স্বর্গ জীব যদি অধিকাংশ ধৰ্ম্মকর্মের অনুষ্ঠান করেন, এবং অল্প পরিমাণ অধৰ্ম্ম করেন, তবে তিনি পুথিব্যাণি স্বল্প ভূত দ্বারা শরীরী হইয়। স্বর্গে সুখভোগ করিয়া থাকেন। আর বদি র্তাহার ধৰ্ম্মের ভাগ অল্প এবং অধৰ্ম্মের ৪াগ অলিক হয়, রাগ হইলে ঐরূপ ভূতাংশ দ্বারা তাহার দেহ গঠিত না ইয়া যাচাতে তিনি যমঘা শুনা ভোগ করিষ্ঠে পারেন, সেই রূপ একটি দেচ প্রাপ্ত হন, এবং সেই দেহ নরক ভোগ করে । স্বর্গ ও নরক উভয়েরষ্ট ক্ষয় আছে । পুণ্যফলামুসারে স্বৰ্গভোগ পাপাগুসারে নর কeেtগের পর জীব নিজ কৰ্ম্মাৎসারে তাবার ভাগ মত পঞ্চভূতাত্মক মানবাদি দেহ ধারণ করে । ধৰ্ম্ম ও অধৰ্ম্ম হে তু জীবের এই সকল গতি অন্তঃকরগে আলোচনা BBBS BB BB BB BBBggSgg BBBS BBB BBSBB বচন হুtধা জনা যায় যে, মৃত্যুর পর পঞ্চভূতের স্বাক্ষাংশ দ্বারা কৰ্ম্মানুসারে একটা দেহ গঠিত হয়, ঐ দেহে স্বৰ্গভোগ হইয়। অতএব র্যাহার বলেন, দেহ ব্যতীত ভোগ হয় না, qቐደ থাকে । জীবের মৃত্যুর পর পঞ্চভূতের স্বাক্ষাংশ দ্বারা একটা দেহ গঠিত । হয়, তাহাতেই ভোগ হয়ে থাকে। তাহাদের উক্তি দ্বারা স্থির হইল যে স্বৰ্গ ও নরক ভাগকালে এমন একটা দেহ হয়, যাহাতে ভোগ মাত্র হয়ে থাকে। পুরাণাদি শাস্ত্রে স্বর্গে বিবিধ স্থাকার মুখভোগের এবং নরকে বিবিধ দুঃখভোগের বিবরণ বিস্তৃত ভাবে বর্ণিত আছে । শাস্ত্রে স্বৰ্গ প্রদ বিবিধ প্রকার পুণ্যকন্মের ও বিধান লি:থত অt:ছ । জীল কৰ্ম্মফntটুসারে জন্ম গ্রহণ কঠিয়া যাহাতে বিশুদ্ধ শুভ কৰ্ম্মসকলের অনুষ্ঠান করে, তাহাই শাস্ত্রে পুনঃ পুনঃ লিখিত হইয়ছে। পদ্মপুরাণের ভূখণ্ডে লিখিত আছে যে, স্বর্গে দিব, রমণীয় ননানাদি কাননসমুহ বিপ্তমান আছে। এই সকল কানন অতিশয় পবিত্র, এই সকলু কাননের চতুর্দিক ফলপ্রদ বৃক্ষসকলে পরিবৃত আছে। মুদিব্য বিমান ও অপসয়োগণ ইহার চারিদিকে বিরাজিত রংিরছে । রসসকল সৰ্ব্বত্র কামগ ও বিচিত্র। এই স্থানে চন্দ্রমওল শুভ্রবর্ণ আসন ও শয্যা সুবর্ণময় । অধিক কি, এচ স্থান যত প্রকার সুখ হইতে পারে, সেই সকল প্রকার সুখসমৃদ্ধ। মুকুতকারী নরসমূহ এই স্থানে মুখে বিচরণ করে । নাস্তিক, স্তেয়, অজিতেঞ্জিয়, নৃশংস, পিণ্ডন, কুতম প্রভৃতি পাপিগণ এই স্থানে গমন কfরতে পারে না, যজ, দানশীল প্রভৃতি সুকৃতকৰ্ম্মকারীই এই স্থানে গমন করিয়া থাকে। এই স্থানে রোগ, শোক, জন্ম, জরা ও মৃত্যু নাই, এই স্থানে ক্ষুৎপিপাস বা মানি কিছুষ্ট নাই। সমগ্র গুম্ভ কৰ্ম্মের ফল এই স্থানেই ভোগ করিয়া থাকে। এই স্থানে শুভ ফলসকলের ভোগ হইলে তখন তাহার কৰ্ম্মভূমিতে জন্মগ্রহণ কয়ে । [ s so J ुन “স্বৰ্গন্ত মে গুণান ক্ৰহি সাম্প্রতং দ্বিজসত্তম এতং সৰ্ব্বং দ্বিজশ্রেষ্ঠ করিষ্যামি ন সংশয়ঃ। লক্ষনাদnfন দিব্যানি রম্যাণি বিবিধানি চ । তন্ত্রোস্তানালি পুণ্যানি সৰ্ব্বকামশুভানি চ | সৰ্ব্বকামফলৈ ক্ষৈঃ শোভিতানি সমস্তুতঃ ॥ বিমানান স্বাদব্যানি পরিভান্সপ সরোগণৈঃ । তরুণাদি তাৰণানি মুক্তাঞ্জালাস্তরাণি চ । চক্রমগুলগুভ্রাণি হেমশবাসনানি চ | সৰ্ব্বকামসমৃদ্ধাশ্চ সুখদুঃখবিবর্জিতাঃ । নরাঃ মুরুতিনস্তে তু বিচরস্তি যথাস্থখং ॥ ন রোগে ন জর মৃত্যুর্ন শোকো ন হিমাদয়ঃ । ন তত্র ক্ষুৎপিপাসা চ কস্ত গ্লানিন দৃশুতে ॥ শুভস্ত কৰ্ম্মণ: কুৎস্নং ফলং স্তয়ৈব ভুজ্যতে । ন চাত্র ক্রিয়তে ভূয়: সোইক্ৰ দোষো মহান শ্রত ॥” (পদ্মপু ভূমিখ ৯০ অ” ) স্বৰ্গ হইতে কৰ্ম্মভোগের পর স্বর্গিদগের পতন হয়, ইহাই স্বগের দেবে ভূঃ, ভূধঃ, স্বঃ প্রভৃতি করিয়া সাতটা লোক, তাহার মধ্যে এই পৃথিবী লোককে ভূলোক কহে, এই পৃথিবী হইতে স্বৰ্য্য পৰ্য্যস্ত ভুবলে কি, সুৰ্য্যলোক হইতে ধ্রুবলোক পৰ্য্যস্ত স্বলোক নামে অভিহিত, হুর্যের উপরি ভাগে ধ্রুবের সংস্থান পৰ্য্যস্ত যে স্থান ভাছাই স্বৰ্গলোক স্বগিগণ এই স্থানেই অবস্থান করিয়া থাকে । এই স্থানে অবস্থানের নাম স্বৰ্গবাস । “তদৃভূলোক ইতি খ্যাতং শাকদ্বীপাদিকাণনং ভূলোকাচ্চ ভুবলোকঃ স্বৰ্য্যাবধিরুদারিতঃ । আদিত্যাদাঞ্জবং রাজন্ স্বলোকঃ কথ্যতে বুধৈঃ ॥"(পদ্মগু* ৬অ’) পদ্মপুরাণে স্বৰ্গখণ্ডে স্বর্গের বিশেষ বিবরণ লিখিত আছে। ৰাহুল্য ভল্পে তাছ আর এই স্থলে লিখিত হইল না । নৃসিংহপুরাণে লিখিত আছে যে, পৃথিবীর মধ্যে অন্ত্রিশ্ৰেষ্ঠ মেরু নামে একটা পৰ্ব্বত আছে, এই সুমেরুর তিনট শৃঙ্গ স্বর্গ নামে অভিহিত । এই তিনট শৃঙ্গের মধ্যে মধ্য শৃঙ্গ স্ফটিকৰয়, ও বৈদূৰ্যখচিত, পুৰ্ব্বশৃঙ্গ ইন্দ্রনীল ও পশ্চিম শৃঙ্গ মাণিক্যময়। পুণ্যাক্সগণ এই সকল শৃঙ্গে পুণ্যফলভোগ করিয়া থাকেন । “স্বৰ্গস্থানং মহাপুণ্যং প্রোচ্যমানং নিবোধ মে। ভারতে কৃতপুণ্যানাং দেধানামপি চালয়ং ॥ মধ্যে পৃথিব্যামন্দ্রীঙ্গে ভাস্বান মেরুহিঁয়গায়ঃ। যোজনানাং সহস্রাণি চতুরশীভিঃ সমুচ্ছিতঃ ॥ প্রবিষ্ট ষোড়শাধস্তষ্কেরণ্যাং ধরণীধরঃ । তাৰৎপ্রমাণ পৃথিবী পৰ্ব্বতশ্চ সমস্ততঃ ॥
