পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৪১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

স্বগ* সময়ে দেবগণকে পরাজিত করিয়া স্বয়ং ইন্দ্রজ গ্রহণ করিতেন। আবার দেবগণ ভগবান বিষ্ণুর সাহায্যে ভাহাদিগকে নিধন করিয়া পুনরায় স্বগ রাজ্য গ্রহণ করিতেন । পুরাণসমূহে ইহার বহুতর বিরণ বর্ণিত আছে, বাহুল্যভয়ে ভাহা লিখিত হইল না। মহাভারভে লিখিত আছে, যুধিষ্ঠির স্বশরীরে স্বগারোহণ করিয়া ছিলেন । ভারতের স্বর্গারোহণপর্কে ইহার বিস্তৃত বিবরণ লিখিত আছে । পারিভাষিক স্বগ যথা— "মনোহমুকুলাঃ প্রমদা রূপবত্যঃ স্বলঙ্ক ৩াঃ । বাসঃ প্ৰসাদপুষ্ঠেযু স্বগঃ স্তাচ্ছভকৰ্ম্মণঃ ” (গরুড়পু• ১•৯৪৪) মনোবৃত্তানুসারিণী রূপবতী অলঙ্কত কামিনী এবং গ্রাসাদপৃষ্ঠে বাসই স্বগ। জগতের সকল সভ্য জাতির মধ্যেই স্বর্গ সম্বন্ধে এক প্রকার বিশ্বাস আছে । বাইবেল হইতে জানা যtয় যে, প্রাচীন হিব্রুজাতি মনে করিতেন, মুদৃঢ় ভিত্তি ও পাক খিলান করা স্তম্ভের উপর স্বগ প্রতিষ্ঠিত । (Jou, xxvi. 11) মাবার স্বৰ্গ একখানি | পদ বা তাবুর আবরণীর মত অনেকের এরূপ ধারণাও ছিল । ( Psalm civ ) {য়হুদীর অধঃ, মধ্য ও উচ্চতর এই কএক i প্রকাব স্বর্গ কল্পনা করিতেন । তন্মধ্যে অধঃস্বগ মেঘ ও বায়ু । মণ্ডপ, মধ্যস্বগ তারকা বা নক্ষত্রমণ্ডল এবং উদ্ধ বা স্বলোক । ঈশ্বর ও তাছার দূতগণের নিবাসভূমি। পূৰ্ব্বতন বৌদ্ধগণও ! ‘এরস্ত্রিংশৎ’ স্বৰ্গ কল্পনা করিতেন । এ ছাড়া বৌদ্ধ, খৃষ্টান, রিচ্ছদী, মুসলমান প্রভৃতি প্রধান ধৰ্ম্মসম্প্রদায়গণও বরাবরই স্বর্গের একট আধাত্মিক অর্থ স্বীকার কারতেন । আদি বৌদ্ধগণ নিববাণং পরমং সুখং' ( ধৰ্ম্মপদ ) পরম সুখকেই নিৰ্ব্বাণ বলিয়। বর্ণনা করিয়াছেন। আধুনিক বৌদ্ধগণ কেহ কেহ এই নিৰ্ব্বাণ অবস্থাই স্বগ বলিয়া মনে কয়েন । প্রাচীন গ্ৰীক ও রোমকগণ চিরস্থখশাস্তিময় স্বগকেই নামে অভিহিত করিয়াছেন। মানব সেখানে অনস্ত মুখভোগ করিয়া থাকেন, কেবল নরকের লেদ (lathe) নামক সরোবরের জলপান করিয়াই ভহিকে সেই অনন্ত শান্তিময় অবস্থা ভুলিয়। আবার এ জগভে আসিতে হয় । পুরাণে স্বগে যেরূপ ইঙ্গ, চন্দ্র, ব্রহ্মা, বিষ্ণু, স্বৰ্য্য প্রভৃতি ভিন্ন ভিন্ন দেবতার ভিন্ন ভিন্ন “লোক’ বিবৃত হইয়াছে, পুব্বকালে মেক্সিকো-বাসিগণও সেইরূপ বিভিন্ন দেববোনির নিবাসস্বরূপ ৯ট মুখশাস্তিময় স্বগ লোক কল্পনা করিত । মৃত্যুর পর পুণ্য কাৰ্য্যের তারভম্যান্থসারে সেই সকল স্বগ ভোগ হইয় থাকে। মিছৰীদিগের "রাব্বি’ ৰ ধৰ্ম্মাধ্যক্ষগণের মতে উদ্ধ ও অধঃ এই দুইট স্বগ, ইহার মধ্যে “ঞ্জিঅন নামে একটী স্তম্ভ সংলগ্ন আছে । প্রতি পুণ্যাহ ( Sabbath ) ৰ উৎসবের দিনে পুণ্যশীল সেই o XXII Elysium | | | [ 8 అసె ) , е Ф श्व१’ গুপ্ত দিয়া স্বগে উঠিয়া যান এবং সৰ্ব্বশক্তিমান ভগবানের বিভূতি দর্শন করিয়া আসেন। উদ্ধ ও অধঃ এই উভয় স্বগেই সাতটা ভবন আছে। ধাৰ্ম্মিকগণ স্বকৃতি অনুসারে সেই সকল ভবনে গিয়া বাস করেন। উদ্ধ স্বগ লাভই শ্রেষ্ঠ স্বকৃতির পরিচায়ক । এই উদ্ধে যে সাতট ভবন আছে, তন্মধ্যে যাহারা ধৰ্ম্মরাজ ও ভগবানের সম্মানরক্ষার্থ আত্মোৎসগ করিয়া থাকেন, তাহদের ১ম ভবন,যাহারা সমুদ্রে মৃত্যুমুখে পতিত হন,তাহীদের ২য় ভবন, রাবিব জোচানন বেন জকাই ও তাছার শিষ্যমণ্ডলীর জন্ত ৩য় ভবন, মেঘে যাহার অবতরণ করেন, তাছাদের জম্ব ৪র্থ ভবন, অমৃতপ্ত ও বিশুদ্ধ ধাৰ্ম্মিকদিগের জন্য ৫ম ভবন, আকুমার ব্রহ্মচারী ও আজীবন নিষ্পাপ লোকদিগের জন্য ৬ষ্ঠ ভবন এবং বাইবেল ও মিস্ন' বা ধৰ্ম্মগ্রন্থ চর্চা দ্বারা যে সকল দরিদ্র ভিক্ষু জীবিকাৰ্জ্জন করেন অথবা র্যাহার। দ্যায়সঙ্গত ব্যবসা করিয়া থাকেন, তাছাদের জন্য ৭ম ভবন । ধাৰ্ম্মিক বা পুণ্যবানের মৃত্যু হইলে একেবারে তিনি উদ্ধ স্বগে যাইতে পারেন না। উদ্ধ স্বগ ও জড়জগতের মধ্যবৰ্ত্তী অধঃস্বগেই তাহাদিগকে প্রথমে যাইতে হইবে। অধঃস্বগে অবস্থান না করিয়া কাহারও শ্রেষ্ঠতম ভবনে যাইবার অধিকায় নাহ । যাইবার চেষ্টা করিলেই সেখানকার মহাবহ্নিতে ভস্মীভূত হইতে হইবে । তবে কেহ কেহ অশেষ স্বকৃতির ফলে একেবারে ভগবানের সমীপে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ উদ্ধলোকে যাইতে পারেন ও অপরাপর ভবনে যাতায়াত করিতে পারেন, কিন্তু এরূপ লোকের সংখ্যা অতি বিরল। পুৰ্ব্বকালে মিস্রদেশের ধৰ্ম্মযাজকগণ হিন্দুদিগের মত শিক্ষা দিতেন যে,আত্মীর বিনাশ নাই, দেহত্যাগের পর আত্মা স্বৰ্গলোকে গিয়া পরমাত্মায় মিশিয়া যায়। পূৰ্ব্বতন স্কন্দনাভ জাতিও দুইটা পৃথক্ স্বৰ্গ জানিতেন। তন্মধ্যে একটতে বলহল্লা” নামে ওদিন বা বুধের প্রাসাদ আছে, যাহাঁদের রণস্থলে বীরোচিত মৃত্যু ঘটে, ওধিন তাহাদিগকে সেখানে গ্রহণ করিয়া থাকেন । অপর স্বগের নাম "গিম্লি’-এই ধাম স্বর্ণময় প্রাসাদমণ্ডিত এবং পুণ্যবানের চিরশান্তি ও আননাভোগের স্থান । ওদিনের প্রাসাদে র্যাহার। প্রবেশ করিডে পান, তাহাদিগকে প্রত্যহুই যুদ্ধসজ্জা করিতে হয় ও ভঁtহার পরস্পরে যুদ্ধ করিয়া ক্ষতবিক্ষত হইয় থাকেন । কিন্তু আহারের সমর হইলে সকলেই স্বস্থ দেহে স্বচ্ছদে ওদিনের ভোজনমন্দিরে আসিয়া পানভোজনে ব্যাপৃভ হইয়া পড়েন। একটা ছাগীর জুগ্ধে অভিযুত স্বরায় ও ‘সোরিলদির’ নামক একটা বরাহের মাংসে সকলে তৃপ্তি লাভ করেন । ভগবান ওদিন কেবল দ্রাক্ষাজাত মস্ত পান করিয়া থাকেন । বীরগণের ভোজন টেবিলের নিকট সুন্দরী কুমারীগণ উপস্থিত থাকিয়া পরিবেশন করে ও পানপাত্র পূর্ণ করিয়া দিয়া থাকে। পূৰ্ব্বতন খৃষ্টীয় ধৰ্ম্মযাজকগণ