পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাপর --- আরাধনা করিবে । কেশবাদি দ্বাদশ নাম দ্বারা দ্বাদশীব্রত করিয়া একবর্ষ ভগবান নারায়ণের পূজা করিতে হইবে । যাহার এই ব্ৰতাচরণ করেন তাহদের কথনও নরক হর না, এবং স্বৰ্গবাস হইয় থাকে। ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষে মুমতি স্বাদশী ব্ৰত করিলে সুমতি লাভ হইয়া থাকে । ভগ্রিমাসের শুক্লাম্বাদশীর দিন অনস্তুদ্বাদশী ব্ৰত করিলে অশেব ক্লেশ শান্তি হয় । মাঘমাসে শুক্লাম্বাদশীর দিন যদি মুলা অথবা অশ্লেষানক্ষত্র হয়, তাছা হইলে "কৃষ্ণায় নমঃ’ বলিয়া তিল স্বারা হোম করিয়া ভগবানের আরাধনা কল্পিবে। ইহাকে তিলদ্বাদশী কহে। পৌষমাসের শুক্লাম্বাদশীকে সম্প্রাপ্তিস্বাদশী ব্রত কহে । যে ব্যক্তি বথাবিধানে এই ত্রত করে, তাহার কোন বিষয়েরই অভাব থাকে না। ভাদ্রমাসের শুক্লপক্ষে শ্রবণানক্ষত্রযুক্ত দ্বাদশী অতিশয় শ্রেষ্ঠ, ইহায় নাম শ্রবণদ্বাদশী ব্রত এই দ্বাদশীতে উপবাস করিলে ভtহার ফল অক্ষয় হইয় থাকে । নদীসঙ্গমাদি পুণ্য তীর্থে স্নানাদি করিলে যে ফল হয়, এই দ্বাদশীতেও সেই ফল হইয়া থাকে । বুধবার ও শ্রবণানক্ষত্রযুক্ত দ্বাদশীতে যে কোন পুণ্য কার্যের অনুষ্ঠান করা যায়, তাহাতেই মহাফল লাভ হইরা থাকে । যথা বিধানে এই দ্বাদশীর ব্ৰত অসুষ্ঠান করিলে সকল বিধ পুণ্য লাভ হইয়া থাকে। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষেয় দ্বাদশী তিথিতে অখণ্ডদ্বাদশী ব্ৰত করিতে হয় । সম্যকৃরূপে অনশন, পঞ্চগব্য জলে স্নান ও পঞ্চগব্য ভক্ষণ করির ভগবান বিষ্ণুর পূজা করিবে এবং ব্রাহ্মণকে যব ও ত্ৰাহিযুক্ত পাত্র দান করিবে, এবং এই রূপে প্রার্থনা করিবে, "ছে ভগবান আমি সপ্তজন্মে যে কিছু খণ্ডব্রত করিয়াছি, আপনার প্রসাদে তাহ এখন অথও হউক। হে পুরুবোত্তম! তুমিই যেমন এই সমস্ত অথও জগৎ, সেইরূপ আমার ব্ৰত সমস্তই অথও হউক । প্রতিমাসে দ্বাদশার দিন এইরূপে বিষ্ণুর পূজা করিতে হইবে, যাহার। উক্ত প্রকারে বিষ্ণুর পূজা করে, তাহার আয়ু, আরোগ্য সৌভাগ্য ও রাজ্য ভোগাদি প্রাপ্তি হইয়া থাকে । ( অগ্নিপু• ১২৪-১২৬ অ• ) দ্বাপর (পুং ) ৰীে পরে প্রকারো বিষয়ে যন্ত, পৃষেদিরাদিত্বাং সাধু । ১ সংশয় । দাভ্যাং সত্যত্রেতাভ্যাং পরঃ পূবেদিরাসাধু । সত্যত্রেতাযুগানস্তর যুগভেদ। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণত্রয়োদশীয় দিন বৃহস্পতিবারে দ্বাপরযুগোৎপত্তি হইয়াছিল, এই যুগের পরিমাণ ৮৬৪ • • • বৎসর, এই যুগে অবতার শ্ৰীকৃষ্ণ ও বুদ্ধ, অৰ্দ্ধেক পুণ্য ও অৰ্দ্ধেক পাপ । এই যুগে শাম্ব, বিরাট, হংসধবজ, কংস, ময়ুরধবজ. বজ্ৰবাহন, রুক্সাঙ্গদ, ফুৰ্য্যোধন, যুধিষ্ঠির, পরীক্ষিত, জনমেজয়, বিঘক্সেন, শিশু سیاه د] স্বাপর , পাল, জরাসন্ধ, উগ্ৰসেন ও কংস ইহার রাজা, অর্থাৎ দ্বাপরযুগে এই সকল মনীষিগণ রাজ হইয়াছিলেন, মচুন্যদিগের পরমায়ু সহস্ৰ বৎসল্প, মানবদেহের পরিমাণ সপ্ত হস্ত। প্রাণরুধিরগত, অর্থাৎ যতক্ষণ দেহে য়ুক্ত থাকিবে, ওতক্ষণ জীবন নাশ হইবে না। যজুৰ্ব্বেদের অধিকার, অর্থাৎ কাৰ্য্যকলাপাদি যজুৰ্ব্বেদানুসারে হইবে । তাম্ৰপত্র ব্যবহার্য্য, লোক সকল, অৰ্দ্ধধৰ্ম্মরত, প্ৰলাপী, সৰ্ব্বদা চপল, জ্ঞাননিষ্ঠ, কপট বাক্যকুশল হইবে । তারকব্ৰহ্ম নাম “হরে মুরারে মধুকৈটভারে গোপাল গোবিন্দ মুকুন্দসৌরে। যজ্ঞেশ নারায়ণ কৃষ্ণ বৃষ্ণো নিরাশ্রয়ং মাং জগদীশ রক্ষ ॥” ( পাঞ্জিকা ) “অষ্টে শতসহস্রাণি বর্ষাণাং মামুযপি তু। চতুঃষষ্টি; সহস্রাণি বর্ষাণাং দ্বাপয়ং যুগং ॥” ( মৎস্ত পুং ) স্বাপরযুগের ধৰ্ম্মভেদাদির বিষয় মৎস্তপুরাণে এই লিখিত श्झग्छ्-ि “অতউর্দ্ধং প্রবক্ষ্যামি দ্বাপরস্ত বিধিং পুনঃ । তত্ৰ ক্রেতাযুগে ক্ষীণে দ্বাপরং প্রতিপদ্যতে ॥” ( মৎস্তপুঃ ১২০১ ) ত্রেতাযুগের কাল যথন ক্ষীণ হইয়া আসিল, তখন দ্বাপর ধীরে ধীরে আসিয়া নিজ বিক্রম বিস্তারের চেষ্টা করিতে লাগিল। ত্রেতাযুগে প্রজাদিগের যে সকল সিদ্ধি ছিল, স্বাপরযুগ আসিতে আসিতেই তাহ বিনষ্ট হইল । প্রজা সকল অতিশয় লোভী হইয়া উঠিল, বণিগৃগণ পরস্পর বিবাদ করিতে লাগিল, তত্ত্ব সকলের আর নিশ্চয় করিতে কেহ সমর্থ হইল না । বর্ণ সকলের নাশ ও কৰ্ম্মের বিপৰ্য্যয় আরম্ভ হইল । রজো ও তমোগুণের কার্য্য বহুলক্রপে প্ৰবৰ্ত্তিত হইতে । লাগিল । যে সকল কাৰ্য্য ক্রেতাযুগে করিলে পাপ হইত না, যুগধৰ্ম্মানুসারে তাছাই পাপ মধ্যে পরিগণিত হইত্তে লাগিল । এই সময় বর্ণ ধৰ্ম্ম, বর্ণাশ্রম সকল সঙ্কীর্ণ হইয়। উঠিল । শ্রীতি ও স্মৃতি দ্বিধ বিভিন্ন হইলে, ইহার যথার্থ অর্থ বোধ করিতে বড়ই গোলযোগ হইতে লাগিল, লোক সকল নিজ নিজ প্রতিভানুসারে অর্থ নিশ্চয় করিতে লাগিল । যখন ধৰ্ম্মভত্বের এইরূপ গোলযোগ উপস্থিত হইল, তখন পরস্পয়েয় সহিত পরস্পরের মত ৰৈধ হইয়া-উঠিল। দ্বাপরে ধৰ্ম্মাদি ব্যাকুলিত হইয়া কলিতে একবারে বিনষ্ট হইল। লোক সূকল এইরূপ নানাবিধ বিপৰ্য্যয়ে পড়িয়া ব্যাধি প্রভৃতির অক্রেমে তেজ ও বল ক্ষীণ হইয়া নানা প্রকার ক্লেশে কালাতিপাত করিতে লাগিল । এই সময় সকলের মতি হ্রাস হওয়ায় বেদবেদাঙ্গাদির অবৰোধের জন্ত ভাষ্ম হইতে লাগিল,