিষ্ণুর অবতার নয় সিংহ বা নারসিংহদেবের পুঞ্জ প্রচলিত আছে। তথাকার প্রায় দুই তৃতীয়াংশ নরনারী এই পূজায় বিশেষ আস্থা প্রদর্শন করিয়া থাকেন। স্ত্রীলোকদিগের বিশ্বাস এই নৃসিংহদেবই তাহাদিগকে সন্তানাদি দান করেন এবং তাঁহাদের বিপদকালে উদ্ধার করেন । এই পূজা উদ্দেশে তাহার একট নারিকেল লইয়৷ থালার উপর রাখে ও প্রথমে পরিষ্কার জল দিয়া উহা ধৌত করে ; পরে চন্দন বাটিয়া তাহাতে প্রলেপ দেয় এবং ঐ চন্দন দিয়া নারিকেলের উপর একটী তিলক কাটিয়া (সচরাচর ব্রাহ্মণের নাসিকার উপর যেরূপ ফেঁাটা কাটে ) তাহার উপর অল্প পরিমিত চাউল ছড়াইয়া দেয় । ঐ নারিকেলকে পুষ্পমালার বিভূষিত করিয়া, তাহার সম্মুখে ধূপ জালে, পরে যথাবিহিত পূজাম্বুসারে উক্ত নারিকেলের পূজা করে। পূজাস্তে মিষ্টারাদি ভোগ দেওয়া হয় এবং ঐ সকল প্রসাদ স্বগৃহে ও প্রতিবেশী
- 8
