পাতা:বিশ্বকোষ নবম খণ্ড.djvu/৬৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নাগপঞ্চমী অনন্ত, বাসুকী, পদ্ম, মহাপদ্ম, তক্ষক, কর্কোট কুলিক ও শঙ্খ এই ৮ট অষ্টনাগ নামে অভিহিত। ইহারাই নাগদিগের মারক অর্থাৎ প্রধান। এই অষ্টনাগেরই পূজা করিতে হয়। নাগনাথ, : গণিততচিন্তামণিগ্রণেতা লক্ষ্মীদাসের প্রতিপালক । ২ পৰ্ব্বপ্রদীপ নামক জ্যোতিষগ্রন্থপ্রণেতা । ৩ মাধবকরের নিদানের “নিদানপ্রদীপ” নামক টীকাকার। ইনি কৃষ্ণ-পণ্ডিতের পুত্র ও যোগচন্ত্রিকাগ্রণেতা লক্ষ্মণের গুরু। মাগনায়ক, গুণ প্রদেশ যখন দেবগিরি-যাদবগণের অধীনে ছিল তখন মরাঠী বা কোলি জাতীয় সর্দারেরা এ দেশের অনেক স্থলে স্বাধীন হইয়া উঠিয়াছিল। সেই সময়ে সিংহগড় নামক স্থানে নাগনায়ক নামে একজন প্রবল প্রতাপ কোলিসর্দার ছিল । নাগনাস (স্ত্রী) হস্তিগুও, হাতিপূড়া। iহ (পুং) নাগইব নির্মুহঃ। নাগন্ত। নাগমুর, বােম্বাই প্রদেশে ধারবার জেলায় বঙ্গাপুরের নিকটবৰ্ত্ত | একটা হ্রদ। ইহাতে একটী বাধ আছে। উহা ৩৪০০ ফিট লম্বা । জলের চারিদিকে পাথরের পোক্ত প্রাচীরে সুরক্ষিত। এই বাধের উপরে ২৪ ফিট চওড়া রাস্তা। হ্রদটী বড় গভীর নহে। বর্ষার পর ছমাস জল থাকে, তাহার পর শুকাইয়া যায়। এই হ্রদ ঠিক হ্রদ নহে, বাঙ্গালাদেশীর বড় বিলের দ্যায়। নাগপঞ্চমী (স্ত্রী) নাগপ্রিয়া পঞ্চমী, বা নাগপূজাঙ্গং পঞ্চমী । আষাঢ়মাসের কৃষ্ণপঞ্চমী। এই পঞ্চমীতিথিতে মনসা ও নাগপূজা করিতে হয়, এই জন্য এই পঞ্চমীর নাম নাগপঞ্চনী। “স্বপ্তে জনাৰ্দ্দনে কৃষ্ণে পঞ্চম্যাং ভবনাঙ্গনে। পুঞ্জয়েন্মনসাদেবীং দ্বীবিটপসংস্থিতাম্। পদ্মনাভে গতে শয্যাং দেবৈঃ সৰ্ব্বৈরনস্তরম্ । পঞ্চম্যামসিতে পক্ষে সমুত্তিষ্ঠতি পন্নগী ॥" (তিথিতত্ত্ব ) বিষ্ণুর শয়নে কৃষ্ণাপঞ্চমী তিথিতে সিজরহ্ম স্থাপন করিয়া মনসা ও নাগপূজা করিতে হয়। মনসাদেবীকে পূজা ও নমস্কার করিলে সৰ্পভয় থাকে না। এই পূজাতে ঘৃত ও দুগ্ধ নৈবেদ্য क्षिाउ छ्ग्न । “দেবীং সম্পূজ্য নত্ব চ ন সৰ্পভয়াপ্পয়াৎ। পঞ্চমাং পূজয়েরাগাননস্তাদ্যান মহোরগান। ক্ষীরং সপিত্ত্ব নৈবেদ্যং দেয়ং সৰ্পবিষাপহম্।।” (তিথিত ) এই দিনে নিজ গৃহে নিশ্বপত্র স্থাপন করিবে এবং ব্রাহ্মণ ও বন্ধুগণের সহিত মিলিত হইয় তাহা ভক্ষণ করিবে । “পিচুমৰ্দ্দন্ত পত্রাণি স্থাপয়েন্ত্রবনোদরে। স্বরঞ্চাপি তদীয়াৎ ব্রাহ্মণাংশ্চৈব ভোজয়েৎ II" (তিথিত ) বরাহপুরাণে লিখিত আছে, পঞ্চমী তিথিতে নাগগণ ব্ৰহ্মার |X ১৭২ [ Gbet J —t শাপ ও প্রসাদ লাভ করে, এই জন্তু পঞ্চমী তিথি ইছাদের অতিশয় প্রিয়। এই তিথিতে স্থার নাগদিগকে স্নান করাইলে আর সর্পভয় থাকে না। নাগপঞ্চমীদিনে অনস্ত, বাকুকি, পয়, মহাপদ্ম, তক্ষক, কুলীর, কৰ্কেট ও শখ এই অষ্টনাগের পূজা করিতে হয়, এই অষ্টনাগ ভিন্ন আরও কতকগুলি নাগের নামোল্লেখ তিথিতত্বে দেখিতে পাওয়া যায় । যথা শেষ, পদ্ম, মহাপদ্ম, কুলিক, শঙ্খপালক, বাস্থকি, তক্ষক, কালিয়, মণিভদ্রক, ঐরাবত, ধৃতরাষ্ট্র, কর্কোটক, ধনঞ্জয়। ( গরুড়পুরাণে) অনন্ত, বাসুকি, শঙ্খ, পদ্ম, কম্বল, কর্কোটক, ধৃতরাষ্ট্র, শঙ্খক, কালিয়, তক্ষক, পিঙ্গল ও মণিভদ্রক এই সকল নাগপূজা করিলে দষ্টমুক্ত অর্থাৎ প্রথমে দংশিত পরে মুক্ত হুইয়া স্বৰ্গলাভ হয়। “শেষঃ পদ্মো মহাপদ্মঃ কুলিকঃ শঙ্খপালকঃ । বাসুকিস্তক্ষকশ্চৈব কালিয়ে মণিভদ্রকঃ ॥ ঐরাবতে ধৃতরাষ্ট্রঃ কর্কোটকধনঞ্জয়েী । গরুড়েইপি – অনন্তং বামুকিং শঙ্খং পদ্মং কম্বলমেবচ। তথা কর্কোটকং নাগং ধৃতরাষ্ট্রঞ্চ শম্বকম্ ॥ কালিয়ং তক্ষকঞ্চাপি পিঙ্গলং মণিভদ্রকম্। যজেত্তানসিতারাগান দষ্টমুক্তোদিবং ব্রজেৎ।" (তিথিতত্ত্ব ) ভারতের প্রায় সৰ্ব্বত্রই এই ব্ৰত আচরিত হয়। স্ত্রীলোকেই এই ব্ৰত করিয়া থাকে। অন্তান্ত স্ত্রী-ব্রতের দ্যায় নাগপঞ্চমী ব্ৰতেরও স্ত্রী-সুলভ ব্রত কথা আছে। আশ্চর্য্যের বিষয় এই, বাঙ্গালী স্ত্রীরা যেরূপ কথা কহিয়া থাকে, বোম্বাইয়ের প্রভূ-কায়স্থ রমণীর নাগপঞ্চমীর ব্ৰতকথা প্রায় ঠিক সেইরূপই বলে। এ স্থলে প্রভুকায়স্থরমণীগণের কথিত উপাখ্যানটা সংক্ষেপে বিবৃত করা হইল – ব্রতের দিন প্রভুরমণীরা একখানি কাঠের চৌকিতে চন্দন বা সিন্মুর দিয়া ৯ট সর্প-চিত্র অঙ্কিত করে। ইহার মধ্যে ছুইটী বড়, আর সাতটা ছোট। ইহাদের পাদমূলে আর একটা লাজুলহীন ক্ষুদ্র সর্প আঁকে। তাহার নিকটেই দীপহস্তী এক স্ত্রীমূৰ্ত্তিও আঁকে। তাহার পার্শ্বে একখানি প্রস্তরখণ্ড এবং একটা সপবিবরও আঁকা হয় । বিবাহিত রমণীরা প্রত্যেকে একে একে এই সৰ্প-চিত্রাবলীর উপর ভাজা শস্য, কলাই, কলার টুকর, ফুটির টুকরা ও নারিকেলের টুকর প্রদান করে। পাতার ঠোঙায় করিয়া দুগ্ধ দেয় । তাহার পর ফুল চন্দন সিন্মুর দিয়া পূজা করে। পূজার পর সকলে মিলিয়া সপের নিকট পরিবারবর্গের মধ্যে কাহারও সৰ্প কর্তৃক অনিষ্ট না হয় এবং বাড়ীতে সৰ্পভয় না থাকে এই বর প্রার্থনা করে। ঠার