পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সুভদ্র। স্বভটদত্ত, একজন পণ্ডিত । হনি শৃগান্ধরথ ও জয়রখের ও* এবং ত্ৰিভুবনদত্তের পুএ । স্বভটবৰ্ম্মন, একজন হিন্দু মরপতি। অর্জুনকৰ্ম্মদেবের পিতা। ষ্টনি খৃষ্টীয় ১২শ শতাব্দীর শেষভাগে ও ত্রয়োদশ শতাব্দীর প্রথমে বিদ্যমান ছিলেন । স্বভদ্র । পুং ) সুষ্ঠ, ভদ্ৰং যথাৎ ১ বিষ্ণু। ২ রাজতেদ। (হেম) ৩ পৌরধাগর্ভসম্ভত বসুদেবের পুত্র বিশেষ। (তাগবত ৯২।৪৭) ( ত্রি ) ৪ শোভন মঙ্গল যুক্ত, উত্তম মঙ্গলবিশিষ্ট । “তত্ত্ব এতাঃ পুনঃ শুক্র বীরুধে হরিতচ্ছদ । ( . ) জ্ঞায়স্তে পুষ্করিণ্যশ্চ সুভদ্রশ মহোদধিঃ * ( ভারত ১২৩৩॥১৭ ): ৫ ১ম আচারাঙ্গরৎ জৈনাচাৰ্য্য । ( বু” হরি ২৬৫ সুভদ্রক ( পৃং ) স্বচ্ছু ভদ্রমন্মাৎ তত: কন। ১ দেবরথ । দেবভা দিগের রথ । “ব্যোমযানং দিব্যাথো বিমনোহী সুভদ্রক: ' ২ বিধবৃক্ষ । (শঙ্করত্না") ( শব্দচ" ) ৩ সহাদ্রিবর্ণিত রাজভেদ । ( সহা” ৩৩৩৬ ) ভগিনী, অর্জুনের পত্নী। অৰ্জ্জুন সুভদ্রকে তরণ করিয়া যথা1বধানে বিবাহ করেন। ইকার বিষয় মহাভারতে এইরূপ লিখিত আছে---বৃষ্ণি ও অন্ধক বংশীয় রাজগণ কোন সময় রৈবতক পৰ্ব্বতে নানারূপ উৎসবে ব্যাপৃত ছিলেন। অর্জনও সেই সময় রৈবতকে উপস্থিত ছিলেন। এই পৰ্ব্বতবিহারকালে অর্জুন সথাগণে পরিবৃত। নানালঙ্কাবভূষিতা সুভদ্রাকে দেখিতে পাইয়৷ কামমোচিত হন । প্রকৃষ্ণ অৰ্জুনের এই ভাব বুঝিতে পারিয়া তাহাকে ব্যঙ্গ করিয়া কহিলেন, একি ! অরণ্যচারী ব্যক্তির মনও কন্দর্শে আলোড়িত হয় ? হে পাৰ্থ! এই কন্যা সারণের সহোদর এবং আমার ভগিনী । ইহার নাম স্বভদ্র । এই ললনাই আমার পিতার প্রিয় দুহিতা । যদি তোমার অন্তঃকরণ ইeার প্রতি প্রবৃত্ত চক্ৰয়া থাকে, তাহা হইলে বল, আমি স্বরংই পিতার নিকটে ইহা নিবেদন করিয়া তোমার মঙ্গল সাধন করি । জর্জুন কৃষ্ণের এই কথা শুনিয়া তাহাকে কছিলেন, বসুদেবকক্ষ। অমুপম । এই কস্তা কোন ব্যক্তিকে না মোহিত করিতে পারে ? তোমার ভগিনী সুভদ্র। যদি আমার মহিষী হয়, তাছা gষ্টলে তোমাম্বারা আমার সর্বতোভাবে প্রেয় সাধন হয়, তাছাতে সন্দেহ নাই। হে জনাৰ্দ্দন! অথবা কি উপায়ে সুভদ্রীকে লাভ করিতে পারা যায়, তাহ বল, যদি মন্থয্যের সাধ্য হয় ভtছ oইলে আমি তাহা সৰ্ব্বতোভাবে করিব । ইহাতে রাহুদেৰ কহিলেন, ‘পার্থ। ক্ষত্রিমণিগের স্বয়ার | i সুভদ্রা (স্ত্রী) শোভনং ভদ্রমন্তীঃ । ১ শুমালত। (শব্দমালা) | ২ ঘুতমন্ত । ( শব্দচ" ) ৩ কাশ্মরী। ( য়াজনি" ) ৪ শ্ৰীকৃষ্ণ স্বভদ্রা বিবাহই বিচিত, কিন্তু এই স্থলে তাহ। ৰিtহুত নহে, কারণ স্বয়ম্বল্পকালে স্বভদ্রা কাহাকে বরমাল্য প্রদান করিবে, তাহার নিশ্চয়তা নাই। অতএব শুর ক্ষত্রিয়ের বলপূৰ্ব্বক কন্যা ছয়ণ করিয়া যে বিবাহ করা প্রশস্ত বলিয়াছেন তুমি সেই বিধানামুলায়ে এই কন্য হরণ করিয়া বিবাহ কর, তাহ হইলে সকল ধিক্ রক্ষণ হইবে। এইরূপে অৰ্জুন ও কৃষ্ণ ইতিকর্তব্যতা স্থির করিয়া ইন্দ্র গ্রন্থে যুধিষ্ঠিরের নিকট দূত প্রেরণ করিয়া তাহার সন্মতি আনাইলেন। তখন অৰ্জুন কৃষ্ণ ও যুধিষ্ঠিরের অমুমতি পাইয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হইয়া সুভদ্রাকে হরণ করিখার জন্ত গমন করিলেন । স্বভত্র শৈলরাজ রৈবতকের অর্চন ও তাঁহাকে প্রদক্ষিণ করিয়া দ্বারকভিমুখে গমন করিতেছেন এমন সময় অৰ্জ্জুন তদভিমুখে ধাবমান ইষ্টয়া সুভদ্রাকে গ্রহণপূৰ্ব্বক রথে আরোহণ করাষ্টয়া স্বীয় নগয়াভিমুখে প্রস্থান করিতে লাগিলেন । স্বভদ্রাকে স্থত দেখিয় তাহার রক্ষী সৈনিকগণ নানারূপ কোলাহল করিয়া বসুদেব প্রভৃতিকে এই সংবাদ প্রদান করিল। সকলে এই সংবাদ থাপ্ত হইয়া অৰ্জুনকে নানাপ্রকার নিলাবাদ করিতে করিতে সকলেই যুদ্ধার্থ সজ্জিত হইতে লাগিলেন। কিন্তু হহাতে কৃষ্ণ কোন কথাই ক{হলেন না, তুষ্ণাস্তাবে অবস্থান করিয়া থাকলেন । বলরাম কুষ্ণের এই অবস্থা দেখিয়া কহিলেন, “কৃষ্ণ ! তুমি কি নিমিত্ত কিছু বলিতেছ না, কি নিমিত্ত উদাসীনের হার উপবিষ্ট হইয় অবলোকন করিতে ছ ? তোমার নির্মিত্তই আমর সকলে অর্জুনকে সৎকৃত করিয়া ছিলাম। অর্জুন তাহার উপযুক্ত কৰ্ম্মই করিয়াছে !” সকলে এইরূপ বলিলে তখন শ্রীকৃষ্ণ কছিলেন, তোমরা সকলে বৃথা গজ্জন করিতেছ। অৰ্জ্জুন যাহা করিয়াছেন, তাহাতে তিনি ধৰ্ম্মসঙ্গত কাৰ্য্যই করিয়াছেন এবং ইহাতে আমাদের কুলেরও কোন অবমাননা করা হয় নাই, বরং তিনি আমাদের সন্মান বুদ্ধিই করিয়াছেন । তিনি অবগত আছেন যে আমরা অর্থলুব্ধ নহি,বে আমাদিগকে অর্থ দ্বারা তিনি বশীভূত করিবেন। স্বয়ম্বর সংশয়াম্পদ, সুভদ্র কাহাকে বরমাল্য প্রদান করে, তাহার স্থিরতা নাই । কোন ক্ষত্রিয়ই পশুর দ্যায় কন্ত সম্প্রদান করা অমুমোদন করেন না । অতএব তিনি এই সকল পৰ্য্যালোচনা কয়িয়াই ধীরের দ্যায় এই কন্যা হরণ করিয়াছেন। মহাদেৰ ব্যতীত অৰ্জুনকে যুদ্ধে পরাজয় করিতে কেহই সমর্থ নহে । সুভদ্র। ষেরূপ ৰশস্বিনী, পার্থও তাদৃশগুণসম্পন্ন, সুতরাং এ সম্বন্ধ অযোগ্য নষ্ঠে । ভরতবংশীয় শাস্তমুনন্দন কুস্তিতোজ-দৌহিত্র অৰ্জুনকে কোন ব্যক্তি না মিত্ররূপে প্রাপ্ত হইতে অভিলাষ করে? অতএব আমার মত এই যে এই সম্বন্ধ আমাদের পক্ষে ৰিশেষ প্লাঘনীয়। অর্জুনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ যাত্রা না করিয়া বরং তাহাকে সকলে মিলিত হইয়া সমৃদ্ধন করাই যুক্তিযুক্ত।’