পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নকুলাঢ্য। -അ যখন পাণ্ডবগণ বিরাটগৃহে অজ্ঞাতভাবে অবস্থান করেন, তখন ইহার নাম তন্ত্রিপাল ছিল, ইনি গোরক্ষাকার্য্যে নিযুক্ত ছিলেন। যুধিষ্ঠির যখন রাজস্বয় যজ্ঞানুষ্ঠান করেন, তখন ইনি পশ্চিমদিকে গমন করিয়া মহেখদেশ অধিকার করেন, পরে রাজর্ষি জাক্রোশকে জয় করিয়া দশার্ণ, শিবি, ত্ৰিগৰ্ত্ত, অম্বষ্ঠ, মালব, পঞ্চকপট, মধ্যমক, বাটধান ও দ্বিজগণকে পরাজয় করেন। তৎপরে পুষ্করারণাবাসী উৎসবসিঙ্কেতগণকে, সমুদ্র তীরস্থিত আভীরগণকে ও সরস্বর্তীতীরবাসীদিগকে জয় করিয়া । পঞ্চনদ, অমরপর্বত, উত্তর জ্যোতিষ, দিব্য কটপুর ও দ্বারপাল জয় করেন। তাহার পর রামঠ, হারহণ ও প্রতীচ্য ভূপালদিগকে আপনার বশে অনিয়া বাসুদেবের নিকট দ্বারকায় দূত পাঠান। যাদবগণ যুধিষ্ঠরের অধীনতা স্বীকার করিলে শাকলে উপস্থিত হন, তথায় শলাও যুধিষ্ঠিরের বর্তত স্বীকার করেন। সৰ্ব্বশেষে স্লেচ্ছ, পহ্লব, বৰ্ব্বর, কিরাত, যবন ও শকদিগকে এবং পাশ্চাত্য অন্যান্য রাজগণকে জয় করেন। চেদিরাজকন্যা করেণুমতীর সহিত নকুলের বিবাহ হয়। তাহার গৰ্ত্তে নিরমিত্র নামে একপুত্র জন্মে। যুধিষ্ঠির যখন মহাপ্রস্থান করেন, তখন ইনিও তাহার সহিত গমন করেন, পরে হিমাদ্রি শিখরে ইহার প্রাণবিয়োগ হয় । ( ভারত) ইনি অশ্বচিকিৎসা রচনা করেন । ৪ পুত্র। (ত্রি) ৫ কুলরহিত। স্ক্রিয়াং উী । নকুলক, নকুলাকার অলঙ্কার ভেদ। ২ এক প্রকার টাকার থলি। "তস্ত পঞ্চশতিকো নকুলকে কটাং বদ্ধাস্তিষ্ঠতি।” ( দিব্যাবদান) নকুলতৈল (f) বাস্তবাধিয়ােগধিকারোক্ত তৈলৌধধভেদ । প্রস্তুত প্রণালী-নকুল মাংস /২ সের, জল ॥৬ সের, শেষ চারি সের। দশমুল /২ সের, জল ॥৬ সের ও শেষ /৪ সের, এরণ্ড তৈল /৪ সের, দধির মাত /৪ সের, যষ্টিমধু, জীর, রান্ন, সৈন্ধব লবণ, গুল্ফ, যমানী, মরিচ, কুড়, বিড়ঙ্গ, গজপিয়লী, সচল লবণ, বন্যবানী, বেড়েলা, বচ, গেঠেল, শৈলজ ও জটামাংসী, এই সকল দ্রব্য চরিতোলা করিয়া কন্ধ দিতে হইবে । পরে যথাবিধানে এই তৈল পাক হইলে নামাইতে হইবে। এই তৈল পান, অভ্যঙ্গ ও বস্তি ক্রিয়াতে প্রয়োগ করিতে হয়। এই তৈলে কম্পবাত, হস্তকম্প, শিরঃকম্প, বাহুকম্প ও আমবাত বিনষ্ট হয়। কট, পৃষ্ঠ, জাম্ব, জঙ্ঘা ও সন্ধিস্থিত বাত এবং অশীতি প্রকার বাতঙ্গ রোগ ইহাতে প্রশমিত হয়। ( ভৈষজ্যরত্নী” বাতবাধ্যধিকার ) ( স্ত্রী ) নকুলেন নকুলগন্ধেন আঢ্যা প্রচুর । গৃদ্ধনাকুলী নামক কন্বিশেষ। ( রাজনি) [ ৪৭৯ ] \ নকুলীশ-পাশুপত-দর্শন ' x নকুলাদ্যয়ত ( 繪) বাতারোধিকারোক্ত शुडोष ভেদ। প্রস্তুত প্রণালী—কাথের জন্ত নকুলমাংস /২ সের, এবং পাকার্থ জল ॥৬ সের, শেষ /৪ সের, মাষকলাই y২ সের, জল ॥৬ সের, শেষ /৪ সের। বেড়েল /২ সের, জল ॥৬ সের শেষ /৪ সের। শতমূলী /৪ সের, দুগ্ধ /৪ সের। জীবক, ঋষভ, কাকল', ঋদ্ধি, বৃদ্ধি, মেদ, মহামেদ, জীবন্তী, যষ্টিমধু, এলাইচ, গুড়ত্বক, তেজপত্র, ত্রিকটু, ত্রিফল, মুত, অনন্তমূল, এই সকল দ্রব্য প্রত্যেকে দুই তোলা করিয়া কন্ধ দিতে হইবে। এই ঘৃত পান করিলে অপস্মার, উন্মাদ, পক্ষাঘাত, আখান, কোষ্ঠনিগ্ৰহ, হস্তকম্প, শিরঃকম্প, বধিরত, মুক, মিশ্মিষভাষণ ও অন্তান্ত নানা প্রকার পীড়ায় শাস্তি হয়। (ভৈষজ্যরা বাতব্যাধ্যধিকার ) । নকুলান্ধত (স্ত্রী) নকুলসেব অন্ধত ৬-তৎ। স্বশ্ৰাতাক্ত একপ্রকার নেত্ররোগ। স্বশ্ৰুতে ইহার লক্ষণ এইরূপ লিখিত আছে—যে রোগে দৃষ্ট দোষাভিভূত হইয়৷ নকুলের দৃষ্টির ছায় তাহাতে বিদ্যুতের আভা প্রকাশ পায়, এবং দিবাভাগে বিচিত্র বর্ণ সকল দেখিতে পাওয়া যায়, তাহাকে নকুলান্ধ কহে। “বিদ্যোততে ঘাতু নরন্ত দৃষ্টিদোষাভিপন্ন৷ নকুলন্ত যদ্বৎ। চিত্রাণি রূপাণি দিবাস পহোৎ স বৈ বিকাশে নকুলান্ধসংজ্ঞঃ " ( সুশ্রুত উত্তরতন্ত্র ৭ অঃ ) এই রোগ হইলে পিত্তবৰ্দ্ধক দ্রব্য মাত্রই বর্জনীয়। { বিশেষ বিবরণ নেত্ররোগ দেখ। ] নকুলী (স্ত্রী) নকুলাঙা। ১ কুকুট। চলিত মাদিকুঁকুড়া। ২ মাংসী । ৩ কুঙ্কুম। ৪ নকুলস্ত্রী। (পুং ) কালীপীঠস্থিত ভৈরব বিশেষ। “নকুলীশ কালীপীঠে দক্ষপাদাঙ্গুলী মম।” ( পীঠমাল! ) কালীঘাটে নকুলীশ ভৈরব অবস্থিত, এইস্থান নকুলেশ্বর এই নামে প্রসিদ্ধ। ২ হকার । “হকারো নকুলীশোহপি হংসঃ গ্ৰাণোইস্কুশঃ প্রিয়ে ॥” i: ( বীজাভিধানতন্ত্র ) নকুলীশ-পাশুপত-দর্শন, আদিগের একখানি দর্শনগ্রন্থ। মাধবাচার্যপ্রণীত সৰ্ব্বদর্শন সংগ্রহে এই দর্শনের সারাংশ দেখিতে পাওয়া যায়। ইহার মূলগ্রন্থ আজকাল পাওয়া যায় না, এবং কোন সময়ে এই দর্শন রচিত হইয়াছে, তাহাও নির্ণয় করা কহ। এই দর্শনে একমাত্র মহাদেবই পরমেশ্বর এবং জীব সকল পশু, মহাদেব জীবের অধিপতি, এই জন্য তাহার নাম পশুপতি, নকুলীশ মহাদেবের নাম এবং তিনিই পশুপতি বলিয়৷ এই দর্শনের নাম নকুলীশ-পাশুপত-দর্শন হইয়াছে। এই দর্শনে এই সকল বিষয় প্রতিপাদিত হইয়াছে। خه