পাতা:বিশ্বকোষ দ্বাবিংশ খণ্ড.djvu/৬২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হিরণ্যকশিপু [ ఆ పి ) হিরণ্যকেশ দ্বারা স্থষ্টি, স্থিতি ও প্রলয় করিতেছেন, আপনি জামুরিক ভাৰ পরিত্যাগ করিয়া তাহারই শরণাপন্ন হউন । তখন হিরণ্যকশিপু ঘৃতাহুত অগ্নির ছায় আরও ক্রুদ্ধ হইয় তাহাকে কছিলেন, আমি ভিন্ন আর একজন জগতের ঈশ্বর আছেন ? অরে দুৰ্ব্বন্ধে ! যদি থাকেন, কোথায় আছেন, যদি বলিস সৰ্ব্বত্র আছেন, তাহা হইলে এট যে স্তস্ত দৃষ্ট হুইভেছে ইহাতে নাই কেন ? প্ৰহলাদ তখন সেই স্তম্ভ নিরীক্ষণ করিয়া কহিলেন, তিনি যখন সৰ্ব্বত্র বিদ্যমান, তখন এই স্তম্ভেও তিনি আছেন, তাহার সত্ত ন থাকিলে জগতের সম্ভ হইতে পারে না । তখন হিরণ্যকশিপু কছিলেন, এখনই তোর মস্তক দ্বিখণ্ডিত করিয়া ফেলিব, এখন তোর হরি তোকে রক্ষা করুক । হিরণ্যকশিপু এই বলিয়া গজ্জন করিতে করিতে সেই স্তম্ভের উপর মুষ্ট্যাঘাত করিলেন । মুষ্ট্যাঘাত করিবামাত্র সেই স্তম্ভ হইতে এরূপ একটা ভয়ানক শব্দ নির্গত হইল, ব্ৰহ্মা গুকটাহ যেন তাহাতে ফুটিত হইয় গেল। ব্রহ্মাদি দেবগণ স্ব স্ব ধামে বসিয়৷ ঐ অদ্ভুত ধ্বনি শুনিতে পাইলেন । তৎশ্রবণে তাঙ্গদের মনে হইল, বুঝি তাহদের স্থান বিধ্বস্ত হইয়া গেল । তখন ভগবান স্বীর ভক্ত গ্ৰহলাদের বাক্য সত্য করিবার জন্ত দৈত্যঘাতক ঘোর রূপ ধারণপুৰ্ব্বক সভামধ্যে সেই স্তস্তুেত আবিভূতি হইলেন । তাছার ঐ রূপ মৃগাকারও নয়, সিংহ কারও নর, সুতরাং অতি অদ্ভুত। হিরণ্যকশিপু প্রথমে ঐ নৃসিংচমূৰ্ত্তি দেখিতে পান নাই । কিন্তু তাহার গর্জন শুনির চমকিত ইষ্টয়া উঠিলেন । তখন নৃসিংহরূপী ভগবান ঐ স্তম্ভ হইতে নিৰ্গত হইয়া ঘোরতর গভর্জন করিতে লাগিলেন । ইহার লোচন পতপ্ত স্বর্ণের দ্যায় পিঙ্গলবর্ণ, বদন দীপ্যমান, জটা অতিশয় বিস্কৃস্তিত, করলে দস্ত করবালতুল্য চঞ্চল এবং জিহব। ক্ষুরধায় সদৃশ, মুখ ভ্ৰকুটযুক্ত। ভীষণ এই মুক্তি দেখিয়া হিরণ্যকশিপু অতি আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইলেন। s নৃসিংহদেব হিরণ্যকশিপুকে আক্রমণ করিলেন । কশিপু ও নৃসিংহদেবে তুমুল সংগ্রাম বাধিয়া গেল। বহুক্ষণ যুদ্ধের পর নৃসিংহ স্বীয় নথাস্থর দ্বারা দৈত্যপতির ধংপদ্ম উৎপাটন করিয়া উহাকে বিনাশ করিলেন। পরে তাহার যে সকল অম্লচর শস্ত্রধারী হইয়। যুদ্ধার্থ উদ্যত হইতেছিল, তাহদিগকে এবং সহস্ৰ সহস্ৰ অসুরকে নখাঘাতে নিহত করিলেন। দুষ্ট অম্বর সকল নিহত হইল ; তখন মন্ত্র ও ইন্দ্রাদি দেবগণ নৃসিংহদেবের স্তৰ করিতে লাগিলেন । হিরণ্যকশিপু এইরূপে নিহত হইলে দেবগণ স্ব স্ব অধিকার লাভ করিলেন, চরাচর জগতে শান্তি সংস্থাপিত হইল । ( ভাগ- ৭ । ১-১৫ অ* ) বিষ্ণুপুরাণ, অগ্নিপুরাণ ও হরিবংশ প্রভৃতিতেও হিরণ্যাক্ষ ও হিরণ্যকশিপুর উপাখ্যান বিস্তৃত ভাবে লিখিত আছে, বাহুল্যভয়ে তাহ! এই স্থলে লিখিত হইল না । হিরণ্যকশিপুহন (পুং ) হিরণ্যকশিপুং ইতৰানিতি হ+ কিপ । বিষ্ণু f ( হেম ) হিরণ্যকামধেনু (পুং ) হিরণ্যনিৰ্ম্মিত কামধেনুর্ধর। ষোড়শ মহাদানের অন্তর্গত মহাদানবিশেয । বৎসের সহিত স্ববর্ণের কামধেমু প্রস্তুত কল্পিয় তুলাদানের পদ্ধতি অনুসারে এই দান করিতে ছর। মৎস্তপুরাণে এই দানের বিধান এবং ধেমুনিৰ্ম্মাণবিধি ৰিশেযরূপে লিখিত আছে । যিনি বিধিfযধানে এই দানের অনুষ্ঠান করেন, র্তাহার সকল কামনাসিদ্ধি এবং মহাপাতকনাশ হইয় থাকে । সহস্র পল পরিমিত বিশুদ্ধ স্বর্ণ গ্রহণ করির ধেমু ও বৎস নিৰ্ম্মাণ করিতে হইবে । এই পরিমাণ স্বর্ণে যে ধেগু নিৰ্ম্মিত হয়, তাহা উত্তম ধেম, ইহার অদ্ধ পরিমিত স্বর্ণ দ্বারা প্রস্তুত ধেমু মধ্যম এবং ইহার ও অদ্ধ পরিমাণে অধম ধেনু হর । ৩,শক্ত ব্যক্তি শক্তি অনুসারে তিনপলের অধিক স্বর্ণ দ্বারা এই ধেনু নিৰ্ম্মাণ করির দান করিতে পারিবে । তিন পলের নুন হইলে হইবে না। কিন্তু শক্তি থাকিতে যদি অল্প পরিমাণ স্বর্ণে ইহা প্রস্তুত করে, তাহ হইলে তাহাতে ফল হয় না । তুলাপুরুষের নিরমানুসারে বেদী, কুম্ভ ও মণ্ডপ প্রস্তুত করবে। বেদিতে কৃঞ্চাজিন আস্তরণ করিয়া তাহার উপর এই ধেস্থ রাখিতে হইবে । এই ধেমুকে মহামূল্য রত্নালঙ্কার দ্বারা সজ্জিত করিতে হয়। ইহার চারিদিকে অষ্টাদশবিধ ধান্ত ছড়াইয়া দিবে ও নানাফলবিভূষিত ৮ গাছি ইক্ষুদও , এবং নিম্নে আসন ও তামের দোহনপাত্র রাখিয়া দ্বিৰে । এইরূপে কামধেনু নিৰ্ম্মাণ করির তুলাদানের বিধালামুসারে উe1 বেদবিদ ব্রাহ্মণকে দান করিবে । যিনি এইরূপে ধেস্থ দান করেন, তাহার সকল প{পলাশ এবং ইন্দ্রলোকে বাস কষ্টয়া থাকে । ( মৎস্তপুরাণ ২৫৩ অধ্যায় ) হিরণ্যকার (পুং ) ১ স্বর্ণ-নিম্পাদক। "বর্ণায় হিরণ্যকারং" ( শুক্লধজু ৩•।১৭ ) হিরণ্যকারং স্বণ-নিম্পাদকং’ ( সারণ) ২ সুবর্ণকার । হিরণ্যকুক্ষি (জি ) স্বর্ণকুক্ষি। হিরণ্যকুল (পুং ) কাশ্বারের একজন রাজা। হিরণ্যকৃৎ। ত্ৰি ) হিরণ্যং করোভীতি রু-ক্ষিপ, তুক্‌চ। ১ জুৰণকার, সেকরা, যাহার স্বর্ণালঙ্কায়াদি প্রস্তুত করে। ২ অগ্নি । হিরণ্যকৃতচুড় ( পুং ) শিব । ( ভারত ) হিরণ্যকেশ (ত্রি ) ছিয়ণ্য বরণীয় জাল অর্থাৎ শিখাৰিশিষ্ট, সুবর্ণের স্থায় রোচমান জালাবিশিষ্ট । “রিণাকেশে রঙ্গলে।