পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/১৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বষ্টিতত্ত্ব স্বরূপ পরিণাম আরম্ভ হয়। তখন প্রলয় হইয় থাকে, এইরূপে একবার স্বষ্টি আবার প্রলয় হইয়া স্থষ্টির পর প্রলয়, প্রলয়ের পর সৃষ্টি ইহা বীজাণ্ডুরন্তায়বৎ অনাদি । প্রকৃতি ও পুরুব অন্ধ ও পঙ্গুস্থানীয় বলিয়া অভিহিত হইয়াছে। দৃক্ষশক্তিসম্পন্ন পঙ্গু গতিশক্তিসম্পন্ন অন্ধের স্কন্ধে অধিরূঢ় হইয়া পথ প্রদর্শন করে, অন্ধ তদনুসারে গমন করে । এইরূপে উভয়েরই অতিলাষ সিদ্ধ হয়। প্রকৃতি ও পুরুবের সংযোগও তদ্রুপ । পুরুষ দৃক্শক্তিযুক্ত, ও ক্রিয়াশূন্ত বলিয়। পদুস্থানীয়। প্রকৃতি ক্রিয়াশক্তিযুক্ত ও দৃষ্টিশক্তিশূন্ত বলিয়া অঞ্চস্থানীয়। এই সংযোগ বশতঃই প্রকৃতি মন্থদাজি অচেতন হইরা ও চেতনের দ্যায় এবং পুরুব স্বভাষতঃ জকর্তা হইয়াও গুণকর্তৃত্বে কৰ্ত্তার হায় caउँौब्रभांन श्छ । এই পৃষ্টি ছুই প্রকার, প্রত্যয় ও তন্মাত্র । বুদ্ধিতৰ স্মৃষ্টির স্থায় প্রত্যয় কৃষ্ট, ভূত ও ভৌতিক সর্গের গুtয় তন্মাত্র স্বষ্টি । প্রকৃতির প্রথম স্বষ্টি মহৎ বা বুদ্ধি, ইহার অসাধারণ ধৰ্ম্ম অধ্যবসায় বা নিশ্চয় বুদ্ধির ধৰ্ম্ম ৮টা, ধৰ্ম্ম, জ্ঞান, বৈরাগ্য, ঐশ্বৰ্য্য, অধৰ্ম্ম, অজ্ঞান, অবৈরাগ্য ও অনৈশ্বৰ্য্য। বুদ্ধি হইতে অহঙ্কার, অভিমান তাছার প্রধান ধৰ্ম্ম, অহঙ্কার হইতে একাদশ ইঞ্জিয় ও পঞ্চ তন্মাত্র। পঞ্চ তন্মাত্র হইষ্ঠে পঞ্চ মহাভূত। উক্ত প্রত্যয় কৃষ্টি আবার প্রকারাস্তরে চারি ভাগে বিভক্ত । যথা ৰিপর্যায়, অশক্তি, তুষ্টি ও সিদ্ধি। বিপৰ্য্যয় পাচ প্রকার—অবিস্তা, অস্মিতা, রাগ, দ্বেষ ও অনির্ণিবেশ । একাদশ ইঞ্জিয়ের অশক্তি একাদশ প্রকার, এবং বুদ্ধির নিজের অশক্তি সপ্তদশ প্রকার, সুতরাং জোটের উপর অশক্তি অষ্টাবিংশতি প্রকার । [ এই সকলের বিশেষ বিবরণ সাংখ্যদর্শনশন্ধে দ্রষ্টব্য ] প্রকৃতির বিরূপ পরিণমাবস্থায় উক্তরূপে স্বষ্টি হইয়া থাকে । যত দিন পৰ্য্যন্ত পুরুষের বিবেকসাক্ষাৎকার না হয়, ততদিন পৰ্য্যন্ত প্রকৃতি পুরুষকে ত্যাগ করিবে না। পুজবের বিবেকगांभां९कtब्र श्हेtण स्रांब न्श४ इहेtव नां । ( मां२षाम°) পাতঞ্জল দর্শনেরও এই মত । বেদান্তমতে—এক ব্ৰহ্মই জগতের সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের কারণ। এক পরব্রহ্ম হইতেই জগতের সৃষ্টি স্থিতি ও প্রলয় হইতেছে। “বতে বা ইমানি ভূতানি জাতানি জীবন্তি” (শ্রুতি। হুষ্টির প্রথমে এক ব্ৰহ্মই ছিলেন, “একোহহং বহু স্তাং” (শ্রতি ) अक्रॉब्र हेछ्। रुहेन ५क काiभि वह एहेद, डाशंग्न ७हे हेछछोcङहे জগতের স্থষ্টি অtয়ন্ধ হইল, প্রথমে ব্ৰহ্ম হইতে পৃথিবী, এইরূপে ক্রমে ক্রমে চয়াচর জগতের স্বষ্টি হইল ।

  • এতন্মাদাত্মনঃ আকাশঃ সন্ধুতঃ, আকাশদ্বায়ু বারোরমিঃ, জন্ধেরাপ, অস্ত্যঃ পৃথিবী চোৎপস্ততে” (শ্রীতি )

[ S6 & J স্বষ্টিতত্ত্ব এক ব্ৰঙ্গ হইতে জগতের স্থষ্টি হইয়া ব্ৰন্ধেই অবস্থিত আছে এবং পরিশেবে ব্রহ্মেই লীন হইবে । জীব অবিদ্যাবশে ব্ৰহ্মস্বরূপ উপলব্ধি করিতে পায়ে না, মায়ার মোহিত হইয়া আবদ্ধ থাকে। জ্ঞান হইলেই মুক্তি লাভ করে । [বেদাস্ত শব্দে স্রষ্টব্য ] ইহা ভিন্ন প্রতি পুরাণেই স্বষ্টিক্রম বিশেষভাবে লিখিত আছে। কারণ পুরাণের লক্ষণে লিখিত আছে যে, স্থষ্টি এবং প্রলয় বর্ণন করিতেই হইবে । পুরাণসকলের মধ্যে স্থষ্টি প্রণালী লম্বন্ধে কিছু কিছু প্রভেদ আছে, কিন্তু অন্যান্ত বিষয়ে মতের কিছু কিছু বিভিন্নতা থাকিলেও এক পরমেশ্বর হইতেই যে এই জগতের স্বষ্টি হইয়াছে, তাহাতে কোনরূপ মতদ্বৈধ নাই। তবে সৃষ্টিক্রম সম্বন্ধে কিছু কিছু ভিন্নতা দৃষ্ট হয় । তাছাতে বিশেষ কিছুই আসিয়া বায় না । সংহিতা, দর্শন ও পুরাণাদি সকল শাস্ত্রেরই মত এই ষে “আবাভুমী জনয়ন দেব এক আস্তে বিশ্বস্ত কৰ্ত্ত ভুবনন্ত গোপ্তা” ( শ্রীতি ) এক দেবতা আছেন, তাহা হইতে এই স্বৰ্গ, মর্ত্য, রসাতল ও চয়াচর জগৎ উৎপত্তি হইয়াছে এবং তিনিই রক্ষা করিতেছেন। িপুরাণ ও সর্গ শব্দ দেখ ] জৈনদর্শনের মতে “স্বামগু, এসরেণু প্রভৃতি উৎপন্ন হইয়া আকাশমার্গে বিস্তৃতি লাভ করে এবং তাছা হইতে বায়ু, বাৰু হইতে অগ্নি, অগ্নি হইতে জল এবং জল হইতে পৃথিৰী উৎপন্ন ছইয়াছে।” ব্ৰহ্মাণ্ডাদি বিভিন্ন পুরাণেও নিখিল বিশ্বের তমোময়ত্ব ও অনাদি অনন্ত পরিব্যাপ্তত্ব কল্পিত হইয়াছে। ঐ সকল পুরাণমতে গুণসাম্য ( প্রচার ) উপস্থিত হইলেই স্বষ্টিকাল আরম্ভ হয়, এবং স্বল্প ও মহুদুগুণসংযুক্ত অব্যক্ত সমাবৃত মহত্তত্বের উদ্ভব হয়। এই বে মহত্তত্ব ইহাই হুইল সত্ত্বগুণপ্রকাণক মন, এবং এই মনকেই কারণ ও স্বষ্টিকর্তা বলিয়া খাকে । ক্রমে ক্রমে ইহা হইতে ভূততন্মাত্র ও তাছা হইতে পঞ্চ তন্মাত্রের উৎপত্তি হয় । এবং পয়ে অণ্ডের স্বষ্টি হইলে, ভূতসমুছের জাদিকর্তা হিরণ্যগৰ্ত্ত আদিপুরুষ:জীবাত্মসমূহের স্থষ্টি করেন । [ পৃথিবী দেখ। ] ব্ৰহ্মবৈবর্তপুরাণের প্রকৃতিখণ্ডের সপ্তম অধ্যায়ে ভগবাণু নারায়ণ নারদকে বলিয়াছেন "বিশ্বের সৰ্ব্বোচ্চভাগে গোলক ও বৈকুণ্ঠধাম অবস্থিত। ইহারই কেবল ধ্বংস নাই ; এতদ্ব্যতীত অদ্য সকল অংশই কৃত্রিম ও নশ্বর। প্রকৃত প্রলয়ের সময় ৰূক্ষ্মীও বিলয় প্রাপ্ত হয়। তখন স্বষ্টি-প্রারম্ভে ভগবান বিষ্ণু আত্মম্বারা মহাবিরাটু পুরুষকে স্থষ্টি করেন ।” নৈয়ায়িকদিগের মতে পৃথিবী পরমাণুস্বরূপ ও অবয়বশালিনী এই দুই প্রকার, ভষ্মধ্যে পরমাণুস্বরূপ পৃথিবী নিত্য ও অবয়বশালিনী পৃথিবী জনিত্য ।